1. banglapostbd@gmail.com : admin :
  2. admin@purbobangla.net : purbobangla :
প্রসঙ্গঃ মানবিক বাংলাদেশে ১৫ বিদেশের বিবৃতি - পূর্ব বাংলা
সোমবার, ১০ মার্চ ২০২৫, ০৩:০১ পূর্বাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ
তারেক রহমানের পক্ষে চট্টগ্রামে শামসুল আলমের সেহেরী ও ইফতার সামগ্রী বিতরণ বন্দিরা নিরাপদ নয় রাজশাহী কারাগারে সাংবাদিকদের সম্মানে চট্টগ্রাম মহানগরী শ্রমিক কল্যাণের ইফতার মাহফিল তিতাস গ্যাসের শিল্প বানিজ্যিক সংযোগে দূর্নীতির মহা ওস্তাদ ম্যানেজার শাকিল মন্ডল আবদুল্লাহ আল নোমানের ঈসালে সওয়াবের দোয়া মাহফিলে ডা.শাহাদাত হোসেন আবদুল্লাহ আল নোমান ছিলেন বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী অনন্য এক নেতা ঠান্ডা মিয়ার গরম কথা ( ৩৪৪) এ. এম. এম. নাসির উদ্দিন সমীপে কুয়াশাছন্ন বালি মাঠ চট্টগ্রামে অবৈধ অনুমোদনহীন সাবান ও ওয়াশিং পাউডার তৈয়ারীর কারখানার সন্ধান  সীতাকুণ্ড জাফরনগরে আরাফাত রহমান কোকো স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা ও পুরস্কার বিতরণ নবাবগঞ্জ প্রেস ক্লাবের কমিটি গঠন মতিয়ার সভাপতি হাফিজুর সম্পাদক অলিউর রহমান মেরাজ

প্রসঙ্গঃ মানবিক বাংলাদেশে ১৫ বিদেশের বিবৃতি

পূর্ব বাংলা ডেস্ক
  • প্রকাশিত সময়ঃ রবিবার, ১৮ ডিসেম্বর, ২০২২
  • ১০৩ বার পড়া হয়েছে

মো. আবদুর রহিম

১৯৭১ সালে বাংলাদেশটি কেমন ছিল, কারা দখলদার, কারা ছিল হানাদার ? সেই ১৯৭১ সালে বাংলাদেশে কি ঘটেছিল? তা-কি জানতেন অস্ট্রেলিয়া, যুক্তরাজ্য, কানাডা, ডেনমাার্ক, ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন, ফ্রান্স, জার্মানী, ইতালি, জাপান, নেদারল্যান্ডস, নরওয়ে, স্পেন, সুইডেন, সুইজারল্যান্ড ও যুক্তরাষ্ট্র ? পাকিস্তানীদের পক্ষে কারা কারা ছিলেন? যুদ্ধজাহাজ কারা পাঠিয়েছিল ? সেই ১৯৭১ এর ৯ মাসে মানবাধিকার কোথায় ছিল ? নারীর উপর অত্যাচার, অগ্নিসংযোগ, নিরীহ মানুষ হত্যা, লুটপাট কি মানবাধিকার ছিল? ১৯৭১ এ বাংলাদেশের গণহত্যার স্বীকৃতি কি যুক্তরাষ্ট্র বা জাতিসংঘ দিয়েছে। বাংলাদেশে সেই মানবাধিকার লঙ্গনকারীদের বিচার করা কি মানবাধিকার লঙ্গন। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করা কি মানবাধিকার লংঘন? ১৯৭৫ এ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমন এর সাথে ৪ বছরের শিশু থেকে নারী-শিশু ১৮ জন হত্যা কি মানবাধিকার ছিল না ? সেই সময় ঐ ১৫ দেশের রাষ্ট্রদূতরা কোথায় ছিলেন ? ১৯৭৫ সালে ৩ নভেম্বর জেল খানায় জাতীয় চার নেতাকে নৃশংসভাবে হত্যা কি মানবাধিকার লংঘন হয় নাই ? সেই সময় বিবৃতিদাতা ১৫ দেশের দূতাবাস কোথায় ছিল ? ২০০১ থেকে ২০০৬ এ শিশু হত্যা, নারী ধর্ষন, মন্ত্রী হত্যা, এমপি হত্যা, রাজনৈতিক দলের ২৩ হাজার নেতাকর্মী হত্যা, লুটপাট, দখল, অত্যাচার, নির্যাতন, গ্রেপ্তর, রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড করতে না দেয়, সভা-সমাবেশ মিছিল করতে না দেয়, গায়েবী মামলা ইত্যাদি কি মানবাধিকারের মধ্যে ছিল ?

