পলাতক থেকেও ইয়াবা ব্যবসা চালিয়ে আসছিল আনোয়ার। ৫ বছর পলাতক থাকার পর অবশেষে গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে ঠাঁই হলো এই কারবারীর।
পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) চট্টগ্রাম মেট্রোর একটি টিম ২০ জুলাই শনিবার রাতে লালদীঘি এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পিবিআই চট্টগ্রাম মেট্রো ইউনিট প্রধান পুলিশ সুপার নাইমা সুলতানা। অভিযুক্ত আসামি আনোয়ার (৫৫) আনোয়ারা উপজেলার পশ্চিম বরুমছড়া এলাকার বাসিন্দা।
পিবিআই সূত্রে জানা গেছে, ২০১৮ সালের ৩ মে রাতে হালিশহর থানার শ্যামলী আবাসিক এলাকায় একটি ভবনের ৪র্থ তলা থেকে ১৩ লাখ পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ আশরাফ আলী ও মো. হাসান নামে দুজনকে গ্রেপ্তার করে নগর গোয়েন্দা পুলিশ। এরপর হালিশহর থানায় মাদক নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করা হয়। মামলাটি প্রাথমিকভাবে তদন্ত শেষে ১২ জন আসামির বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ। পিবিআই চট্টগ্রাম মেট্রো ইউনিট প্রধান পুলিশ সুপার নাইমা সুলতানা বলেন, আদালতে আনোয়ারসহ ১২ জনকে আসামি করে অভিযোগপত্র দিলেও আনোয়ারকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। এছাড়া আরো চার আসামির নাম-ঠিকানা শনাক্ত না হওয়ায় আদালত স্বপ্রণোদিত হয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পদমর্যাদার কর্মকর্তা দিয়ে মামলাটি অধিকতর তদন্তের জন্য পিবিআই চট্টগ্রাম মেট্রোকে দায়িত্ব দেন। ১৭ এপ্রিল মামলাটির তদন্ত ভার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জুনায়েদ কাওসারের ওপর অর্পণ করা হয়। তিনি গোপন সংবাদ ও তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে আসামি আনোয়ারকে গ্রেপ্তার করেন।
জানা গেছে, আনোয়ার একজন কুখ্যাত মাদক কারবারি। তিনি মিয়ানমার থেকে ইয়াবা আমদানি করে চট্টগ্রামসহ সারা দেশে বিক্রি করতেন। দীর্ঘদিন ধরে তিনি পলাতক থেকে ইয়াবা ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করছিলেন। ৫ বছর পর তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মামলার তদন্ত কাজ অব্যাহত রয়েছে।
একটি গোয়েন্দা সংস্হার রিপোর্টে জানা গেছে আনোয়ারায় শতাধিক কুখ্যাত মাদক কারবারী রয়েছে।এরা কোটি কোটি কালো টাকার মালিক।এদের রয়েছে ৩ শতাধিক পুরুষ পাচারকারী রয়েছে । নারী পাচারকারী রয়েছে অসংখ্য । নারী পাচারকারীরা কদাচিত ধরা পড়ে।উপকুলীয় রায়পুর ইউনিয়নের ৩৭ জন মহিলা চট্টগ্রাম কারাগারে রয়েছে।৩জন জনপ্রতিনিধি ২৫ জন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের পদ -পদবীদারী ব্যাক্তি এসব দুই নম্বরী কাজে। মাদক নিয়ন্ত্রণ ও গোয়েন্দা সংস্হার কাছে এদের সম্পর্কে ভয়াবহ তথ্য আছে।