ঢাকা অফিস
সেই তরুণী কলেজ শিক্ষার্থী। ২২ বছর বয়সী এই তরুণীর ফেসবুকের মাধ্যমে পরিচয় হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী রিয়াদের সঙ্গে। অল্প কিছুদিনের মধ্যে তাদের সম্পর্ক গভীর হয়। অডিও ও ভিডিও কলে নিয়মিত কথা বলেন। অনেক সময় খোলামেলাভাবে ভিডিও কলে কথা হতো তাদের মধ্যে। ব্যক্তিগত বেশকিছু ছবিও শেয়ার করেন তরুণী। কিছুদিন যাওয়ার পর রিয়াদ কিছু ব্যক্তিগত ছবি ও ভিডিও পাঠিয়ে ভাইরাল করার হুমকি দিয়ে টাকা দাবি করে। মান সম্মানের ভয়ে ওই তরুণী বিভিন্ন সময় রিয়াদকে ৮০ হাজার টাকা দেন। এ ছাড়া খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন রিয়াদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নন। প্রেমের ফাঁদে ফেলার জন্য মিথ্যা পরিচয় দিতো।
মিষ্টি মিষ্টি কথা বলে মেয়েদের প্রেমের ফাঁদে ফেলে ব্যক্তিগত ছবি ও ভিডিও সংগ্রহ করতো। পরে এসব দিয়ে ব্ল্যাকমেইল করে টাকা আদায় করে নিতো। এভাবে গত ২ বছরে কমপক্ষে ৬০ তরুণীর সর্বনাশ করে তাদের কাছ থেকে ৪০ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। সর্বশেষ এই তরুণীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম বিভাগ রিয়াদকে গ্রেপ্তার করে।
ব্যক্তিগত ছবি-ভিডিও দিয়ে শুধু ওই ৬০ তরুণীর সর্বনাশ হয়নি। বরং সাইবার স্পেস ব্যবহার করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অপপ্রচার, অনলাইনে পণ্য কিনতে গিয়ে প্রতারণার শিকার, পর্নোগ্রাফি, কপিরাইট, অনলাইন অ্যাকাউন্ট হ্যাকিং, অনলাইনে ফোনে বার্তা পাঠিয়ে হুমকি, অনলাইনভিত্তিক নানা রকম প্রতারণার ফাঁদে ও ব্ল্যাকমেইলিংয়ের শিকার হচ্ছেন হাজার হাজার অনলাইন ব্যবহারকারী। বিশেষ করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ অনলাইনে বিভিন্ন ধরনের অ্যাকাউন্ট হ্যাক করে সাইবার ব্ল্যাকমেইলিংয়ের মতো ঘটনা এখন হরহামেশা। মান সম্মানের পাশাপাশি অনেকেই সামাজিক অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।
সাইবার অপরাধ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ক্রমান্বয়ে বাড়ছেই সাইবার অপরাধ। প্রতি বছরই মামলা, ভুক্তভোগী, গ্রেপ্তারের সংখ্যা বাড়ছে। সাইবার অপরাধ মোকাবিলা করতে গিয়ে রীতিমতো হিমশিম খাচ্ছেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। সাইবার স্পেস ব্যবহার করে বিভিন্ন অপরাধের জন্য প্রতিনিয়তই মামলা হচ্ছে আসামিও গ্রেপ্তার হচ্ছে। তবুও যেন পেরে ওঠা যাচ্ছে না সাইবার সন্ত্রাসীদের সঙ্গে। যাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে তাদের অনেকেই জেলে অবস্থান করছে অন্যদিকে নতুন নতুন অপরাধীর সৃষ্টি হচ্ছে। পেশাদার অপরাধীরা জেনেশুনে টাকা আয়ের জন্য অপরাধ করছে। আর সাইবার স্পেস ব্যবহারের ক্ষেত্রে অনবিজ্ঞরাই কেবল তাদের শিকার হচ্ছেন।
