সাদ্দাম হোসেন
আনোয়ারায় পূর্ব শত্রুতার জের ধরে রূপসী বাংলা কমিউনিটি সেন্টারের সামনে চলাচলের রাস্তার উপর অতর্কিত হামলার ঘটনায় মোঃ জয়নাল আবেদীন বাদী হয়ে ৯ জনের বিরুদ্ধে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রট আদালত-১, চট্টগ্রাম ফৌজদারী অভিযোগ করেন।যার মামলা নং-সি আর ৪৮৩/২২
আদালত সূত্রে জানা যায়, ১ নভেম্বর মঙ্গলবার বিজ্ঞ আদালত এই ঘটনা বিষয়ে আনোয়ারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে ১ দিনের মধ্যে এফআইআর হিসাবে গন্য করে সংশ্লিষ্ট কোর্টে পাঠানোর জন্য নির্দেশ প্রদান করেন।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২২ অক্টোম্বর শনিবার সকাল ১১টায় জয়নাল আবেদীনের বড়বোনের বসতবাড়িতে বাউন্ডরী সীমানার দক্ষিণ-পশ্চিম কর্ণারে ছোট পকেট গেট সংলগ্ন শেটির কাজ করার সময় নুর মোহাম্মদ এর ছেলে মোঃ মহিউদ্দিন এসে লাথি মেরে সিঁড়ি ভেঙ্গে দেয়।
প্রতিবাদ করলে পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে নুর মোহাম্মদ এর ছেলে মোঃ আলমগীর, মোঃ মহিউদ্দিন, মৃত নোয়া মিয়া এর ছেলে মোঃ নাছির, মোঃ মোক্তার এর ছেলে মোঃ মিনহাজ হাতে থাকা লোহার রড়,ছুরি, গাছের বাটাম জয়নাল আবেদীনের উপর হামলা করে। জয়নাল আবেদীনের চিৎকারে বড় বোন রহিমা বেগম ও মোঃ ফোরখ এগিয়ে আসলে তাদের কে গুরুতর আঘাত করে। ধস্তাধস্তির এক পর্যায়ে রহিমা বেগমের গলায় পরিহিত এক ভরি স্বর্ণের চেইন মোঃ মহিউদ্দিন ছিনিয়ে নেন। মৃত আব্দুর রশিদ ছেলে নুর মোহাম্মদ রহিমা বেগমের হাতে থাকা এ্যান্ড্রোয়েড মোবাইল সেট ছিনিয়ে নেন।
মোঃ গিয়াস উদ্দিন, মোঃ জাকারিয়া সহ এক সাথে জয়নাল আবেদীনের বোন ও বোন জামাইয়ের মোঃ ফোরখের মুখে
মরিছের গুড়া ছিটিয়ে দেয় ইট পাটকেল মারতে থাকে।
মোঃ আলমগীর ছুরির গাঁই এর আঘাতে ভিকটিম বেলালের গুরুতর রক্তাক্ত কাটা জখম হয়। তাদের আর্ত চিৎকারে আশে পাশের লোকজন এগিয়ে আসতে দেখে বিবাদীগণ অর্ধমৃত অবস্থায় ভিকটিম বেলালকে রেখে পালিয়ে যায়। স্বাক্ষীগণ বেলালকে গুরুতর অবস্থা চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করান।বর্তমানে ভিকটিম বেলাল চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে।