কুমিল্লা প্রতিনিধি
বহু আলোচিত সমালোচিত হোমিও কলেজের শিক্ষিকা ফখরুন নাহার রৌশনকে জমিরিয়া মাদ্রাসা শিক্ষক মাওলানা জাহাঙ্গীর আলম সবুজ সঙ্গে দিগম্বর অবস্থায় আটক করে স্থানীয় জনতা। গত কিছু দিন পূর্বে উপজেলার ঢালুয়া ইউপির ঢালুয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের গেইটের সামনে আহমাদ হোমিওপ্যাথি মেডিসিন সেন্টার ভিতরে রাত ৩টার সময় তাদের আটক করা হয়। সুত্রে জানা যায়, ফখরুন নাহার রৌশনের একটি ছেলে জমিরিয়া মাদ্রাসা পড়াতেন। সেই সুবাদে রৌশন প্রায় সময় মাদ্রাসায় আসা যাওয়া করে। এরি ফাঁকে পরকীয়া প্রেমে জড়িয়ে পড়েন মাওলানা জাহাঙ্গীর আলম সবুজের সঙ্গে। প্রায় সময় দুজন দেখা করত দূরে কথাও গিয়ে। সর্বশেষ গত কয়েক দিন পূর্বে রাত ৩ টার সময় সবুজকে নিজ প্রতিষ্ঠান আহমাদ হোমিও মেডিসিন সেন্টার ডেকে নিয়ে যান রৌশন। সেখানে আপত্তিকর অবস্থায় দুজনকে আটক করে স্থানীয় লোকজন। পরে স্থানীয়ে লোকজন ও রৌশনের পিতা মাওলানা মকবুল আহাম্মদ মিলে ঘটনাটির দামাচাপা দেয়। এ বিষয় মাওলানা জাহাঙ্গীর আলম সবুজের মুঠো ফোনে বার বার কল দিও বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি। সাংবাদিক পরিচয় দেয়ার সঙ্গে সঙ্গে রৌশনও তার মুঠো ফোন বন্ধ করে দেয়। জমিরিয়া মাদ্রাসার সুপার মাও. সাইফুল ইসলাম বলেন, আপনার সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলতে পারবো না। আমরা শিক্ষক জাহাঙ্গীর আলম সবুজকে বহিষ্কার করে দিয়েছি। ইউপি চেয়ারম্যান নাজমুল হাসান ভূইয়া বাছিরও এ বিষয়ে কথা বলতে রাজি নন। উল্লেখ্য- ঢালুয়া ইউনিয়নের বদরপুর গ্রামের এ রৌশন প্রায় ১০ বছর আগে ইসলামী শরিয়া মোতাবেক এনায়েত উল্যাহ নামের এক যুবকের সাথে তার বিয়ে হয়েছে। এনায়েতের বাড়ি পাশ্ববর্তী জোড্ডা ইউনিয়নের দুইয়ারা গ্রামে। বিয়ের কিছুদিন পর স্বামী এনায়েত উল্যাহ বিদেশ চলে যায়। রৌশনের কোলজুড়ে আসা প্রথম সন্তান জন্মের কয়েক মাস পর মারা যায়। বহুরুপী সেই রৌশনের পরকীয়ার শিকার হয়ে সর্বশান্ত হয়েছে অসংখ্য যুবক। তার পরকীয়া থেকে বাদ যায়নি হিন্দু যুবকও। যুবকদেও সাথে অশ্লীল কাজের বিভিন্ন ভিডিও, ছবি ও কল রেকর্ড থেকে এ তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রৌশন নাঙ্গলকোটের বাদশা আমেনা হোমিও কলেজের শিক্ষিকা হিসেবে চাকুরী করছে। স্বামী বিদেশ থাকার সুযোগে শুরু হয় রৌশনের পরকীয়া প্রেম। এনিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া শুরু হয়। ঝগড়ার অযুহাতে রৌশন স্বামীর বাড়ি ত্যাগ করে বাবার বাড়িতে চলে আসে। তবুও বন্ধ হয়নি তার পরকীয়া প্রেম। তার প্রেমে বাদ পড়েনি হিন্দু যুবকও। বাবার বাড়িতে এসে সে ‘আহমেদ হোমিও হল’ নামের একটি হোমিও চেম্বার খুলে। ওই চেম্বারে রোগী দেখার পাশাপাশি চালায় অসামাজিক কার্যকলাপ। সেখানে প্রেম করা যুবকদের সাথে অন্তরঙ্গ ছবি তুলে। এমনই এক যুবক তার প্রতারণার শিকার হয়ে রৌসনের মোবাইলে তোলা অশ্লীল সব ছবি ও একাধিক যুবকের সাথে কথা বলার রেকর্ডসহ বিভিন্ন ডকুমেন্ট সাংবাদিকদের নিকট দেয়। অভিযোগে আরও জানা গেছে, রৌশন তার গ্রামের শিব্বির আহমেদ নামের এক যুবকের সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলে। বিভিন্ন পার্কে গিয়ে তার সাথে অন্তরঙ্গ ছবি তুলে। এছাড়াও ইমুতে কল করে উঠতি বয়সের যুবকদের তার পোশাক বিহীন ছবি দেখিয়ে পাগল করে তুলে। তার প্রেমের লীলা খেলায় নষ্ট হচ্ছে গ্রামের যুবকরা।