1. banglapostbd@gmail.com : admin :
  2. admin@purbobangla.net : purbobangla :
খাদের কিনারে দেশের ব্যাংকিং খাত : টিআইবি - পূর্ব বাংলা
সোমবার, ২৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০৮:১১ অপরাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ
ইউনেস্কো ক্লাব এর উদ্যোগে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত ক্ষমতার সামনে দাঁড়িয়ে সত্য বলার সাহস থাকাই হলো সাংবাদিকতা ক্ষমতার সামনে দাঁড়িয়ে সত্য বলার সাহস থাকাই হলো সাংবাদিকতা শহীদ সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীর কবর জিয়ারত করলেন বিএনপি নেতা বিপ্লব মাওলানা শাহ সুফি মুহাম্মদ জামাল উদ্দিন মমিন (রঃ) এবং কবরবাসী স্বরণে ১ম বার্ষিক দোয়া মাহফিল ইউনেস্কো ক্লাব এর উদ্যোগে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন বায়েজিদ বোস্তামী ও মালেক শাহ (র.) ওরশ সম্পন্ন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন ফোরকানিয়া মাদরাসা শিক্ষক সমিতির কার্যকরী কমিটির সভা অনুষ্ঠিত  আল্লামা আবুল খাইর ফাউন্ডেশন ২৬৫ জন রোগীর ছানি অপারেশন করালেন

খাদের কিনারে দেশের ব্যাংকিং খাত : টিআইবি

পূর্ব বাংলা ডেস্ক
  • প্রকাশিত সময়ঃ বুধবার, ৭ ডিসেম্বর, ২০২২
  • ১৩৪ বার পড়া হয়েছে

ঋণ খেলাপি ও বেনামি ঋণ আর অর্থপাচারের ঘটনায় ব্যাংকিং খাত এখন খাদের কিনারে দাঁড়িয়ে আছে বলে মন্তব্য করেছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। এছাড়া ব্যাংক খাত থেকে ঋণের নামে হাজার হাজার কোটি টাকা তুলে নেয়ার সংবাদ দেশের অর্থনৈতিক কাঠামোর জন্য ভয়ংকর-উদ্বেগজনক বলেও মনে করে সংস্থাটি।
সংস্থাটি বলছে, ইসলামী ব্যাংকসহ কমপক্ষে তিনটি বেসরকারি ব্যাংক থেকে ভুয়া ঠিকানা ও অস্তিত্বহীন কোম্পানির বিপরীতে কয়েক হাজার কোটি টাকা ঋণের নামে অবিশ্বাস্য দ্রুততায় সরিয়ে নেয়ার ঘটনা গগণচুম্বী খেলাপি ঋণ ও অর্থপাচারের কারণে ইতিমধ্যে জর্জরিত ব্যাংকিং খাতকে খাদের কিনারায় ঠেলে দিয়েছে। আরও গভীরতর সংকট প্রতিরোধের লক্ষ্যে অবিলম্বে ব্যক্তিমালিকানাধীন খাতে ‘প্রকৃত মালিকানার স্বচ্ছতা’ আইন প্রণয়ন এবং একইসঙ্গে আর্থিক লেনদেনের নজরদারি সহায়ক ‘কমন রিপোর্টিং স্ট্যান্ডার্ড (সিআরএস)’-এ অবিলম্বে যুক্ত হওয়ার জন্য সরকারের প্রতি জোরাল আহ্বান জানিয়েছে টিআইবি।

