বয়স একশ ছুঁইছুঁই, কারও নানি আবার কারও দাদি। এ বয়সে ঘরে থাকার কথা থাকলেও বিচরণ সড়কে। পান তৃপ্তিও। গোপালগঞ্জের নড়াইল থানার কাইষ্যাদি থেকে স্বাধীন এর বছরখানেক পর পা ফেলেন বন্দর নগরী চট্টগ্রামে। ঠিকানা হয় আগ্রাবাদ সি জি এস কলোনিতে। এখন থাকেন হালিশহর থানাধীন শান্তিবাগে। বিবাহ বন্ধনের দুই বছরের মাথায় হারান স্বামী। ছেলে নিয়ে বেঁচে থাকার সংগ্রামে হারও মানেনি, বলছিলাম আগ্রাবাদ সরকারি কার্য ভবনের সামনে ছেলের পান সিগারেটের দোকানে সময় পারকারী নুর জাহানের কথা। নানি-দাদির ডাকে হাসি-ঠাট্টায় বেশ কাটছে সময়। শট, নুর জাহান, পানবিক্রেতা। আমি তিনাকে নানী বলেই ডাকি। পান খেতে আসা প্রায় সবাই ওনাকে নানী বলেই ডাকে জানিয়ে পাশ্ববর্তি দোকানদার শাকিল বলেন- সিংক, মোঃ শাকিল, ফুটপাতে ভাসমান চা বিক্রেতা। নানির পান খেতে ভালো লাগে জানিয়ে ভ্যান চালক বলেন, সিংক ২, ভ্যানচালক। সিংক ৩, সিএনজি চালক। ছেলে দোকানে না থাকলে নুর জাহান চালিয়ে যান দোকানদারি। এ বয়সে অনেকে বৃদ্ধাশ্রম কিংবা চলাচলে অচল হয়ে আছেন শয্যাশায়ী। কিন্তু নুর জাহানের মধ্যে তার বিন্দুমাত্র ছাপও পড়েনি। অন্যের সহযোগিতা না নিয়ে ক্রেতারা যা চাচ্ছেন তাই দিচ্ছেন। নেই কোনো চিন্তাও। পাচ্ছেন তৃপ্তিও শুধু তাই নয়, আশপাশের দোকানিরাও তাকে সম্বোধন করেন নানি বলে। জীবনে শেষ বয়সের দারপ্রান্তে আসা বৃদ্ধা এ নুর জাহানের হার ঢাকে সরগরম থাকে সিজিও বিল্ডিংয়ের ফুটপাতের ভাসমান এ বাজারটি।