ঢাকায় সাইবার ক্রাইমের অপারেশনাল কাজ করে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) ও কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইমের (সিটিটিসি) সাইবার ইউনিট। এ ছাড়া র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) ও পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগও (সিআইডি) সাইবার নিয়ে মাঠ পর্যায়ে কাজ করে। এসব সংস্থা ভুক্তভোগীদের সবসময় সাইবার নিরাপত্তা দিয়ে থাকেন। ভুক্তভোগীদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে আসামি গ্রেপ্তার করেন। সিটি সাইবার, ডিবি সাইবার ও র্যাবের সাইবার ইউনিটের কয়েক বছরের পরিসংখ্যান এসেছে মানবজমিনের হাতে। এ থেকে দেখা যায় এই তিনটি ইউনিটের সাইবার ইউনিটের যাত্রার পর থেকে এখন পর্যন্ত মামলা হয়েছে ১৩২৭টি। এসব মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে ১৭৫৯ জন সাইবার সন্ত্রাসীকে।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম বিভাগের সাইবার ক্রাইম ইউনিট জানিয়েছে, ২০১৭ সালে তাদের কাছে যে সমস্ত অভিযোগ এসেছিল তারমধ্যে থেকে ৭৩টি মামলা রুজু হয়। এসব মামলায় ৬৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। ওই বছরেই ২৯টি মামলা নিষ্পত্তি করা হয়। পরের বছর ২০১৮ সালে মামলা বেড়ে দাঁড়ায় ১৬৫টি। এসব মামলায় গ্রেপ্তার করা হয় ১৮৬ জনকে। ৪৪টি মামলার বাদী ছিল পুলিশ। ওই বছর ৪৯টি মামলা নিষ্পত্তি করা হয়। ২০১৯ সালে মামলা কিছুটা কমে দাঁড়ায় ১১৯টি। ১৩টি মামলার বাদী ছিল পুলিশ। এসব মামলায় গ্রেপ্তার করা হয় ১০১ জনকে। ওই বছরে ১৪৪টি মামলা নিষ্পত্তি করা হয়।
২০২০ সালে মামলা হয় ৬৬টি। কারণ ওই বছর সিটি সাইবারের পাশাপাশি ডিবি পুলিশের সাইবার ইউনিট গঠন করা হয়। এ ছাড়া করোনা মহামারির কারণে মানুষ ঘরবন্দি ছিল। এতে করে অভিযোগকারীদের কেউ সিটি সাইবারে কেউ ডিবি সাইবারে চলে যান। এতে করে মামলার সংখ্যাও ভাগ হয়ে যায়। ওই বছর ২টি মামলার বাদী ছিল পুলিশ। গ্রেপ্তার করা হয় ৬৫ জনকে। ৮৬টি মামলাও নিষ্পত্তি করা হয়। ২০২১ সালে ৯১টি মামলা হয়। ১৫টি মামলার বাদী ছিল পুলিশ। গ্রেপ্তার করা হয় ১২০ জনকে। ওই বছর ১১৬টি মামলা নিষ্পত্তি করা হয়। আর চলতি বছরের আগস্ট মাস পর্যন্ত মামলা হয়েছে ৭৩টি। ৯টি মামলায় পুলিশ বাদী। গ্রেপ্তার করা হয় ৮১ জনকে। এ বছর মামলা নিষ্পত্তি হয়েছে ৮০টি। সবমিলিয়ে সিটি সাইবারে প্রায় সাড়ে ৫ বছরে মামলা হয়েছে ৫৮৭টি। গ্রেপ্তার করা হয়েছে ৬২০ জনকে। ৮৩টি মামলার বাদী ছিল পুলিশ। মামলা নিষ্পত্তি করা হয়েছে ৫০৪টি।ডিবি সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম বিভাগের তথ্যমতে, ২০২০ সালের জুলাই থেকে যাত্রা শুরুর পর থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত মামলা হয়েছে ৪২টি। এরমধ্যে ফেসবুক ও অন্য হ্যাকিংয়ের কারণে ২টি মামলা, পর্নোগ্রাফি ধারণ ও প্রচারের কারণে ৭টি, মোবাইল ব্যাংকিং প্রতারণায় ৬টি, অনলাইনে পণ্য ক্রয় সংক্রান্ত প্রতারণা ১টি, অনলাইন মাধ্যম