এম. আলী হোসেন
চট্টগ্রাম জেলা ও উপজেলা রেজিষ্টেশন অফিসে দিন দিন বাড়ছে কাজের গতি ।বাড়ছে রাজস্ব আয়ও। কিন্ত জনবল সংকট লেগেই আছে। অভিযোগেরও অন্ত নেই। সদর অফিসে প্রশস্থ ভবন নির্মাণ যেমন জরুরী তেমনি কয়েকটি উপজেলায় নিজস্ব ভবনও নির্মাণ দরকার।দরকার জনবল সংকট নিরসণেরও।খবর সংশ্লিষ্ট সুত্রের।
চট্টগ্রাম সদর অফিসে মাসে মাসে কাজের বাড়ছে পরিধি ,একইভাবে উপজেলায়ও ।বাড়ছে রাজস্ব আয়ও।উল্লেখ্যযোগ্য ভাবে রাজস্ব বাড়লেও সদর অফিসে প্রশস্থ ভবন নেই অথচ পরিত্যক্ত ভুমি রয়েছে অকেজো অবস্থায়।
খবর নিয়ে জানা গেছে, সীতাকুণ্ড, জোয়ারগঞ্জ, নানুপুর, কাজীরহাট, ফতেয়াবাদ, রাঙ্গুনিয়া, বোয়ালখালী, গাছবাড়িয়া, সাতকানিয়া ও আধুনগর রেজিষ্ট্রি অফিস চলছে ভাড়া ঘরে।অথচ নিজস্ব ভবন হলে স্টাফ, কর্মকর্তা- কর্মচারীদের কাজে প্রশান্তি আসত, পাশাপাশি ভাড়া বাবদ খরছও সাশ্রয় হতো।বিষয়টি বছরকে বছর চলছে তবু সুরাহা হচ্ছে না।শুধুমাত্র নীতিগত একটি সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও বাস্তবায়নের অভাবে ফি বছর ভাড়া বাবদ ব্যয় হচ্ছে বিপুল অর্থও।
সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানা গেছে, চটগ্রাম সদর অফিসে জানুয়ারী ‘২২ মাসে ১৮০৫টি, ফেব্রুয়ারী ১৮১১টি , মার্চে ২২৩১টি, এপ্রিলে ১৬৩৭টি, মে ১৪১৮টি ও জুনে ২২২০টি দলিল সম্পাদন হয়।ছয় মাসে দলিল সম্পাদন করে সর্বমোট ১১১১টি।এসব দলিল সম্পাদনে সরকার বিপুল রাজস্ব পায় ।শুধু মাত্র জানুয়ারী মাসে আদায় হয় ২৩ কোটি ৬৪ লাখ ৬৭ হাজার ৪ শত ২৮ টাকা।এই মাসে নকল ফি পায়,তল্লাশ ও পরিদর্শন ফি , ভ্যাট প্রদান, দলিল নবায়ন ফি,উৎস কর,এফএফ খাতে ৫৩%, ব্যবহারকৃত নন জুডিশিয়াল স্ট্যাম্প, সহীমোহরকৃত নকলে ব্যবহার করা স্ট্যাম্প, পে অর্ডারে স্ট্যাম্প শুল্ক , হলফনামা ,স্থানীয় কর ও কোর্ট ফি ইত্যাদি খাতে রেজিষ্টি অফিস উপরোক্ত রাজস্ব সরকারকে যোগান দেয়।এসব খাতে ফেব্রুয়ারী মাসে ২৩ কোটি ৪৮ লাখ ৩ হাজার ২শত ২১ টাকা, মার্চ মাসে ২৬কোটি ৭৬ লাখ ৩৭ হাজার ৫শত ১৬টাকা, এপ্রিল মাসে ২৪ কোটি ১৭ লাখ ৪ হাজার ৯শত ৫৩ টাকা, মে ১৮ কোটি, ৭৭ লাখ ৮৯ হাজার ১শত ৭২ টাকা , জুন মাসে ২৩ কোটি ৪৮লাখ ৩হাজার ২শত ১৭ টাকা আদায় করে জেলা সদর অফিস ।
জানা গেছে, একটি সাব রেজিষ্টি অফিসে ১ জন সাব রেজিষ্টার, ১ জন কর্মকর্তা, ১ জন অফিস সহকারী, ২ জন মুহরা, ১জন টিসি , ১জন পিয়ন রয়েছে।এরা সবই স্থায়ী জনবল ।তা ছাড়াও অস্থায়ীভাবে নকলনবীশ থাকে বেশ কয়েকজন।
মধ্য ‘৮০ দশকে এনাম কমিটি জনবল সমীক্ষা চালায়।ওই সময় দেখা যায় ১৫৯ গুণ কর্ম বিস্তৃতি ঘটে ।সেই হিসাবে এখন কর্ম বিস্তৃতি ঘটেছে কমপক্ষে ৩শত গুন। কিন্তু জনবল বাড়ানো হয়নি মোটই ।যার ফলে কোন কােন সরকারী কর্মক্ষেত্রেও স্থবিরতা নেমে এসেছে। কাজের গতিশীলতা বাড়াতে হলে স্বস্থিদায়ক পরিবেশ চাই, চাই জনবল সংকট নিরসণও ।