হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এপিবিএন-কাস্টমস ও এনএসআইয়ের যৌথ অভিযানে পায়ুপথে স্বর্ণ আনা দুই যাত্রীকে আটক করা হয়েছে। উদ্ধার করা হয়েছে তিন কেজি স্বর্ণ। আটক দুই যাত্রী হলেন- সুমন ও আমিন অর রশিদ। তারা ১৪ অক্টোম্বর শুক্রবার রাত ১১টা ২০ মিনিটে দুবাই থেকে ঢাকায় ফেরত ইকে ৫৮৪ ফ্লাইটে অবতরণ করেন।
এ বিষয়ে শনিবার (১৫ অক্টোবর) বিমানবন্দর এপিবিএন’র অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জিয়াউর রহমান বলেন, ওই দুই যাত্রী ৩৫ডি ও ৩৫জি সিটের। তারা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করার পর এপিবিএন’র কাছে তথ্য আসে রেকটামে স্বর্ণ আছে।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কাস্টমস গোয়েন্দা এয়ারপোর্ট সার্কেল (শিফট-এ), এপিবিএন ও এনএসআই গোয়েন্দা দল রাত সাড়ে ১১টার দিকে অভিযান চালিয়ে ওই দুই যাত্রীকে বিমানের ভেতরে শনাক্ত করে। তাদের আটক করে ইমিগ্রেশন করে কাস্টমস এরিয়াতে নিয়ে আসা হয়।
এ ব্ষিয়ে জানা গেছে- রেকটামে স্বর্ণ আছে-এয়ারপোর্ট আর্মড পুলিশ (এপিবিএন) এর দেয়া এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কাস্টমস গোয়েন্দা এয়ারপোর্ট সার্কেল (শিফট-এ) ও এনএসআই অভিযান চালায়। ওই যাত্রীদ্বয়কে বিমানের ভিতর সনাক্তের পর আটক করে ইমিগ্রেশন করে কাস্টমস এরিয়াতে নিয়ে আসে। প্রথমে তাদের কাছ থেকে ৪টি স্বর্ণবার ৪৬৪ গ্রাম ও ১৯৬ গ্রাম স্বর্ণালংকার স্বর্ণ পাওয়া যায়।
পরে রাত আনুমানিক সাড়ে বারটায় এমিরেটস এয়ারলাইন্স প্রতিনিধি ও এভিয়েশন সিকিউরিটি (এ্যাভসেক) ও এনএসআই-এর তথ্য মোতাবেক কাস্টম হাউস প্রিভেন্টিভ টীম ও কাস্টমস গোয়েন্দা এয়ারপোর্ট সার্কেল টীম অভিযান চালায়। তখন আসামীদ্বয়ের বোর্ডিংকৃত ফ্লাইট নং ইকে ৫৮৪ এ বোর্ডিং পাসে উলিখিত সীট নম্বরে রামেজিং করে স্কচটেপ দিয়ে মোড়ানো ১০ (দশ) টি ছেটি ছোট প্যাকেট পাওয়া যায়।
পরে বিমান বন্দরে কর্মরত বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিগণের এবং স্বাক্ষীদ্বয়ের উপস্থিতিতে ১০ টি প্যাকেট খুলে স্বর্ণসদৃশ পেস্ট ২৩৪০ গ্রাম বা ২.৩৪ কেজি উদ্ধার করা হয়।
আগে পরে মিলিয়ে তাদের কাছ থেকে মোট তিন কেজি স্বর্ণ জব্দ করা হয় যার বাজার মূল্য আড়াই কোটি টাকা।। এরপর আসামীদ্বয়কে আটক করা হয়।