1. banglapostbd@gmail.com : admin :
  2. admin@purbobangla.net : purbobangla :
ষড়যন্ত্র-ষড়যন্ত্র আর ষড়যন্ত্র ‘প্রিয় বাংলাদেশ সাবধান সাবধান, সাবধান’ - পূর্ব বাংলা
সোমবার, ২৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০৫:৩৬ পূর্বাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ
ক্ষমতার সামনে দাঁড়িয়ে সত্য বলার সাহস থাকাই হলো সাংবাদিকতা ক্ষমতার সামনে দাঁড়িয়ে সত্য বলার সাহস থাকাই হলো সাংবাদিকতা শহীদ সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীর কবর জিয়ারত করলেন বিএনপি নেতা বিপ্লব মাওলানা শাহ সুফি মুহাম্মদ জামাল উদ্দিন মমিন (রঃ) এবং কবরবাসী স্বরণে ১ম বার্ষিক দোয়া মাহফিল ইউনেস্কো ক্লাব এর উদ্যোগে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন বায়েজিদ বোস্তামী ও মালেক শাহ (র.) ওরশ সম্পন্ন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন ফোরকানিয়া মাদরাসা শিক্ষক সমিতির কার্যকরী কমিটির সভা অনুষ্ঠিত  আল্লামা আবুল খাইর ফাউন্ডেশন ২৬৫ জন রোগীর ছানি অপারেশন করালেন আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ না হলে রাজপথ ছাড়বো না: হান্নান মাসউদ

ষড়যন্ত্র-ষড়যন্ত্র আর ষড়যন্ত্র ‘প্রিয় বাংলাদেশ সাবধান সাবধান, সাবধান’

পূর্ব বাংলা ডেস্ক
  • প্রকাশিত সময়ঃ বুধবার, ২৪ আগস্ট, ২০২২
  • ১৯১ বার পড়া হয়েছে

