প্রখ্যাত সাংবাদিক, বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের সাবেক সদস্য, জাতীয় প্রেসক্লাব ও বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন বিএফইউজে’র সাবেক সভাপতি গিয়াস কামাল চৌধুরী’র নবম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে চট্টগ্রাম শাহ আমানত দরগাহ্ লেইনস্থ তনজিমুল মোসলেমীন এতিমখানা মিলনায়তনে এক আলোচনা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। স্বাধীন সংবাদপত্র পাঠক সমিতির কেন্দ্রীয় সভাপতি বিশিষ্ট সাংবাদিক এস.এম. জামাল উদ্দিন এতে সভাপতিত্ব করেন। স্বাধীন সংবাদপত্র পাঠক সমিতির কেন্দ্রীয় সাংঠগনিক সম্পাদক সাংবাদিক মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন। আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন প্রখ্যাত সাংবাদিক-সম্পাদক-মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব মইনুদ্দীন কাদেরী শওকত, দৈনিক নয়াবাংলা সম্পাদক জেড.এম. এনায়েত উল্লাহ হিরু, মা ও শিশু হাসপাতাল পরিচালনা কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট ইঞ্জিনিয়ার জাবেদ আবছার চৌধুরী, সীতাকুÐ তাহের-মনজুর কলেজের অধ্যক্ষ মুকতাদের আজাদ খান, সরকারী কর্মচারী কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ শামসুল ইসলাম, মাওলানা মমতাজুল ইসলাম, অধ্যাপক ফজলুল কাদের, আবদুর রহমান প্রমুখ। দোয়া মাহফিল পরিচালনা করেন তনজিমুল মোসলেমীন এতিমখানার শিক্ষক মাওলানা হাফেজ মুহাম্মদ ফজলুল কাদের।
সভাপতির বক্তব্যে সাংবাদিক এস.এম. জামাল উদ্দিন বলেন, সংবাদপত্র ও সাংবাদিকদের অধিকার আদায়ের আন্দোলনের বলিষ্ঠ কণ্ঠস্বর ছিলেন সাংবাদিক গিয়াস কামাল চৌধুরী। চলনে-বলনে তিনি ছিলেন সদা জাগ্রত গণতান্ত্রিক আন্দোলনের কাÐারী। বাম ডান সকল পন্থীদের জন্য সাংবাদিক গিয়াস কামাল চৌধুরী ছিলেন অনুকরণীয় ও অনুপ্রেরণার উৎস। সত্যকে প্রকাশ করাই ছিল তাঁর একমাত্র সাধনা।
প্রধান অতিথি মুক্তিযোদ্ধা-সাংবাদিক মইনুদ্দীন কাদেরী শওকত বলেন, পেশাদার সাংবাদিকসহ সর্বস্তরের সকল মানুষের কল্যাণ ও উপকারে গিয়াস কামাল চৌধুরী সবসময় নিজেকে উৎসর্গ করেছিলেন। রাজনৈতিক মত পার্থক্যের ঊর্ধ্বে থেকে তিনি সব মানুষ ও সব সাংবাদিকের উপকার করেছিলেন। এ ধরণের উপকারী সাংবাদিক এখন আর নেই। তাঁর মত উপকারী সাংবাদিক এ যুগে আর পাওয়া যায় না- ভবিষ্যতেও পাওয়া যাবে কি- না সন্দেহ।
দৈনিক নয়াবাংলা সম্পাদক জেড.এম. এনায়েত উল্লাহ বলেন, সাংবাদিক গিয়াস কামাল চৌধুরী ছিলেন মাওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর একান্ত অনুসারী। তিনি ছিলেন সাংবাদিকতার কিংবদন্তী, সংবাদপত্র ও সাংবাদিকদের স্বাধীনতার জন্য তিনি আজীবন লড়াই করে গেছেন।
অধ্যক্ষ মুকতাদের আজাদ খান বলেন, স্বৈরাচারী এরশাদ সরকারের আমলে দেশে যখন ২৯টি পত্রিকার প্রকাশনা নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছিল তখন গিয়াস কামাল চৌধুরী সাংবাদিক নেতাদের মধ্যে প্রথম প্রতিবাদ করেছিলেন। তিনি বলেন, বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতার পথিকৃৎ ছিলেন সাংবাদিক গিয়াস কামাল চৌধুরী। পরিশেষে সাংবাদিক গিয়াস কামাল চৌধুরী’র রুহের মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ দোয়া ও মুনাজাত পরিচালনা করা হয়।