২০০৪ সালের ২১ আগস্ট আওয়ামী লীগের শান্তি সমাবেশে গ্রেনেড হামলা, ২২ জন হত্যা, ৫ শতাধিক মানুষকে পঙ্গু করে দেয়া কি মানবাধিকার ছিল ? সেই সময় এসব বিষয়ে বিবৃতি কি ওই সব দেশের কোন দূতাবাস দিয়েছিল ? জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার ওপর ২৪ জানুয়ারি ১৯৮৮ সালে চট্টগ্রাম লালদিঘীর মাঠের জনসভাকে কেন্দ্র করে গুলি চালানো এবং ৩০ জন নিরীহ মানুষকে হত্যার বিষয়টি কি বর্তমান বাংলাদেশে বিবৃতি দাতা ১৫ দেশের রাষ্ট্রদূত জানতেন ? তারা এ বিষয়ে কোন বিবৃতি দিয়েছিলেন। মা’র সামনে মেয়েকে ধর্ষন, বিদেশী একজন কুটনৈতিককে সিলেট শাহজালাল মাজারে বোমা হামলা করেছিল, বিচারক, সাংবাদিক হত্যা করেছিল, বাংলাদেশের ৬৩ জেলায় বোমা হামলা হয়েছিল, দেশে ১০ ট্রাক অবৈধ অস্ত্র ধরা পড়েছিল, হাওয়া ভবনকে বিকল্প সচিবালয় বানানো হয়েছিল, পরপর ৫ বার বাংলাদেশ দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ান হয়েছিল। তখন কি ঐ সমস্ত দূতাবাস কোন বিবৃতি দিয়েছিল ? ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রæয়ারি দেশে ভোটার বিহীন নির্বাচন করেছিল। নির্বাচনে প্রভাব বিস্তারের জন্য কোন দল বা সরকার দেড় কোটি মানুষের নামে ভুয়া ভোটা তালিকাভুক্ত করেছিল তা কি ঐ ১৫ দেশের দূতাবাস জানতেন ? সেই সময় কি এ ধরনের কোন বিবৃতি এসেছিল ? ১৯৭৫ থেকে ১৯৯৬, ২০০১ থেকে ২০০৮ সময়ে বাংলাদেশে কি ঘটেছিল? সেই সময় মানবাধিকার ছিল কি না ? সে সব বিষয়ে ঐ ১৫ দেশের দূতাবাস কি কোন বিবৃতি দিয়েছিল ? এসব বিষয়ের প্রশ্নগুলোর উত্তর হয়ত আসবে না। উত্তর পাওয়া যাবে না বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানাকে ১৯৭৫ থেকে ১৯৮১ পর্যন্ত ৬ বছর কেন নির্বাসন জীবন কাটাতে হয়েছিল? তবে ১৯৯৭ সালের ২ ডিসেম্বর বাংলাদেশ পাহাড়ে সন্ত্রাসবন্ধে শান্তিচুক্তি করেছিল। ২০১৭ সালে মিয়ানমারে বাস্তুচ্যুতদের বাংলাদেশ আশ্রয় দিয়েছিল। প্রসঙ্গক্রমে বলতে হয়, মানবাধিকার সর্বজনীন। জাতি, ধর্ম, বর্ণ, লিঙ্গভেদে সবার জন্য সমান। এ অধিকার মানুষের জন্মগত, যা কেউ কেড়ে নিতে পারে না। মানবাধিকার দেশের সীমারেখা দিয়ে সীমাবদ্ধ নয়। সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তাঁর তরুণ বয়স থেকেই মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা ও সুরক্ষায় নিরলস কাজ করে গেছেন। আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধের ঘোষণাপত্রে মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার সুষ্পষ্ট অঙ্গীকার রয়েছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে প্রণীত বাংলাদেশের মহান সংবিধানের প্রস্তাবনায় সকল নাগরিকের জন্য আইনের শাসন, মৌলিক মানবাধিকার এবং রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিক সাম্য, স্বাধীনতা ও সুবিচার নিশ্চিত করণের যে অঙ্গীকার রয়েছে তা ১৯৪৮ সালের ১০ ডিসেম্বর জাতিসংঘ কর্তৃক গৃহীত সর্বজনীন মানবাধিকারের ঘোষণাপত্রের সঙ্গে পুরোপুরি সঙ্গতিপূর্ণ। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের মানুষকে হাজার বছরের শোষণ ও বঞ্চনা থেকে মুক্তি দেয়ার লক্ষ্যে সারা জীবন আন্দোলন সংগ্রাম করেছেন। তিনি ১৯৭২ সালে বাংলাদেশ পরিচালনার দায়িত্ব নিয়ে এমন বাংলাদেশ গড়তে চেয়েছিলেন যেখানে প্রতিটি মানুষ মানবিক মর্যাদা, সাম্য ও ন্যায়বিচারের নিশ্চয়তা লাভ করবে। বঙ্গবন্ধু দেশ স্বাধীনের মাত্র ৯ মাসের মধ্যে দেশের সকল নাগরিকের মানবাধিকার সুরক্ষায় দলিল হিসাবে সংবিধান প্রণয়ন