ব্যবহার করে প্রতারণায় ৩টি, অনলাইন হয়রানির কারণে ১টি, মানহানিকর বক্তব্য ও মিথ্যা তথ্য প্রচারের ১৫টি ও অন্য কারণে ৭টি মামলা হয়েছে। ২০২১ ডিবি সাইবার থেকে মামলা করা হয়েছে ২০৬টি। এর মধ্যে ফেসবুক ও অন্য হ্যাকিংয়ের কারণে ১৭টি মামলা, পর্নোগ্রাফি ধারণ ও প্রচারের কারণে ২৪টি, মোবাইল ব্যাংকিং প্রতারণায় ৫১টি, অনলাইনে পণ্য ক্রয় সংক্রান্ত প্রতারণা ৪টি, অনলাইন মাধ্যম ব্যবহার করে প্রতারণায় ৩২টি, অনলাইন হয়রানির কারণে ৫টি, মানহানিকর বক্তব্য ও মিথ্যা তথ্য প্রচারের ৪২টি ও অন্য কারণে ৩১টি মামলা হয়েছে। ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মামলা হয়েছে ১৩২টি। এর মধ্যে ফেসবুক ও অন্য হ্যাকিংয়ের কারণে ৮টি মামলা, পর্নোগ্রাফি ধারণ ও প্রচারের কারণে ২৮টি, মোবাইল ব্যাংকিং প্রতারণায় ২১টি, অনলাইনে পণ্য ক্রয় সংক্রান্ত প্রতারণা ১টি, অনলাইন মাধ্যম ব্যবহার করে প্রতারণায় ২৬টি, অনলাইন হয়রানির কারণে ১টি, মানহানিকর বক্তব্য ও মিথ্যা তথ্য প্রচারের ৩০টি ও অন্য কারণে ১৭টি মামলা হয়েছে।
ডিবি সাইবারসূত্র জানিয়েছে, ২০২০ সালের জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত ৪২টি মামলায় আসামি গ্রেপ্তার করা হয়েছে ৫৪টি। পুলিশ প্রতিবেদন দেয়া হয়েছে ১৬টি। ২০২১ সালের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত ২০৬টি মামলায় ২৩৬ জন আসামি গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ১৩৫টি মামলায় পুলিশ প্রতিবেদন দেয়া হয়েছে। ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত ১৩২টি মামলায় ১৯৪ জন আসামি গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ বছর পুলিশ প্রতিবেদন দেয়া হয়েছে ১৪৫টির। সবমিলিয়ে ২০২০ সালের জুলাই থেকে চলতি বছরের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৩৮০ মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে ৪৮৪ জন সাইবার সন্ত্রাসীকে। র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) সদর দপ্তরসূত্র জানিয়েছে, তাদের সাইবার ক্রাইম বিভাগ প্রতিষ্ঠা থেকে এখন পর্যন্ত মামলা হয়েছে ৩৬০টি। এসব মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে ৬৫৫ জনকে। মোট অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে ৩৬৯টি। আর চলতি বছরে ৭৮টি অভিযান পরিচালনা করে ১৪৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এসব ঘটনায় মামলা হয়েছে ৭৮টি।
সিআইডি’র সাইবার পুলিশ সেন্টারের (সিপিসি) কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সাইবার স্পেস ব্যবহার করে অপরাধ প্রবণতা বাড়ছে। বুঝে না বুঝেই মানুষ এই অপরাধের সঙ্গে জড়িত হচ্ছে। আবার অনেকেই পেশাদার সাইবার অপরাধী। সিআইডি’র সিপিসি চালু হওয়ার পর থেকে প্রতি মাসেই কয়েকশ’ অভিযোগ আসে। বেশির ভাগ ভুক্তভোগী মামলা না করেই সেবা পেতে চান। অনেকে শুধুমাত্র জিডি করতেও