বহ্দ্দারহাট মোড়ে মিঠাই এর উপরে নাম বিহিন আরো একটি জেণ্টস পার্লার রয়েছে। এটি নিতাই বাবু পরিচালনা করে থাকে।
বসুন্ধরা পার্লারে চলছে ভয়াবহ অনৈতিক ও অসামাজিক কর্মকাণ্ড। সকাল থেকে গভীর রাত অবধি এই অসামাজিক কর্মকাণ্ড চললেও কেউ বাঁধা দেয় না। পরিবেশের নৈতিক অবক্ষয়সহ নানান অভিযোগ আসছে স্হানীয় সাধারণ জনগণের পক্ষ থেকে।ডরে ভয়ে কেউ প্রকাশ্য অভিযোগও করে না।অবিলম্বে এটি বন্ধ করা দরকার বলে স্হানীয় বসবাসকারীরা অভিমত ব্যক্ত করেছেন।
জানা গেছে, ওয়ারেন্টপ্রাপ্ত শামীম নামক এক ব্যাক্তি এইটির মালিক পরিচয় দেয়। আগে আলম নামক এক ব্যাক্তি এটি পরিচালনা করত। পার্লার নামে হলেও এটি একটি মিনি পতিতালয়।ফোনে এই অসামাজিক কর্মকাণ্ড নিয়ে জানতে চাইলে শামীম বলেন, আপনি এখানে আসুন । আপনি নিউজ করতে চাইলে নিউজ করুন। নিউজ করলে কিছু হবে না।ওসি , ডিসিরা আমাদের কিছু করবেন না।কেন করবেন না তা আপনাকে বলব কেন? শামীম দম্ভোক্তি দিয়ে আরো বলেন আমি প্রথম আলোর বিডি জবসে চাকুরী করি। এটির আমি এডমিন ছিলাম।সাংবাদিকতা আমিও বুঝি।”আ” আধ্যক্ষরের সেকেণ্ড অফিসার নামে এক পুলিশ কর্তাও পার্লারের হয়ে কাজ করে বলে শামীমের ঘনিষ্ট কয়েকজন লোক নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এই প্রতিবেদককে জানান।
খবর নিয়ে জানা গেছে, শামীম নামক যে ব্যাক্তি এটির মালিক পরিচয় দেয়, সে একেক জনকে একেক কথা বলে।তার বাড়ীর ঠিকানাও গোপন রাখে সে।সে কাউকে বাড়ীর ঠিকানা খাগড়াছড়ি বললেও আবার কাউকে বলে চকরিয়া ।বিভিন্ন সংবাদপত্রে এই পার্লারের অনৈতিক প্রচার হবার পর এই পার্লারটি বসুন্ধরা গ্রুপের বলে বেড়াচ্ছে। এটির ট্রেড লাইসেন্স নেই , নেই নেম ক্লিয়ারেন্সও।
খবর নিয়ে জানা গেছে, ২নং গেইট প্যারাডাইজ হোটেলের উপরে বসুন্ধরা পার্লার ।এখানে সবসময় ৮/১০ জন তরুণী থাকে।পাহাড়ী মেয়েও রাখে।পাচঁলাইশ থানা এলাকায় এটি অবস্হিত।তার বিরুদ্ধে মানব পাচার ও নারী নির্যাতন মামলা আছে বলে সে নিজেই স্বীকার করে। ওই পার্লারে ওয়ারেণ্ট প্রাপ্ত ব্যাক্তিরা দিব্য সময় কাটাতে পারে ।কোন প্রকার গ্রেফতার হবার আশংঙ্খা নেই।স্হানীয় আশপাশের লোকেরা বিষয়টি নিয়ে বেশ চিন্তিত, কার কাছে গেলে এই অসামাজিক কর্মকাণ্ড বন্ধ হবে তা তারা ভেবে পাচ্ছে না । পুলিশের কাছে অভিযোগ দেবার কথা বললে তারা বললেন অনেক ঝামেলায় পড়ে যাব । পারলে আপনারা নিউজ করে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করুন।
ইতিপূর্বেও এই পার্লার নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়। কার্যকর পদক্ষেপ না নেয়ায় এটি চলছেতো চলছেই।
এদিকে নগরীতে বিউটি পার্লারের আড়ালে চলছে অসামাজিক কাজ। সেলুন নামে পরিচয় দিলেও আসলে সেলুন নয় এইসব পার্লার নামীয় নিষিদ্ধ ঠিকানা।খুলশী থানার সিডিএ এভিনিউ পূর্ব নাছিরাবাদ লায়লা মঞ্জিলে ৩য় তলা তানিয়া জেন্টস বিউটি পার্লারে নানান অসামাজিক কাজের খবর পাওয়া গেছে।এই রকম আরো রয়েছে জেণ্টস পার্লার । তানিয়া পার্লালের মালিক তানিয়ার বাড়ী কক্সবাজারের চকরিয়া বলে জানা গেছে। কর্ণেলহাটে সে নিজের বাসায় থাকে।তানিয়ার আরো একটি জেণ্টস বিউটি পার্লার রয়েছে অলংকার মোড় একটি ৫ তলা বিল্ডিং-এ। বসুন্ধরা পার্লারটি পাঁচলাইশ থানায় অবস্হিত।একই থানার বাদশা মিয়া পেট্রোল পাম্পের পাশে রয়েছে রেড রোজ।রেড রোজ ভিজিটিং কার্ডে লিখেছে স্পা সেলুন, এসি সেলুন ও স্কীন কেয়ার।বিষয়টি কেউ বুঝে কেউ বুঝে না। এইটি নিয়েও স্হানীয় অধিবাসীদের এন্তার অভিযোগ রয়েছে।
বহ্দ্দারহাট মোড়ে মিঠাই এর উপরে নাম বিহিন আরো একটি জেণ্টস পার্লার রয়েছে। এটি নিতাই বাবু পরিচালনা করে থাকে।