ঝালকাঠি প্রতিনিধি
ঝালকাঠি থানায় বুধবার (৭ ডিসেম্বর) বিকালে বিএনপির ৪৪ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে এজাহার রেকর্ডের মধ্য দিয়ে জেলাজুড়ে ক্ষমতাশীন আওয়ামীলীগের চলমান মামলা দায়ের প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে। জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক রেজাউল করিম জাকির বাদী হয়ে বিষ্ফোরক আইনে দায়েরকৃত মামলায় ঝালকাঠি জেলা বিএনপির সদস্য সচিব এড. শাহাদাত হোসেন, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মনিরুল ইসলাম নূপুর, জেলা যুবদলের আহ্বাক শামীম তালুকদারসহ ১৪ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ২৫/৩০ জনের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক আইনে মামলা (নং-৩) দায়ের করা হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে গত ৮দিনে ঝালকাঠি জেলার ৪টি থানায় জেলা-উপজেলা বিএনপির অংগসংগঠনের ৭৮জন নামধারী ও অজ্ঞানামা ২২০ জনসহ প্রায় ৩শ নেতাকর্মীকে আসামী করা হয়েছে। আওয়ামীলীগ নেতারা বাদী হয়ে দায়েরকৃত সব কয়টি মামলা বিষ্ফোরক দ্রব্য নিয়ন্ত্রন আইনে রেকর্ড করা হয়েছে। ঝালকাঠি জেলা বিএনপির আহবায়ক এ্যাডভোকেট মোঃ সৈয়দ হোসেন ও সদস্য সচিব এ্যাডভোকেট মোঃ শাহাদাৎ হোসেন এক বিবৃতিতে এসব মিথ্যা ও গায়েবী মামলার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান। আগামী ১০ ডিসেম্বরের ঢাকার গণসমাবেশে নেতাকর্মী সহ জনতার ঢল ঠেকাতে ফ্যাসিবাদী সরকারের এহেন অপচেষ্টায় কোন লাভ হবে না উল্লেখ করে নেতাকর্মীদের ঢাকা যাওয়ার প্রস্তুতী নিতে আহবান জানান। ঝালকাঠি সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: নাসির উদ্দীন সরকার জানান, ঝালকাঠি জেলা ছাত্রীগের নেতাকর্মীরা ছাত্রলীগের কেদ্রীয় সম্মেলন শেষে ঢাকা থেকে ঝালকাঠি ফিরছিলো। মঙ্গলবার রাত নয়টার দিকে বরিশাল-পিরোজপুর আঞ্চলিক মহাসড়কের কৃষ্ণকাঠি ব্রাকমোড় ব্রীজ এলাকায় বাস দুটি পৌছালে বাসে বোমা হামলার ঘটনা ঘটে। এঘটনায় বিষ্ফোরক দ্রব্য নিয়ন্ত্রন আইনে রেকর্ড করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত কোনো আসামি গ্রেপ্তার হয় নাই। আসামি গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। এরআগে ৪ ডিসেম্বর কাঁঠালিয়া উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সম্পাদক নাজমুল হাসান সুজন বাদী হয়ে উপজেলা বিএনপির সভাপতি-সাধারন সম্পাদকসহ ৯জনের নাম উল্লেখ ও ৬০জন অজ্ঞাতনামা আসামী করে বিষ্ফোরক দ্রব্য নিয়ন্ত্রন আইনে মামলা (নং-৩) দায়ের করে। এ বিষয়ে মামলার আসামী কাঁঠালিয়া উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মো. জালালুর রহমান আকন জানান, ঘটনার সময় আমি কৈখালী একটি সালিশ বৈঠকে ছিলাম। তখন ফোনের মাধ্যমে শুনেছি ছাত্রলীগের মিছিলে নাকী বোমা হামলা হয়েছে। তারা এভাবে নিজেরা মিথ্যা ঘটনা ও নাটক সাজিয়ে বিএনপির নেতা-কর্মীদের মামলা করে হয়রানী করার চেষ্টা করছে। অন্যদিকে ২ ডিসেম্বর নলছিটি ওয়ার্ড আ’লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারন সম্পাদক জুয়েল খান বাদী হয়ে নলছিটি উপজেলা বিএনপির সভাপতি-সাধারন সম্পাদকসহ ২৯জনের নাম উল্লেখ ও ৫০জন অজ্ঞাতনামা আসামী করে বিষ্ফোরক দ্রব্য নিয়ন্ত্রন আইনে মামলা দায়ের করে। এ ব্যাপারে মামলার আসামী নলছিটি উপজেলা বিএনপির সভাপতি আনিচুর রহমান হেলাল জানান, এটা সম্পূর্ন রাজনৈতিক হয়রানিমূলক মামলা আমাদের কোন নেতাকর্মী এ ধরনের হামলা করেনি। এছাড়া গত ২৯ নভেম্বর রাজাপুর উপজেলা আ’লীগের দপ্তর সম্পাদক রফিকুল ইসলাম ইলিয়াশ ফরাজী বাদী হয়ে রাজাপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি-সাধারন সম্পাদকসহ ২৬জনের নাম উল্লেখ ও ৭০/৮০জন অজ্ঞাতনামা আসামী করে বিষ্ফোরক দ্রব্য নিয়ন্ত্রন আইনে মামলা দায়ের করেন। মামলা নং -৯। এ বিষয়ে মামলার আসামী উপজেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাড. তালুকদার আবুল কালাম আজাদ জানান, একদম মিথ্যা গায়েবি একটা মামলা করা হয়েছে। বিএনপির সভাপতি-সম্পাদকসহ তারা অনেকেই এলাকায় নেই। পিংড়ির কোন মানুষই জানে না ওখানে কোন ঘটনা ঘটেছে।