রানা সাত্তার,চট্টগ্রাম
করোনার সংক্রমণ রোধে বৃহস্পতিবার ২৫ আগস্ট থেকে ৫ থেকে ১১ বছর বয়সী শিশুদের করোনা টিকা দেওয়া শুরু হয়েছে।
চট্টগ্রামের প্রতিটি ওয়ার্ডের প্রতিটি কেন্দ্রে ১৪ দিন এ কার্যক্রম চলমান থাকবে। প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে বিকেল তিনটা এ কর্মসূচি চালিয়ে যাবে।
বুধবার ২৪ আগস্ট স্বাস্থ্য অধিদফতরের সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচি (ইপিআই) কর্তৃক শিশুদের কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনেশন কার্যক্রম কর্মপরিকল্পনার এক প্রজ্ঞাপনে এসব তথ্য উল্লেখ করা হয়েছে।
এতে বলা হয়, ‘বিশ্বের অনেক উন্নত দেশের ন্যায় বাংলাদেশ সরকার দেশের কোভিড-১৯ সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি বিবেচনা করে ২৫ আগস্ট ২০২২ থেকে দেশের সকল ৫-১১ বছর বয়সী শিশুদের কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনেশনের আওতায় আনা হচ্ছে। প্রাথমিকভাবে দেশের ১২টি সিটি করপোরেশনের স্কুল ও কমিউনিটি পর্যায়ে ৫-১১ বছর বয়সী শিশুদের টিকাদান কার্যক্রম শুরু হবে।
পরবর্তীতে জেলা, উপজেলা ও পৌরসভার স্কুল ও কমিউনিটি পর্যায়ে এই ভ্যাকসিন প্রদান করা হবে। ইতোমধ্যেই কোভ্যাক্স ফ্যাসিলিটির মাধ্যমে উক্ত জনগোষ্ঠীর জন্য প্রথম পর্যায়ে ৩০ লাখ ডোজ টিকা দেশে এসে পৌঁছেছে।
টিকার ধরণ-
১. শিশুদের উপযোগী ফাইজার ভ্যাকসিন।
২. ডোজের সংখা- ২
৩. ডোজের পরিমান ০.২ এমএল
৪. ১ম ও ২য় ডোজের ব্যবধান- ৮ সপ্তাহ বা ৫৬ দিন
টিকাদানের জন্য রেজিস্টেশন-
১. সুরক্ষা ওয়েবপোর্টাল বা অ্যাপের মাধ্যমে ৫-১১ বছর বয়সসীমার শিশুদের রেজিস্টেশন শুরু হয়েছে। রেজিস্ট্রেশনের ক্ষেত্রে ১৭ ডিজিটের ডিজিটাল জন্ম নিবন্ধন নাম্বার ব্যবহার করতে হবে। যে সব শিশুদের জন্ম সনদপত্র নেই, তাদের অভিভাবকগণ জন্ম সনদপত্র সংগ্রহ করে রেজিস্ট্রেশন করবেন। বিদেশি পাসপোর্টধারী শিশুদের সুরক্ষা ওয়েবপোর্টাল বা অ্যাপের মাধ্যমে নিবন্ধিত হওয়ার পূর্বে নিজ নিজ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে নির্ধারিত ‘এক্সেল ছকে’ তথ্য প্রদান করতে হবে।
কোভিড-১৯ টিকা রেজিস্ট্রেশন কার্ড প্রদর্শন করে শিশুরা নিজ নিজ স্কুলে ও পরবর্তীতে কমিউনিটি পর্যায়ে নিকটস্থ কেন্দ্র থেকে ভ্যাকসিন নিতে পারবে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
—