নিজস্ব প্রতিবেদক
পেট্টোবাংলা পরিচালক পদে বসাতে আলী ইকবাল মো. নুরুল্লাহর দুর্নীতির অভিযোগে একাধিক মামলা আসামি এবং কর্মরত থাকা অবস্থায় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে অনিয়ম দুর্নীতির সাথে জড়িত, তেল চুরিসহ বিভিন্ন অপরাধের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে। দুর্নীতির অভিযোগে দুদকের মামলা চার্জশীটভুক্ত আসামি তদুপরি আরও একটি মামলা তদন্তাধিন আছে তার বিরুদ্ধে। সম্প্রতি এমন বির্তকিত ব্যাক্তিকে তার দুজন সিনিয়র অফিসারকে বাদ দিয়ে পরিচালক পদে বসাতে সুপারিশ করেছে সুপিরিয়র সিলেকশন বোর্ড (এসএসবি)।
আলী ইকবাল নুরুল্লাহ সরকার বিরোধী বিভিন্ন কর্মকান্ডের সাথেও জড়িত রয়েছে বলে অফিস স্টাফদের অভিযোগ। এমন ব্যাক্তির জন্য সুপারিশ করায় জালানী বিভাগের কর্মকর্তা কর্মচারীদের মধ্যে সমালোচনার ঝড় বইছে । সবার প্রশ্ন এমন একজন চিহ্নিত দুর্নীতিবাজ ব্যাক্তিকে কিসের বিনিময়ে কি যোগ্যতায় কিসের লোভে সুপারিশ করেছে বিষয়টি তদন্ত করার দাবি জানিয়েছে অনেকে।
অভিযোগ রয়েছে আলী ইকবাল মো. নুরুল্লাহার বিরুদ্ধে সিলেটে গ্যাস ফিল্ডের এমডি থাকা অবস্থায় রশিদপুর ফ্রাকমনেশনে ৪০০ ব্যরেল প্ল্যাট স্থাপনের সময় ব্যাপক অনিয়ম দুনীতির অভিযোগ দুদক উপ পরিচালক আবু বকর ছিদ্দিক গত বছরের ২৭ জানুয়ারি নোটিশ দেন। দুদকের তদন্তে নুরুল্লাহার বিরুদ্ধে অনিয়ম দুর্নীতিতে জড়িত থাকার অভিযোগ প্রমানিত হলে তার বিরুদ্ধে দুদক মামলা করে পরে তদন্ত প্রতিবেদন দেন। নুরুল্লার বিরুদ্ধে গত ৫ জুলাই ৫০ লক্ষ টাকার বিনিময়ে এক কর্মচারীকে দিয়ে পেট্টোবাংলা ও খনিজ সম্পদ বিভাগ তার অনিয়ম দুর্নীতির যাবতীয় কাগজ পত্রের ফাইল গায়েব করে ফেলার অভিযোগ রয়েছে। পরে এ অভিযোগ প্রমানিত হয়। পেট্টোবাংলার আওতাধিন রুপান্তরিক প্রাকৃতিক গ্যাস কোম্পানি লিমিটেড এর ম্যানেজারের দায়িত্বে থাকা অবস্থায় ৭০০ কোটি টাকার তেল চুরি করে টাকা আত্মসাতের অভিযোগে দুদক মামলা করেন। জনপ্রশাসন মন্ত্রনালয়ের সিনিয়র সচিবের কাছে লিখিত অভিযোগে জানায়, দুদকের একাধিক মামলা অভিযুক্ত আসামি আলী ইকবাল মো. নুরুল্লাহকে ১০ কোটি টাকা লেনদেনের মাধ্যমে অনিয়ম দুনীতি করে অবৈধভাবে তার সিনিয়র আব্দুল মান্নান পাটোয়ারী ও শংকর মজুমদারকে বাদ দিয়ে ৩ নং স্থানে থাকা আলী ইকবাল মো. নুরুল্লাহকে পেট্টোবাংলার পরিচালক পদের জন্য সুপারশি করেন সুপিরিয়র সিলেকশন বোর্ড (এসএসবি)। এসব দুনীতিবাজদের বিরুদ্ধে আইনগত এবং শাস্তিমূলক ব্যবস্থা না নিয়ে পেট্টোবাংলার মত একটি রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানের পরিচালকের দায়িত্বে দিলে সরকারের দুর্নীতি বিরোধী অভিযান প্রশ্নবিদ্ধ হবে। বিতর্কিত এই ব্যাক্তি পেট্টোবাংলা পরিচালক পদে বসাতে আপত্তি জানিয়ে আসছে পেট্টোবাংলা এবং অধীনন্থ কোম্পানির সকল কর্মকর্তাদের পক্ষে আলী আজগর। বিষয়টি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ ও জ্বালানী বিয়ষক উপদেষ্টা এবং বিদ্যুৎ ও জ্বালানী প্রতিমন্ত্রীর কাছে লিখিত অভিযোগও করেছেন তারা।