1. banglapostbd@gmail.com : admin :
  2. admin@purbobangla.net : purbobangla :
সরকারি খাস জমি উদ্বার তৎপরতা জোরদার করতে হবে - পূর্ব বাংলা
সোমবার, ২৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০৫:১৮ পূর্বাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ
ক্ষমতার সামনে দাঁড়িয়ে সত্য বলার সাহস থাকাই হলো সাংবাদিকতা ক্ষমতার সামনে দাঁড়িয়ে সত্য বলার সাহস থাকাই হলো সাংবাদিকতা শহীদ সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীর কবর জিয়ারত করলেন বিএনপি নেতা বিপ্লব মাওলানা শাহ সুফি মুহাম্মদ জামাল উদ্দিন মমিন (রঃ) এবং কবরবাসী স্বরণে ১ম বার্ষিক দোয়া মাহফিল ইউনেস্কো ক্লাব এর উদ্যোগে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন বায়েজিদ বোস্তামী ও মালেক শাহ (র.) ওরশ সম্পন্ন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন ফোরকানিয়া মাদরাসা শিক্ষক সমিতির কার্যকরী কমিটির সভা অনুষ্ঠিত  আল্লামা আবুল খাইর ফাউন্ডেশন ২৬৫ জন রোগীর ছানি অপারেশন করালেন আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ না হলে রাজপথ ছাড়বো না: হান্নান মাসউদ

সরকারি খাস জমি উদ্বার তৎপরতা জোরদার করতে হবে

পূর্ব বাংলা ডেস্ক
  • প্রকাশিত সময়ঃ শনিবার, ৩ সেপ্টেম্বর, ২০২২
  • ২০১ বার পড়া হয়েছে