রাজি হন না। তাই এসব ক্ষেত্রে আসামিকে আইনের আওতায় আনা কষ্টকর। তবে গড়ে প্রতি মাসেই অর্ধশতাধিক মামলা হয়। বেশির ভাগ মামলা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক, ইমো, হোয়াটসঅ্যাপ ভিত্তিক। নারীরাই বেশি সাইবার ক্রাইমের শিকার হচ্ছেন। এ ছাড়া মোবাইল ব্যাংকিং, ফেসবুক পেজ খুলে বিভিন্ন পণ্যর অনলাইন ব্যবসাসহ আরও বেশ কিছু প্রতারণা হচ্ছে। প্রতারকদের ফাঁদে পড়ে নিঃস্ব হয়ে অনেকেই সিপিসি’তে আসেন।সাইবার ক্রাইম অ্যাওয়ারনেস ফাউন্ডেশনের (সিসিএ ফাউন্ডেশন) এক জরিপে বলা হয়েছে, ভুক্তভোগীদের বেশির ভাগই সাইবার বুলিংয়ের শিকার। এবারের জরিপে সাইবার বুলিংয়ের শিকার হওয়া ভুক্তভোগী কিছুটা বেড়ে ৫০.২৭ শতাংশ হয়েছে, যা গতবারের প্রতিবেদনে ছিল ৫০.১৬ শতাংশ। জরিপে বলা হয়েছে সাইবার অপরাধের মধ্যে প্রথম স্থানে রয়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ অন্য অনলাইন অ্যাকাউন্ট হ্যাকিংয়ের ঘটনা, যার হার ২৩.৭৯ শতাংশ। ২০২১ সালের প্রতিবেদনে এই হার ছিল ২৮.৩১ শতাংশ, যা এবারের তুলনায় ৪.৫২ শতাংশ বেশি। চিন্তার বিষয় হলো, গতবারের প্রতিবেদনে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অপপ্রচারের ঘটনা ছিল ১৬.৩১ শতাংশ। কিন্তু এবার তা বেড়ে গিয়ে দাঁড়ায় ১৮.৬৭ শতাংশ, যা গতবারের তুলনায় ২.৩৬ শতাংশ বেশি। যৌন হয়রানিমূলক একান্ত ব্যক্তিগত মুহূর্তের ছবি/ভিডিও (পর্নোগ্রাফি) ব্যবহার করে হয়রানির পরিমাণ গতবার ৭ দশমিক ৬৯ শতাংশ ছিল কিন্তু সেটা এবার বেড়ে গিয়ে দাঁড়ায় ৯ দশমিক ৩৪ শতাংশে এবং ফটোশপে ভুক্তভোগীর ছবি বিকৃত করে হয়রানির ঘটনা গতবারের প্রতিবেদনে ৫ দশমিক ৮৫ শতাংশ পাওয়া গেলেও এবার তা ১ দশমিক ৮ শতাংশ বেড়ে গিয়ে দাঁড়ায় ৬ দশমিক ৯৩ শতাংশ।
যারা ভুক্তভোগী হচ্ছেন তাদের বেশির ভাগের বয়স ১৮-৩০ বছর এবং ভুক্তভোগীদের হার ৮০ দশমিক ৯০ শতাংশ। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ১৮ বছরের কম বয়সী ভুক্তভোগী এবং এই ভুক্তভোগীদের হার ১৩ দশমিক ৫৭ শতাংশ। তৃতীয় স্থানে রয়েছে ৩১-৪৫ বছর বয়সের ভুক্তভোগী যাদের হার ৫ দশমিক ০৩ শতাংশ এবং সর্বশেষ অবস্থান করছে ৪৫ বছরের ঊর্ধ্বের ভুক্তভোগী, যার হার দশমিক ৫০ শতাংশ। ভুক্তভোগীদের মধ্যে পুরুষের সংখ্যা ৪৩.২২% এবং নারীদের সংখ্যা ৫৬.৭৮%। তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে দেখা যায় যে, ভুক্তভোগীদের মধ্যে তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক আইন সম্পর্কে জানেন ৪৩.২২ শতাংশ। বাকি ৫৬.৭৮ শতাংশ ভুক্তভোগীর দেশে বিদ্যমান আইন সম্পর্কে কোনো ধারণা নেই। গত বছরের সঙ্গে তুলনা করলে দেখা যায় যে, এই বছরে তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক আইন সম্পর্কে জানেন এমন ভুক্তভোগীর সংখ্যা অনেকাংশে কমে এসেছে। গত বছর যার হার ছিল ৬৪.২৯% তা এই বছরে এসে দাঁড়িয়েছে ৪৩.২২%। অর্থাৎ, গত বছরের তুলনায় তা ২১.০৭% কম।