মো. আবদুর রহিম
আমার প্রিয় বাংলাদেশ বড় চড়া দামে পাওয়া। এদেশ অর্জনে ৩০ লক্ষ মানুষের রক্ত, দু’লক্ষাধিক মা-বোনের সম্ভ্রম, ২ কোটি মানুষের সর্বস্ব হারানো, এক কোটি মানুষের দেশ ত্যাগ সাথে সহায় সম্পদ, ব্যবসা-বাণিজ্য, ঘর-বাড়ি, জমা-জমি হারানো ছিল নজিরবিহীন ও হিসাবের বাহিরে। পৃথিবীর কোন জাতি মায়ের ভাষার জন্য, শিক্ষার অধিকারের জন্য, মৌলিক অধিকার বাঁচার জন্য জীবন দেয় নাই। আমরা বাঙালিরা যুগে যুগে অর্থাৎ ১৯৪৭ থেকে ১৯৭১ পর্যন্ত কেবলই ত্যাগ, জেল, জুলুম, নির্যাতন আর রক্ত উৎসর্গ করে যুদ্ধ করে ছিনিয়ে এনেছি স্বাধীনতা। স্বাধীন এই বাংলার বর্তমান বয়স ৫১ বছর। এ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু। ফোরাত নদীর তীরে কারবলার প্রান্তরে হযরত হোসেন ৭২ জন স্বজন নিয়ে ইয়াজিদের বাহিনীর হাতে জীবন উৎসর্গ করার পর ১৯৫৭ সালে নবাব সিরাজের জীবন কেড়ে নিয়ে ইংরেজের গোলামীর পর, ১৯৭১ এর রক্ত গঙ্গার পর ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ও ৩ নভেম্বর, ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট এর রক্তগঙ্গা ইতিহাসের অবিচ্ছেদ্য অংশ। ইয়াজিদ, মীরজাফর, মোস্তাক, তারেক এরপরও ষড়যন্ত্রের ধারা আজো চলমান, চলছে। স্বজাতির ষড়যন্ত্র, স্বদলের ষড়যন্ত্র, পরাজিত অপশক্তির ষড়যন্ত্র, হিংস্যার ষড়যন্ত্র, স্বার্থপরদের ষড়যন্ত্র, পরাশক্তির ষড়যন্ত্র, ১৯৭১ এর যুদ্ধাপরাধি মানবতা বিরোধীদের ষড়যন্ত্র, বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় নেতা হত্যাকারীদের ষড়যন্ত্র, গণতন্ত্রের শত্রুদের ষড়যন্ত্র, উন্নয়ন বিদ্বেষীদের ষড়যন্ত্র, সর্বোপরি মিথ্যাচার, অপপ্রচার, অপবাধ, গুজব, সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, ধর্মীয় পাপাচার, সাম্প্রদায়িক বিষবাস্প বিতরণ, ধর্মীয় বৈষম্য সৃষ্টি, ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত, সম্প্রীতি বিনষ্ট করার অপকৌশল প্রচার, মিথ্যা, বিভ্রান্তি সবই চলছে বিরামহীন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবদান খাটো করা থেকে শুরু করে গোটা জাতিকে নিয়ে ষড়যন্ত্র থেমে নেই। স্বজাতির ঔরশে জন্ম, স্বজাতির গর্ভের জন্ম নেয়া কতিপয় জারজ সন্তান যাদের উদ্ভট চিন্তা, ধ্বংসের মনমানসিকতাকে নানা কৌশলে প্রচার করে শয়তানের শক্তিতে বলিয়ান হয়ে পবিত্র ইসলামের ভুল ব্যাখ্যা দেয়া, ইয়াজিদের পক্ষ অবলম্বন করা, মিরজাফরের দায়িত্ব পালন করা, বেইমান মোশতাক চক্রের পক্ষ অবলম্বন করা, খুনিদের উৎসাহিত করা, মানবতার নামে অমানবিক কাজ করা। যাদের চরিত্র তারা দিন দিন প্রতিদিন বেপরোয়া হয়ে দেশবিরোধী চক্রান্ত, ষড়যন্ত্র ব্যাপক হারে করে যাচ্ছে। তাদের পেছনের শক্তি হলো কালো টাকা, বিদেশী টাকা ও অশুভ অশুর শক্তির ইন্দন। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা নীলকণ্ঠি, তিনি বিষ খেয়ে বিষ হজম করেন, তিনি ষড়যন্ত্রকারী, চক্রান্তকারীদের চেনেন। বেঈমান-মীরজাফরদের ও চিনেন, তাদের অপকর্মও দেখেন। সব দেখে শুনে বিবেচনা করে নিজের চিন্তা, ধীশক্তি, মেধা দিয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে দেশ, দল পরিচালনা, বিশ্ব কুটনীতি সব দৃঢ়তার সাথে, সাহসের সাথে পরিচালনা করে চলেছেন। সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, মৌলবাদ, অপবাদ, অপসংস্কৃতি, অশুভ তৎপরতা সব কিছু সামাল দিয়ে যাচ্ছেন জননেত্রী শেখ হাসিনা। তাঁর দৃঢ়তা, বিচক্ষণতা, বিচক্ষণতা ও সাহস দেখে ষড়যন্ত্রের রূপ পরিবর্তন হয়। বঙ্গবন্ধু কন্যা সংবিধান থেকে যেদিন ‘ইনডেমনিটি’ উঠিয়ে জাতির পিতা হত্যার বিচার, জেল হত্যার বিচার, মানবতা বিরোধীদের বিচার কার্য পরিচালনা করে খুনিদের শনাক্ত করে ফাঁসি কার্যকর শুরু করেন। ঠিক তখন থেকেই ষড়যন্ত্র আরো গভীর হতে থাকে। বহু বছর ধরে যেসব রাষ্ট্র মানবতার ধারক-বাহক হয়ে খুনিদের আশ্রয়-প্রশয় লালন-পালন করে চলেছে, তাদের মুখে নানাধরনের ছবক সম্পর্কেও বাস্তবচিত্র তুলে ধরেন বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসনা। তিনি সত্য বলতে, সত্য প্রকাশ করতে দ্বিধা করেন না। তিনি কোনো পরাশক্তির রক্তচক্ষুকে পরোয়া করেন না। তিনি জানেন বীর একবারই মরে বারবার মরে কাপুরুষ। বঙ্গবন্ধু বীরের মত জীবন দিয়েছেন , অন্যায় ও ষড়যন্ত্রের কাছে মাথানত করেননি। বঙ্গবন্ধুর বাংলা তাঁর কন্যার হাত ধরে বিশ্ব দরবারে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে।