করেন। আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে। আওয়ামী লীগই এ বাংলাদেশের সংবিধান দিয়েছে। আওয়ামী লীগ সরকার দেশের জনগণের মানবাধিকার সুরক্ষায় বদ্ধপরিকর। ১৯৭৫ এর ১৫ আগস্ট জাতির পিতাকে সপরিবারে হত্যার পর খুনিদের যাতে কেউ বিচার করতে না পারে সে জন্য দায়মুক্তি আইন করে মরহুম সামরিক শাসক জিয়াউর রহমান। সেই সময় মানবাধিকার কি ছিল ? জাতির পিতার কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা ১৯৯৬ সালে সরকার গঠনের পর সেই কালো আইন-মানবাধিকার লংঘন আইন বাতিল করে দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় প্রথম উদ্যোগ গ্রহণ করেন। সেই থেকে শুরু করে বাংলাদেশের আইনের শাসন ও মানবাধিকার সুরক্ষায় কাজ করে চলেছে জননেত্রী শেখ হাসিনার সরকার। ১৯৭৫ এর ১৫ আগস্ট হত্যাকাÐের এবং মানবাধিকার লংঘনের বিচার করেছে বাংলাদেশ। ২০০৯ সালে জননেত্রী শেখ হাসিনা দ্বিতীয়বার সরকার গঠনের পর বাংলাদেশে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন আইন প্রণয়নের মাধ্যমে কমিশন প্রতিষ্ঠা করেন। ইতোমধ্যে বাংলাদেশের জাতীয় মানবাধিকার কমিশন শক্তিশালী ভিত্তির উপর সুপ্রতিষ্ঠিত একটি স্বাধীন সংস্থা হিসাবে স্বাধীনভাবে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে। এই কমিশন স্বাধীন ও নিরপেক্ষ। গত ১০ ডিসেম্বর ২০২২ খ্রি. বিশ^ মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে একটি যৌথ বিবৃতি দিয়েছে বাংলাদেশে নিযুক্ত ১৫ টি দেশ ও সংস্থার রাষ্ট্রদূত। তারা বিবৃতিতে বলেছে, ‘আমরা মানবাধিকারের সর্বজনীন ঘোষণাপত্রে সংরক্ষিত স্বাধীনতা উদ্যাপন করি এবং ঘোষণাপত্রে বর্জিত বিভিন্ন অঙ্গীকারের মধ্যে স্বাধীন মতপ্রকাশ, শান্তিপূর্ণ সমাবেশ ও নির্বাচন বিষয়ে জাতিসংঘের সকল সদস্য রাষ্ট্রের অঙ্গীকার রক্ষার গুরুত্ব তুলে ধরি। অর্থপূর্ণ অংশগ্রহণ, সমতা, নিরাপত্তা ও অন্তর্ভূক্তিমূলক মানবিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য অনুসরণীয় মূল্যবোধ ও নীতি হিসেবে আমরা গণতান্ত্রিক শাসনকে সমর্থন ও উৎসাহিত করি? মান্যবর রাষ্ট্রদূতবৃন্দ আপনাদের বিবৃতির বক্তব্যগুলো সাবলীল। জাতিসংঘ ঘোষিত মানবাধিকারের সকল অঙ্গীকার বাংলাদেশ অক্ষরে অক্ষরে মেনে চলে। তবে ১৫ কুটনৈতিক মিশনের যৌথ বিবৃতি পক্ষপাতদৃষ্টি। রাজনৈতিকভাবে প্রভাবিত বিবৃতি কুটনৈতিক আচরণ পরিপন্থি। বাংলাদেশে সম্প্রতি কয়েকটি দেশের কুটনৈতিকদের আচরণে স্বাধীন দেশের নাগরিক সমাজ উদ্বিগ্ন। বাংলাদেশের বন্ধু ও অংশীদার রাষ্ট্রের প্রতিনিধি হিসেবে যে কোন পরামর্শ অবশ্যই গ্রহণযোগ্য, তবে রাজনৈতিকভাবে কোন দল বা গোষ্ঠির পক্ষে প্রভাবিত হয়ে কোন প্রকার বিবৃতি একটি স্বাধীন রাষ্ট্রের জন্য অসম্মানজনক। বাংলাদেশ কারুর করুণার দান নয়। বাংলাদেশ পৃথিবীর বুকে মর্যাদায় মাথা উচু করে চলবে। আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও মানবাধিকার সুরক্ষায় বাংলাদেশের সাফল্য সর্বমহলে প্রশংসিত হচ্ছে। গণতন্ত্র, মানবাধিকার, সুশাসন ও আর্থসামাজিক অন্তর্ভূক্তিতে বাংলাদেশ ব্যাপক অগ্রগতি সাধন করেছে। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর মানবিক নেতৃত্ব ও বিশ^ শান্তির জন্য জননেত্রী শেখ হাসিনার সাহসী সময়োপযোগী পদক্ষেপ সর্বত্র প্রশংসিত। তিনি ‘মানবতার মা’ উপাধিতে ভূষিত। সুতরাং বাংলাদেশে ১৫ কুটনৈতিকের বিবৃতিতে আমরা সন্তুষ্ট নয়।সাধারণ সম্পাদক, বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চারনেতা স্মৃতি পরিষদ

শেয়ার করুন-

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved © 2021 purbobangla