সাইফুল ইসলাম
বসুন্ধরা পার্লার এর নামে নানান অভিযোগ আসছে স্হানীয় সাধারণ জনগণের পক্ষ থেকে।ডরে ভয়ে কেউ প্রকাশ্য অভিযোগও করে না। এই পার্লারে চলছে ভয়াবহ অনৈতিক ও অসামাজিক কর্মকাণ্ড। সকাল থেকে গভীর রাত অবধি এই অসামাজিক কর্মকাণ্ড চললেও থানা পুলিশ কেউ বাধা দেয় না।
জানা গেছে, ওয়ারেন্টপ্রাপ্ত শামীম নামক এক ব্যাক্তি এইটির মালিক পরিচয় দেয়। আগে আলম নামক এক ব্যাক্তি এটি পরিচালনা করত। পার্লার নামে হলেও এটি একটি পতিতালয়।ফোনে এই অসামাজিক কর্মকাণ্ড নিয়ে জানতে চাইলে শামীম বলেন, আপনি এখানে আসুন । আপনি নিউজ করতে চাইলে নিউজ করুন। নিউজ করলে কিছু হবে না।ওসি , ডিসিরা আমাদের কিছু করবেন না।কেন করবেন না তা আপনাকে বলব না। শামীম দম্ভোক্তি দিয়ে আরো বলেন আমি প্রথম আলোর বিডি জবসে চাকুরী করি। এটির আমি এডমিন ছিলাম।সাংবাদিকতা আমিও বুঝি।”আ” আধ্যক্ষরের সেকেণ্ড অফিসার নামে এক পুলিশ কর্তাও পার্লারের হয়ে কাজ করে বলে শামীমের কয়েকজন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ঘনিষ্ঠজন এই প্রতিবেদককে জানান।
খবর নিয়ে জানা গেছে, ২নং গেইট প্যারাডাইজ হোটেলের উপরে বসুন্ধরা পার্লার ।এখানে সবসময় ৮/১০ জন তরুণী থাকে।পাহাড়ী মেয়েও রাখে।পাচঁলাইশ থানা এলাকায় এটি অবস্হিত।তার বিরুদ্ধে মানব পাচার ও নারী নির্যাতন মামলা আছে বলে সে নিজেই স্বীকার করে। ওই পার্লারে ওয়ারেণ্ট প্রাপ্ত ব্যাক্তিরা দিব্য সময় কাটাতে পারে ।কোন প্রকার গ্রেফতার হবার নেই।স্হানীয় আশপাশের লোকেরা বিষয়টি বেশ চিন্তিত, কার কাছে গেলে এই অসামাজিক কর্মকাণ্ড বন্ধ হবে তা তারা ভেবে পাচ্ছে না । পুলিশের কাছে অভিযোগ দেবার কথা বললে তারা বললেন অনেক ঝামেলায় পড়ে যাব । পারলে আপনারা নিউজ করে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করুন।
ইতিপূর্বেও এই পার্লার নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হয়। কার্যকর পদক্ষেপ না নেয়ায় এটি চলছেতো চলছেই।