বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘আওয়ামী লীগ একে একে আমাদের সব অর্জন ধ্বংস করেছে। তারা অর্থনীতিকে ধ্বংস করেছে, রাজনীতিকে ধ্বংস করেছে। হামলা ও মামলা এ দু’টি হচ্ছে আওয়ামী লীগের প্রধান অস্ত্র।’
তিনি আরো বলেন, ‘১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের স্বপ্ন ছিলো স্বাধীন গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের, সে স্বপ্ন আজ ভূলুণ্ঠিত। এ সরকার কুইক রেন্টাল ও পাওয়ার প্লান্টের লুটপাট করেছে বলে আজ বিদ্যুতের এ অবস্থা। লাখ লাখ কোটি টাকা দেশ থেকে পাচারের কারণে এখন দুর্ভিক্ষের কথা বলছেন প্রধানমন্ত্রী। এই সরকার বলেছিল ১০ টাকা কেজি দরে চাল খাওয়াবে আর ঘরে ঘরে চাকরি দেবে। চাকরি দিয়েছে তবে আওয়ামী লীগের ছেলেদের তাও ২০ লাখ করে টাকা নিয়ে ‘
তিনি বলেন, ‘বিএনপি জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন নয় তার প্রমাণ আজকের এ গণসমাবেশ। বিএনপি’র এ আন্দোলন বাঙালি জাতিকে রক্ষা করার জন্য।’
গণসমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, ড. মঈন খান, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, বেগম সেলিমা রহমান, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ব্যরিষ্ট্রার শাজাহান ওমর (বীর উত্তম), অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন, আব্দুল আউয়াল মিন্টু, বিএনপি’র যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী সোহেল, কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, অ্যাডভোকেট মজিবর রহমান সরোয়ার, মিডিয়া সেলের প্রধান জহির উদ্দিন স্বপন, বিএনপির বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক বিলকিস জাহান শিরিন। সমাবেশের সভাপতিত্ব করেন বরিশাল মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক মনিরুজ্জামান ফারুক। সঞ্চালনা করেন মহানগর সদস্য সচিব মীর জাহিদুল কবির জাহিদ।
বিভাগীয় এ গণসমাবেশে বরিশাল মহানগর, জেলা, ঝালকাঠী, পটুয়াখালী, ভোলা, পিরোজপুর, বরগুনাসহ দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলা থেকে দলীয় নেতা-কর্মীদের ঢল নামে। সকাল থেকেই বিভাগীয় গণ সমাবেশের স্থল বঙ্গবন্ধু উদ্যান কানায় কানায় ভরে যায়। এরপর আশপাশের সড়কে অবস্থান নেয় আগত নেতা-কর্মী ও সমর্থকেরা।