৫ ডিসেম্বর গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এসব তথ্য জানায় সংস্থাটি। টিআইবি জানায়, গণমাধ্যমে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী সম্প্রতি দেশের বেশ কয়েকটি বেসরকারি ব্যাংক থেকে অত্যন্ত ধূর্ততার সঙ্গে ঋণের নামে হাজার হাজার কোটি টাকা তুলে নেয়ার সংবাদ দেশের অর্থনৈতিক কাঠামোর জন্য ভয়ংকর উদ্বেগজনক।
টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘সাধারণ গ্রাহককে ব্যাংক থেকে ন্যূনতম অঙ্কের ঋণ নিতে গেলেও যে পরিমাণ কাগজ দিতে হয়, সেখানে কীভাবে ভুয়া কিংবা নামসর্বস্ব প্রতিষ্ঠানের বিপরীতে অবলীলায় হাজার হাজার কোটি টাকা ঋণের নামে তুলে নেয়া হচ্ছে ? গত ১৪ বছরে আগের তুলনায় মোট খেলাপি ঋণের পরিমাণ যখন প্রায় ৬ গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে, বারবার খেলাপি ঋণের সংজ্ঞা পরিবর্তন করে কিংবা পুনঃতফসিল করেও খেলাপি ঋণ আদায় করা যাচ্ছে না, তখন কাদের স্বার্থে কিংবা কাদের দেখে অস্বাভাবিক দ্রুততার সঙ্গে এমন আগ্রাসী ঋণ প্রদান করা হয়? প্রকৃতপক্ষে কারা এই বিপুল অর্থের সুবিধাভোগী? এই প্রশ্নের উত্তর দেশবাসীর জানার অধিকার আছে।’
অতীতে আলোচিত বেসিক ব্যাংক কেলেঙ্কারি ও পিকে হালদারের জালিয়াতির মাধ্যমে লুণ্ঠন ও অর্থপাচারের পরও কেনো শিক্ষা নেয়া হলো না? কেনো ব্যাংকখাতের নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলা ফেরানোর লক্ষ্যে কোনো কার্যকর উদ্যোগ নেয়া হলো না এমন প্রশ্ন রেখে ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘দেশের বিভিন্ন ব্যাংক থেকে নামে-বেনামে ঋণ নিয়ে বিদেশে অর্থপাচারের নির্ভরযোগ্য বহু তথ্য প্রতিনিয়ত জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে প্রকাশিত হচ্ছে। বিশেষ করে, আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যে চালান জালিয়াতির মাধ্যমে অর্থপাচারের ঘটনায় খোদ বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, পণ্য আমদানিতে ২০ থেকে ২০০ ভাগ পর্যন্ত বাড়তি দাম দেখানোর শতাধিক ঘটনা সংঘটিত হয়েছে। অন্যদিকে গ্লোবাল ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেগ্রিটি (জিএফআই)-এর সর্বশেষ প্রকাশিত হিসাব বলছে, বাণিজ্যের আড়ালে বাংলাদেশ থেকে গড়ে প্রতিবছর পাচার হওয়া অর্থের পরিমাণ ৮২৭ কোটি ডলার। এই অর্থপাচার প্রতিরোধে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ না করে বরং অর্থপাচারের তথ্য প্রকাশ রোধ করার জন্য জাতিসংঘের সংশ্লিষ্ট সংস্থায় তথ্য প্রেরণ স্থগিত করা হয়েছে বলে জানা যায়।’
টিআইবির নির্বাহী পরিচালক বলেন, ‘অস্বাভাবিক ও প্রশ্নবিদ্ধ ঋণের উল্লিখিত ঘটনা সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করার পাশাপাশি কোনোভাবেই যেন এসব অর্থ বিদেশে পাচার হতে না পারে, সেবিষয়ে এখনই যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। পাচার হওয়া অর্থ বিষয়ে সুনির্দিষ্ট তথ্য পেতে দেশে-বিদেশে সকল প্রকারের লেনদেনের তথ্য আদান-প্রদান সহায়ক ‘কমন রিপোর্টিং স্ট্যান্ডার্ড (সিআরএস)’-এ অবিলম্বে যুক্ত হতে হবে। একইসঙ্গে ভুয়া ও বেনামি ঋণ জালিয়াতি প্রতিরোধের জন্য আন্তর্জাতিক অভিজ্ঞতার আলোকে অবিলম্বে ব্যক্তি মালিকানাধীন খাতে ‘প্রকৃত মালিকানার স্বচ্ছতা’ আইন প্রণয়ন করতে হবে।’
টিআইবি মনে করে, যখন-তখন রাজনৈতিক বিবেচনায় ব্যাংকের মালিকানায় কিংবা শীর্ষ পদে বদল এসব ব্যাংকের আমানতের অর্থ লোপাটে সহায়ক হয়। ব্যাংকের মালিকপক্ষ বা পরিচালনা পর্ষদই তখন ঋণ জালিয়াতিতে যুক্ত হয় এবং যোগসাজশের মাধ্যমে ক্ষমতার অপব্যবহার করে লুটপাটে জড়িত হওয়ার সুযোগও বহুগুণে বেড়ে যায়।
খাদের কিনারা থেকে ব্যাংকিং ও আর্থিক খাতকে উদ্ধারের লক্ষ্যে, বিবৃতিতে সংশ্লিষ্ট খাতে জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে সুখ্যাতিসম্পন্ন বিশেষজ্ঞজনের নিরপেক্ষ ও পেশাগত পরামর্শের ওপর নির্ভর করে স্বল্প, মধ্যম ও দীর্ঘমেয়াদে বাস্তবায়নযোগ্য কৌশল প্রণয়নের জন্য ইতিমধ্যে ঘোষিত টিআইবির আহ্বানের কথা সরকারকে স্মরণ করে দেয়া হয়।

শেয়ার করুন-

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved © 2021 purbobangla