বাংলাদেশ তৈল, গ্যাস ও খনিজ সম্পদ করপোরেশন (পেট্রোবাংলা)‘র কাছে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের রাজস্ব বকেয়া পড়েছে ৫ হাজার ২২৭ কোটি ৩২ লাখ টাকা। তরলিকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) আমদানির শুল্ক বাবদ পেট্রোবাংলার কাছে এ ঢাকা পায় কাস্টমস।
কাস্টমস সূত্র জানিয়েছে, রাষ্ট্রায়ত্ব প্রতিষ্ঠান পেট্রোবাংলা গেল বছরের ডিসেম্বর থেকে শুল্ক পরিশোধ করছে না। চলতি বছরের এপ্রিল থেকে তারা আমদানির নথিপত্রও জমা দিচ্ছে না। ফলে একদিকে রাজস্ব অনাদায়ী থাকছে। যা কাস্টমসের রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রাকে চরমভাবে বিঘ্নিত করছে। অন্যদিকে বিল অব এন্ট্রি দাখিল না করায় সংশ্লিষ্ট সফটওয়্যার অ্যাসাইকুড়া ওয়ার্ল্ডে তথ্য হালনাগাদ সম্ভব হচ্ছে না। যা পুরো সিস্টেমে জটিলতা তৈরি করেছে।
কাস্টমস কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বকেয়া টাকা পরিশোধ এবং নথিপত্র জমা দেয়ার জন্য পেট্রোবাংলাকে বারবার তাগিদ দেয়া হয়েছে। কারণ দর্শানো নোটিশও দেয়া হয়েছে। আবার বিজনেস আইডেন্টিফিকেশন নম্বর-বিন লক ও পণ্য খালাস বন্ধ এবং ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করার হুঁশিয়ারিও দেয়া হয়। তবে কিছুতেই কিছু হয়নি।
এ বিষয়ে পেট্রোবাংলা জানায়, অর্থবিভাগের কাছ থেকে ভর্তুকির টাকা পেলে শুল্ক পরিশোধ করা হবে। কিন্তু কবে নাগাদ তা হবে, বিষয়টি স্পষ্ট করা হয়নি। এমন বাস্তবতায় সংকট সমাধানে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড-এনবিআরকে অক্টোবরের শেষদিকে চিঠি দেয় কাস্টমস। তবে তাতেও কাজ হয়নি।
কাস্টমস বলছে, আমদানি করা পণ্যের শুল্কায়নপূর্বক রাজস্ব পরিশোধে আইনী বাধ্যবাধকতা রয়েছে। পণ্য আমদানির ৬ মাস পরেও নথিপত্র জমা না করাও আইনের লঙ্ঘন। যা শাস্তিযোগ্য অপরাধ।