রায়হান হোসাইন
নাজমা, পতিতা সম্রাজ্ঞীণী, বিভিন্ন এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকে চার থেকে ছয় মাস। ওই ভাড়া বাসাতে চালান অনৈতিক ব্যবসা। হাতের নাগালে অনেক নারীও রয়েছে। খদ্দরের দৈহিক চাহিদা পূরণে পছন্দের নারীদের ব্যবস্থা করে সে। যে থানা এলাকায় কর্মকাণ্ড চালান সেখানে প্রশাসনকে মাসোয়ারা দেন। অপরদিকে তার অনৈতিক এ কর্মকাণ্ডে মুখ খুলতে ভয় করেন এলাকার বাসিন্দারা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে নাজমা হালিশহর থানাধীন শান্তিবাগে ভাড়া বাসায় ব্যবসা চালিয়েছেন। এর পর রঙ্গিপাড়া, সবুজবাগ এবং বর্তমানে পাহাড়তলি থানা এলাকার সরাইপাড়া লোহারপুল অন্তর্গত সাবেক কাউন্সিলর মোর্শেদের বাড়ির পেছনে রুবির বাড়ি নামে দোতলা ভবন ভাড়া নিয়ে সেখানে নির্ভয়ে চালাচ্ছেন পতিতার ব্যবসা। রুবির ছত্রছায়ায় নাজমা এখন আগের চাইতে অনেক বেপরোয়া।
এলাকাবাসির অভিযোগ, রুবির আশ্রয় প্রশ্রয়ে পতিতা ব্যবসায়ি নাজমার বিরুদ্ধে কোনো প্রতিবাদ করা যায় না। সে রুবির ভাড়াটিয়া, তার অনৈতিক দেহ ব্যবসার বিরুদ্ধে কথা বললেই রুবি ভাড়াটিয়া নাজমার পক্ষ নিয়ে বিশ্রী গালমন্দ করে। যার ফলে এলাকাবাসি ইজ্জতের দিকে তাকিয়ে এবিষয়ে কথা বলছে না। নাম প্রকাশে অনিচ্ছা পোষণ করে একাধিক স্থানীয়রা জানান, এ এলাকায় নাজমা-রুবি দেহ ব্যবসায় ‘টক অব দ্যা টক’। সবাই জানলেও না জানার মতই। থানা পুলিশ বিষয়টি জানে কিনা বা জানিয়েছেন কিনা জানতে চাইলে স্থানীয়রা বলেন, একথা আ নতুন কি? পুলিশ জানেনা এৃন কিছু আছে? ওসি না জানলেও ডিউটি অফিসারেরা ঠিক জানে।
এই বিষয়ে নাজমা বলেন ,ভোলায় আমার বাড়ী। আমার স্বামী নেই।অভাবের সংসার ও দেহের চাহিদা মেটাতে আমি নিজেও করি। আমিও এই দেশের নাগরিক।আমারও অধিকার আছে।আপনি আমাকে ধরে নিয়ে যান।
অপরদিকে স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগের বিষয়ে পাহাড়তলি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি জানান, এ বিষয়ে আমি অবগত নই। তদন্ত সাপেক্ষে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।