কুমিল্লা প্রতিনিধি
কুমিল্লা জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য আবু বক্কর ছিদ্দিক আবু। সারাদেশের ন্যায় আগামী ১৭ অক্টোবর কুমিল্লা জেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। প্রথম বারের মতো ইভিএম পদ্ধতি ব্যবহার করে ভোট নিতে যাচ্ছেন নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আবারও দলীয় মনোনয়ন পেয়ে ঢোল প্রতীকে জেলার ১৫ নং ওয়ার্ড সদস্য হিসেবে নাঙ্গলকোট উপজেলা নির্বাচন করছেন আবু বক্কর ছিদ্দিক আবু। গত ৫ বছরে জেলা পরিষদ সদস্য হিসেবে দায়িত্ব থাকাকালীন সময়ে নাঙ্গলকোট উপজেলা চেয়ারম্যান সামছুউদ্দিন কালুর বাড়ির সামনে চেয়ারম্যান মসজিদ ছাড়া আর কোন উন্নয়ন মূলক কাজ তিনি করতে পারেননি। নাঙ্গলকোটের চেয়ারম্যান কিংবা মেম্বারদের কোন খোঁজ খবর নেননি এমনি অভিযোগও উঠেছে তার বিরুদ্ধে। নির্বাচন আসলে তাকে মাঠে দেখা যায়। এর আগে না। তিনি ঢোল প্রতীক পেয়ে প্রতিটি ইউনিয়ন পরিষদে গিয়ে নির্বাচনী সভা সেমিনার করছেন। ভোট চাচ্ছেন ঢোল প্রতীকের। ঢোল শুধু নামেই ঢোল, কাজের বেলা কিছু নেই। তিনি টাকা দিয়ে পদ নেন এমনি অভিযোগও রয়েছে। তিনি কি ব্যবসা করে টাকা ইনকাম করেন এটা কারও অজানা নয়।
অনুসন্ধানে জানা যায়, আবু বক্কর ছিদ্দিক আবু ঢালুয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের সভাপতি থাকাকালীন সময়ে একটি টাকার উন্নয়ন কাজ করতে পারেনি। উল্টো সে ওই বিদ্যালয়ের লাখ লাখ টাকার দূর্ণীতি করেছে। পরে নিরুপায় হয়ে তাঁকে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি থেকে বাদ দেয় এলাকাবাসী। বর্তমানে ঢালুয়া উচ্চ বিদ্যালয়ে চার তালা ভবন সহ বিভিন্ন উন্নয়ন মূলক কাজ হয়েছে। সর্বশেষ তিনি কুমিল্লা জেলা শতবর্ষী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ময়ূরা উচ্চ বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি হন। এ প্রতিষ্ঠানটির সুনাম ছড়িয়ে আছে দেশে দেশে। শিক্ষার আলোয় ছড়িয়ে আছে প্রতিটি অঞ্চলে। আজকে এ প্রতিষ্ঠানটি ধুঁকে ধুঁকে মরছে। নেই কোন ভালো মানের ভবন। নানা সংকটে রয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। উন্নয়নমুখী এ সরকারের আমলে উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি শতবর্ষী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটিতে। সেখানেও দূর্ণীতিবাজ প্রধান শিক্ষক শাহাজাহানকে হাত করে লাখ লাখ টাকার দূর্ণীতি করছেন। চতুর এ প্রধান শিক্ষক কিভাবে দূর্ণীতি করতে আগ থেকেই তা ভালোই জানা আছে। গত ৫ বছরে জেলা পরিষদের সদস্য পদ নির্বাচনে কেন্দ্র দখল করে ১৫ নং ওয়ার্ড নাঙ্গলকোট উপজেলা সদস্য হিসেবে জয় লাভ করেন। এরপর থেকে নাঙ্গলকোটে একটি টাকারও উন্নয়ন কাজ করেননি। করেছেন নাঙ্গলকোট উপজেলা চেয়ারম্যান বাড়ি মসজিদ। এ বিষয়ে নাম না প্রকাশ করা শর্তে অনেক ইউপি সদস্য বলেন, গত সেশনে আবু বক্কর ছিদ্দিক আবু ভাইকে প্রকাশে সিল দিয়ে জয় লাভ করাই। কি লাভ হয়েছে আমাদের। কোনদিন সহযোগিতাতো দূরের কথা একটু খবর রাখেনি। তিনি এলাকার কিসের উন্নয়ন করবেন। তিনি নিজের ও স্বজনের উন্নয়ন নিয়ে ব্যাস্থ থাকেন। কেন জানি এইসব লোকদের মনোনয়ন দেয়। তা আমার জানা নেই। এ বিষয়ে আবু বক্কর ছিদ্দিক আবু, অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল (লোটাস কামাল) এমপির মাধ্যমে উন্নয়ন মূলক কাজ করছি। তবে কে বা কারা আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অপবাদ দিয়েছে। যা সঠিক নয়। তিনি এ নাঙ্গলকোটে উপজেলা একটি আধুনিক মডেল উপজেলা করার পরিকল্পনা করছেন।