সাদ্দাম হোসেন পতেঙ্গা থেকে ঘুরে এসে
পতেঙ্গার কাঠগড় মুসলিমাবাদ এলাকায় সরকারি পরিত্যক্ত জায়গা দখল করে বছরে প্রায় নয় লাখ টাকারও বেশি আয় করছে বলে অভিযোগ উঠেছে ।
জানা গেছে, বিএস দাগ নাম্বার ৬৫৩, ১৫৬ নং খতিয়ানভুক্ত বায়ান্ন শতক অনাবাসিক জায়গায় সেমি পাকা ও সারি সারি টিনশেড স্থাপনা নিমার্ণ করে মাসিক আশি হাজার টাকা ভাড়া আদায় করছে একটি স্হানীয় প্রভাবশালী মহল।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মুসলিমাবাদ এলাকায় একাধিক ব্যাক্তি জানান, বিশাল এই জায়গা দখলে রেখেছেন মৃত আবদুর রাজ্জাক ও মৃত আব্দুল হাবিবের ওয়ারিশ গং।তাদের দখলে থাকা জায়গায় পৃথকভাবে সেমি পাকা ও টিনশেড স্থাপনা ভাড়া দিয়ে মাসে মাসে আদায় করছেন ভাড়া বাবদ উল্লেখিত টাকা।
সরেজমিনে দেখা গেছে, দখলে থাকা পরিত্যক্ত জায়গায় একটি সাইনবোর্ড টাঙ্গিয়ে দেওয়া হয়।সাইনবোর্ডে লেখা হয় পৈত্রিক সূত্রে এই জায়গার মালিক মোঃ শাহ্ আলমগীর পিতা-মৃত আব্দুর রাজ্জাক, মৌজা-উত্তর পতেঙ্গা, আর এস নাম্বার ২৩৫৩,বি এস ৬৫৩।
খতিয়ানে যাদের নাম আছে তা হল, বি এস দাগ নাম্বার ৬৫৩ বি এস খতিয়ান নাম্বার ১৫৬। আবদুর রাজ্জাক, আবদুল মান্নান, আব্দুল হাবিব, পিতা আবদুল গফুর, সাং-মধ্য হালিশহর। মনরমা চৌধুরী, জং ঈশ্বর চন্দ্র চৌধুরী, চারুবালা চৌধুরী, জং ক্ষেমান চন্দ্র চৌধুরী, হাল সাং ভারত পক্ষে বাংলাদেশ সরকার।
মৃত আবদুল রাজ্জাকের পুত্র মোঃ শাহ আলমগীর এর দখলে রয়েছে এসব জায়গা।এই বিষয়ে জানার জন্য সাইনবোর্ডে দেয়া ০১৮১৩ ৩০৪১০০ নাম্বারে বার বার ফোন করলে ফোন রিসিভ না হওয়ায় বিস্তারিত জানা যায়নি। মুঠো ফোনে এসব বিষয় জানার জন্য মেসেজ দিয়েও চেষ্টা করা হয়।
এই বিষয়ে জানতে চাইলে সহকারী কমিশনার (ভূমি) পতেঙ্গা সার্কেল মিজানুর রহমান পূর্ব বাংলাকে বলেন, আমি দাগ নাম্বর ও খতিয়ান নাম্বার দেখে প্রয়োজনীয় আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করব।