ষড়যন্ত্র চক্রান্ত মোকাবিলা করে ৪ (চার) মেয়াদে বাংলাদেশ পরিচালনা করে ঝুঁড়ির তলাকে সীসা দিয়ে ঢালাই করে দিয়েছেন , যাতে কোন অপশক্তি আর ফুটো করতে না পারে। বাংলাদেশের নদ-নদীতে ব্রীজ পদ্মা-যমুনা সহ সব বড় নদীতে ব্রীজ, যোগাযোগের আমূল পরিবর্তন সহ দেশের গ্রামকে শহর, শহরকে নগর, নগরকে মহানগর, বিভাগকে রাজধানীতে উন্নয়নের কাজ করে চলেছেন। ১৯ জেলা আজ ৬৫ জেলায় পরিণত হয়েছে। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, যোগাযোগ, অবকাঠামো, বিদ্যুৎ সহ প্রতিটি ক্ষেত্রে মহাউন্নয়ন। দেশের উন্নয়নে এসেছে মহাসড়কের যাত্রা, উড়াল সেতু, রেল, বিমাল ও জলপথে এসেছ আমূল পরিবর্তন। বাংলাদেশ বিশে^র বিষ্ময় আর উন্নয়নের রোল মডেল। এসব বিরল ঘটনায় দিশেহারা পরাশক্তি, হতবাক বিশ^মোড়ল। তাইতো বাংলাদেশকে বানাতে চায় শ্রীলংকা। বাংলাদেশ করোনা ভাইরাস, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ সামাল দিতে নানামুখি উদ্যোগ নিচ্ছে। ভর্তুকি কমাতে চায় বাংলাদেশ। যারা ‘বেইল আউট’ প্রচার করে বৈদেশিক বিনিয়োগ বাধাগ্রস্থ করতে চায়, যারা দেশকে পরনির্ভরশীল করতে চায়, তারা এদেশের ডলার লুট, টাকা লুট, পাচার, দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি, অপবাদ, অপপ্রচারে লিপ্ত।

প্রিয় বাংলাদেশের ১৭ কোটি মানুষকে জিম্মি করে ফায়দা লুট, রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র, ক্ষমতা দখলের পায়তারা, বিদেশিদের নিকট ঘনঘন মিথ্যা, গুজব দিয়ে প্রভাবিত করার মত অপকর্মে লিপ্ত , তারাই ১৯৭১-এ এদেশের বিরুদ্ধে পাকিস্তানীদের পক্ষে ছিল। তারাই ধর্ষক, খুনী ও লুণ্ঠনকারী, তারাই সেই ১৯৭৫ এর ১৫ আগস্ট, ৩ নভেম্বর এর খুনী, তারাই ২০০৪ এর ২১ আগসেটর হত্যাকারী। সুতরাং প্রিয় বাংলাদেশ আমরা বীরের জাতি, আমরা বীর বাঙালি। আমাদের সুনাম, সুখ্যাতি কেউ যেন ম্লান  করতে না পারে। কোন অশুভ শক্তি যেন এদেশের রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করতে না পারে। আমার আপনার রক্তে কেনা স্বাধীনতা, পতাকাকে যেন কোন অশুভ শক্তি কলংকিত করতে না পারে। আমাদের জাতীয় সংবিধান যেন কেউ ক্ষতবিক্ষত করতে না পরে, সেই জন্য আপনাকে আমাকে দেশপ্রেমের পরীক্ষা দিতে হবে। দেশের বর্তমান দুর্ভোগ অবশ্যই কেটে যাবে। আকাশের কালো মেঘ রহমতের বৃষ্টিতে পরিণত হবে। অশুভ অপশক্তির কবর রচিত হবে। জনগণ উঠে দাঁড়াবে, বাংলার মানুষ হাসবে, দুঃখ দুর্দশা গুচে যাবে। বাংলার পূর্বাকাশে আলোর রক্তিম আভায় অবশ্যই আলোকিত হবে। প্রিয় বাংলাদেশ আমার আপনার জীবন। প্রিয় বাংলাদেশ আমার আপনার জন্মভূমি। আমার মা-মাটি ও মানুষকে কোন অপশক্তির দ্বারা কলংকিত হতে দেবো না। চলমান ধারা অব্যাহত রেখে দেশ উন্নত ও সমৃদ্ধ করবো ইনশাল্লাহ। লেখক : সাধারন সম্পাদক, বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চারনেতা স্মৃতি পরিষদ।

শেয়ার করুন-

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved © 2021 purbobangla