মাননীয়,
শ্রদ্ধেয় নওফেল ভাইজানরে,
গরম গরম কথার শুরুতে আমার লাখ কোটি সালাম জানিবেন।আশা করি, আল্লাহ মালিকের অপার মহিমায় ভালো থাকিয়া ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মানে ভিশন ও মিশন কায়েমের লক্ষ্যে নানান ফর্মূলা তৈরী ও বাস্তবায়ন করিয়া মহা- সুখেই আছেন। আমিও গ্রাম বাংলার এক মফস্বল শহরে থাকিয়া দেশের ভবিষ্যতের কথা ভাবিয়া ছাগলের তিন নাম্বার বাচ্ছার মতো খাইয়া না খাইয়া বাঁচিয়া আছি। গেল বারে প্রাক্তন মন্ত্রী কেন্দ্রীয় বিএনপির নেতা আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী সমীপে ঠাণ্ডা মিয়ার গরম কথা লিখিবার সময় এইবার আপনার সমীপে লিখিব বলিয়াছিলাম, এইজন্য লিখিতেছি বলিয়া রাগ করিবেন না বরং শত ব্যস্ততার মধ্যেও গরম কথাটুকু পড়িয়া দেখিবেন ও যাহা প্রয়োজন তাহা করিবেন আর ভুল হইলে নিজ গুনে মাফও করিয়া দিবেন।
ভাইজানরে,
আপনি হইলেন, এই দেশের কৃতি পুরুষ বীর চট্রলার মাটি ও মানুষের নেতা এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর গর্বিত সন্তান।এশিয়ার লৌহ মানব জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হাতে গড়া সংগঠন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও দল সমর্থিত সরকারের শিক্ষা উপ-মন্ত্রী। ছাত্র সমাজের নয়নমনি ও মিডিয়া সচেতন ব্যক্তি আপনি।চট্টগ্রাম শহরে বর্তমানে আপনার চেয়ে জনপ্রিয় ব্যাক্তি আর কেউ নাই ।এমন কি বাবুপুত্র ভুমি মন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ , ছাত্র সমাজের প্রিয়মুখ সাবেক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের অর্থ ও পরিকল্পনা সম্পাদক কায়সার কন্যা ওয়াশিকা আয়েশা খান এমপি ও কেন্দ্রীয় নেতা আমিনুল ইসলাম ও বিপ্লব বড়ুয়ার চেয়েও আপনার জনপ্রিয়তা বেশী।চট্টগ্রামের লোকেরা বলিতেছে, আপনার ডাকে ছাত্র সমাজ যেইভাবে সাড়া দিবে চট্টগ্রামের অন্য কোন নেতার বেলায় তাহা সম্ভব নয়।আপনার তুলনা আপনিই। টকশো অঙ্গণেও আপনার আলাদা পরিচিতি আছে যাহা মিডিয়ার লোকেরা স্বীকার করিয়া থাকেন।যাক, সেই সব কথা।
ভাইজানরে,
রাজনৈতিক ও সচেতন মহলে আপনার কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক পদ হারানোর ব্যাপারে নানা রকম আলোচনা হইতেছে।কেউ কেউ বলিতেছে, মহানগর কমিটি গঠন উপলক্ষে কাউন্সিল অধিবেশনে আপনার মায়ের আসন কাহিনী লইয়া নেত্রী নাখোশ হইয়াছে।ওই সময় আপনার বিরুদ্ধবাদীরা আপনার সম্পর্কে নানা ইনিয়ে বিনিয়ে কথা বলিয়া প্রধানমন্ত্রীর কান ভারী করিয়াছে।অন্যরা বলিতেছে ভিন্ন কথা । তাহারা বলিতেছে, প্রধানমন্ত্রী কান কথায় পাত্তা দেন না। প্রধানমন্ত্রী শেখের মেয়ে হাসিনা নিজে যাহা বুঝেন, তাহাই করেন।আপনার ভক্তরা বলিতেছেন, মন্ত্রণালয়ে আপনি বেশী সময় দিয়া শিক্ষা ক্ষেত্রে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনিবার জন্য প্রধানমন্ত্রী আপনাকে সুযোগ করিয়া দিয়াছেন।এই সুযোগ কাজে লাগাইয়া মন্ত্রণালয়ে আপনি বেশী সময় দিন ও শিক্ষাক্ষেত্রে আমূল পরিবর্তন আনিয়া আপনি চট্টগ্রামবাসীর মুখ উজ্জ্বল করিবেন এমন প্রত্যাশা করিতেছে আপনার শুভাকাঙ্কীরা।
ভাইজানরে,
শিক্ষক, শিক্ষা অফিসে এত দূর্নীতি কেন ? সরকারী স্কুলে পড়ালেখা হয় না এই বদনাম কী ঘুছাইতে পারিবেন না ? ক্লাশ ফাঁকি দিয়া কোচিং বাণিজ্য কী রোধ করা যাইবে না ? সরকারী স্কুলে কচিকাচা ছাত্র ছাত্রীদের অপুষ্টিকর ও নিম্নমানের টিফিন সাপ্লাই দিয়াও সেইসব টিকাদার পার পাই কীভাবে ? প্রশ্নপত্র ফাঁস কিছুটা কমিয়াছে কিন্তু চিরতরে যাহাতে ফাঁস না হয় সেই ব্যবস্হা করুন।শিক্ষক বদলী বাণিজ্য যাহারা করিয়া সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করিতেছে তাহাদের ছাড় দিবেন না।