মাহমুদুল হক আনসারী
সরকারি খাস জমি ভূমিদুস্য দের নাগাল থেকে বের করে আনতে হবে। চট্রগ্রাম সহ সারাদেশে সরকারের হাজার হাজার একর খাস জমি ভূমিদুস্যরা জোর জবরদস্তি করে দখলে রেখেছে। সরকারি এসব ভূমি দখলে রাখতে ভূমিদুস্যরা বিভিন্ন ধরনের সমিতি গঠন করে থাকে। ছিন্নমূল সমব্যায় সমিতি , মৎসজীবি সমিতি, মুক্তিযুদ্ধা পূণর্বাসন সমিতি, সেচ্ছাসেবকলীগ , অন্ধকল্যান সমিতি নানা ধরনের নাম দিয়ে সরকারি খাস জমি দখল করতে দেখা যায় । এসব সমিতির পিছনে কতিপয় প্রভাবশালী মহল ইন্দন দিয়ে যায়। প্রসাশনের বিভিন্ন সেক্টরের কর্তাদের সাথেও তাদের যোগসূত্র পাওয়া যায় । জমি দখল করে সেখানে সাইনবোর্ড বসানো হয়। ঘর তৈরি করা হয় । ফ্লট তৈরি করা হয়। নানা ভাবে কৌশল করে ম্যাপ তৈরি করে এসব খাস জমি অপরাপর লোকজনের মধ্যে অর্থের বিনিময়ে হস্তান্তর করা হয়।
ভূমিদুস্য সিন্ডিকেট তারা খুবই শক্তিশালী। তাদের আছে অর্থ , জনবল , পেশীশক্তি এবং অস্ত্র। তারা যুব সমাজের একটি অংশকে ব্যবহার করে । প্রচুর অর্থ খরচ করে দুই হাতে টাকা খরচ করে খাস জমি দখলে রাখে । স্বসস্ত্র কর্মী বাহিনী গড়ে তুলে এসব জমির আধিপত্য রক্ষা করে । তাদের শক্তির হাত খুবই লম্বা । যেকোনো ধরনের বৈরি পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে তাদের সর্বাত্মক প্রস্তুতি থাকে । চট্রগ্রামের সীতাকুন্ড জঙ্গল সলিমপুর চট্রগ্রামের অপরূপ সৌন্দর্য্য একটি এলাকা । পাহাড় পর্বত ঘেরা এই এলাকাটি প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যরে এক লীলাভূমি বলা চলে । কয়েকযুগ থেকে কয়েক কিলোমিটার এই এলাকার নান্দনিক সব সৌন্দর্য্য ও প্রকৃতি ধ্বংস করেছে ভূমিদুস্য বাহিনী ।
কয়েকটি ভূমিদুস্য গ্রæপ একত্রিত হয়ে চৌদ্দশ একরের সরকারি ভূমি দখলে রেখেছে । চট্রগ্রামের মধ্যে এটি একটি সহরের মধ্যে ছোঠ শহর বলা যায় । ভূমিদুস্যরা এখানে ধর্মীয় নানা প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছে। যাতে করে প্রশাসন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করতে না পারে । স্কুল কলেজ মাদ্রাসা রাতারাতি সাইনবোর্ড প্রতিষ্ঠা করে তৈরি করে ফেলে । এসব প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি মার্কেট বাজার গড়ে উঠে । বাংলাদেশের নানা অঞ্চলের লোকজন নিয়ে এসে উচ্চ মূল্যে ফ্লট জমি বিক্রি করে দেয়। জমির দলিল দিতে ব্যর্থ হলেও ¯িøপ এর মাধ্যমে জমি ফ্লট হস্তান্তর করে ।
ভূমিদুস্য এসব সিন্ডিকেট চট্রগ্রামের সরকারি খাস জমি এবং পাহাড় পর্বত ধ্বংস করে পরিবেশের মারাত্মক ক্ষতি করে আসছে কয়েকযুগ থেকে। অতীতের কোনো সরকার প্রশাসন এসব সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় কঠোর উচ্ছেদ অভিযান দেখাতে পারেনি। সম্প্রতি প্রশাসন চট্রগ্রামের নান্দনিক পরিবেশ রক্ষার সিদ্ধান্ত নিয়েছে । নদী পাহাড় রক্ষা করবে । পরিবেশ বান্দব পাহাড় ও ভূমি যেভাবে ছিল সেভাবে রাখার অঙ্গীকার গ্রহণ করেছে।
ইচ্ছে মত পাহাড় পর্বত নদী নালা ধ্বংস করা যাবেনা । চট্রগ্রামের অপরূপ সৌন্দর্য্য যেভাবে আছে সেভাবে রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন । পরিবেশ অধিদপ্তর , চট্রগ্রামের জনগণ । ফলে চট্রগ্রামের সব শ্রেণির মানুষ তাদেরকে সমর্থন জানিয়েছে। ইতিমধ্যে অনেক পাহাড় পর্বত সরকারি জমি প্রশাসনের লোকজন উদ্বার করতে সক্ষম হয়েছে। ভূমিদুস্য গড ফাদার ইন্দন দাতা সহযোগী এবং সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা অব্যাহত আছে । দীর্ঘদিন পর হলেও জঙ্গল সলিমপুর সরকারের চত্র চায়ায় আসায় স্থানীয় জনগণ সরকারকে সাধুবাদ জানাচ্ছে ।
এই এলাকায় গড়ে উঠছিল দাগি চোর ডাকাত সন্ত্রাসীদের আস্থানা । এখানে দিনে রাতে তাদের নিজস্ব পাহারাদার চেকপোস্ট ছিল । অপরচিত লোকজন সেখানে যাতায়াত করতে বেগ পেতে হতো । অতীতের কোনো সরকার স্থানীয় প্রশাসন সাহসিকতার সাথে তাদেরকে মোকাবিলা করতে পারেনা। অদৃশ্য ইশারায় যেকোনো ধরনের প্রশাসনিক প্রতিবন্ধকতা নিমিষেই বন্ধ হয়ে যেতো । এবারও সে আশংকা অনেকেই করছিল । তবে আশার কথা হলো এবারের প্রশাসন আন্তরিক ভাবে সরকারি খাস জমি উদ্ধারে বদ্ধ পরিকর ছিল । কয়েকটি সেবা সংস্থা যৌথ তৎপরতায় বিশাল জংগল সলিমপুরের খাস জমি উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছে।
এখানে সরকারের পরিকল্পনায় যেসব সেবা সংস্থা গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত হয়েছে তা যেনো সঠিক সময়ে হয়। নয় ছয় যেনো না হয়। একটি পক্ষ থেকে নিয়ে আরেকটি অবৈধ পক্ষকে যেনো হস্থান্তর করা না হয় । জানা যায় এখানে অনেক জমি ভূমির মালিক ছিল কোটিপতি লোক জন । তাদের এক এক জনের কয়েকটি করে ফ্লট ছিল সেখানে । একর শতক পর্যন্ত মালিকানা ছিল অনেক শিল্প পতিদের এ সব তথ্য সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের নিকট নিশ্চয় আছে । ্কথা হলো বাস্তবে কয়েকটি অসহায় ছিন্নমূল নিঃস্ব পরিবার থাকার তথ্য ও সঠিক । প্রশাসনের সুষ্ঠ তদন্তের মাধ্যমে তাদের পূণর্বাসন প্রত্যাশা করছি । যারা বুক ভরা আশা নিয়ে একটি আশ্রয় স্থান পেয়েছিল তারা যেন আবার আশ্রয় হীন না হয় ।
এ ধরনের বহু খাস জমি সারাদেশে খুজে পাওয়া যাবে। চট্রগ্রামের সিটি এলাকায় রেলওয়, বন্দর , চট্রগ্রাম উন্নয়ন কতৃপক্ষ , পানি উন্নয়ন বোর্ড সহ নানা সংস্থার অসংখ্য জমি ভূমিদুস্য দের নাগালে পাওয়া যাবে । এসব জমিতে বাড়ি ঘর নির্মাণ মার্কেট প্রতিষ্ঠা করে ভূমিদুস্যরা হাজার হাজার কোটি টাকার মালিক । তারা শাসক দলের পদ পদবী ব্যবহার করে এসব অপকর্ম ও ভূমি দখল করে রেখেছে। নদীর পারে নদী গ্রাস করে বহু প্রতিষ্ঠান মার্কেট প্রতিষ্ঠা হয়েছে। স্থানীয় প্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষ বছরের পর বছর এসব দেখেও কোনো আইনানুন উদ্যেগ গ্রহণ করছেনা ।
এক কথায় সব ধরনের সরকারি খাস জমি রাষ্ট্রের মালিকানায় নিয়ে আসতে হবে । প্রয়োজনে নিঃস্ব অসহায় সম্বলহীনদের সচ্চতার মাধ্যমে বন্ঠন করা যেতে পারে । কোনো অবস্থায় ভূমি দুস্য এবং রাষ্ট্রের সম্পদ লুন্ঠনকারীদের হাতে ছেড়ে দেয়া যায় না। সরকারি সব ধরনের খাস জমি উদ্ধার তৎপরতা জোরদার করা হোক।

শেয়ার করুন-

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved © 2021 purbobangla