হোসেন বাবলা
ধর্ষণ মামলা থেকে রেহাই পেতে মিথ্যা ও সাজানো বিয়ে নাটকে জামিনে এসে বাদী কে মামলা তুলে নিতে হুমকি দিচ্ছেন ধর্ষক কাজল দাশ। স্কুল পড়ুয়া এক মেয়ে কে জোরপূর্বক আটকিয়ে রেখে ধর্ষণ সহ শারীরিক নির্যাতন করে হালিশহর প্রেম মেম্বারের বাড়ির এলাকায় এই ঘটনা ঘটিয়ে এখন মামলা থেকে রেহাই পেতে অভিনব জামিন জালিয়াতির গুরুতরভাবে অভিযোগ পাওয়া গেছে কাজল দাশ নামের এক যুবকের পরিবারের বিরুদ্ধে। মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, বিগত ২০২০সালে ২৮নভেম্বর ভিকটিম দিপাদাস (১৬) আনোয়ার থানাধীন বরুমছড়া এলাকা থেকে এক নিকট আত্মীয়বাড়ীতে বিয়ের অনুষ্ঠান থেকে নিখোঁজ হয়েছেন মর্মে ১১২৭/২০নং জিডি দায়ের হয়। সেই আলো কে আরো জিডি নগরীর পাহাড়তলী থানায় ৩০নভেম্বর দায়ের(১৫৭৪)হয়। এর সূত্রে ধরে পাহাড়তলী থানা পুলিশ হালিশহর(১১নং ওয়ার্ডস্থ) প্রেম মেম্বারের বাড়ি একটি ভাড়াঘর থেকে তাদের উদ্ধার করেন। উদ্ধার হওয়া ভিকটিম (দিপাদাস) পটিয়াস্থ ভাটিখানা ইউপির কুন্জু দাসের স্কুল পড়ুয়া মেয়ে হন। বাদীর লিখিত এজহারে বর্নিত মামলায় পুলিশ প্রতিবেদন ও চমেক মেডেকেল কলেজের ডাক্তার রিপোট(নং-১১৬৪) দেখা যায়, ভিকটিম একাধিকবার ধর্ষিত হবার সকল আলামত এবং শারীরিক নির্যাতনের কথা উল্লেখ করেন। একই ভাবে পুলিশ প্রতিবেদন প্রায় ৪/৫জনের লিখিত জবানবন্দী সহ থানায় সাক্ষি হিসেবে পুলিশ কোর্টে উপস্থাপন করেন। বাদীর সকল বক্তব্য ও সাক্ষির প্রমানপত্র সহ জমা দিয়ে উদ্ধার হওয়া ভিকটিম কে অভিভাবকের জিম্মায় দিয়ে আসামী কে আটকের আদেশ দেন বিজ্ঞ আদালত। উল্লেখ্য যে, উক্ত ভিকটিম দিপা প্রকৃত পক্ষে ১৪বছরের নাবালিকা(কিশোরী) ছিলেন। সবতথ্য নিশ্চিত হবার পরে আসামী পক্ষ মিথ্যা তথ্য ও ভূয়াকাগজপত্র দাগিল করে এবং মিথ্যা বিয়ের নাকট সাজিয়ে ধর্ষক কাজল দাশ(২১) কে আদালতে উপস্থিত না করিয়ে বিয়ে হয়ে গেছে ভূয়া শাখা-সিন্দুর পরিয়ে আসামী কে জামিনে নেন। যা সম্পূন্ন বে-আইনী ওআদালত অবমাননার সামিল।
এব্যাপারে ঐসময়ে পাহাড়তলী থানার ওসি আদালত কে জানান, বাদী ও বিবাদী পক্ষ যেহেতু আপোষ হয়ে গেছে এবং ভিকটিম কে বিয়ে করেছে তাই জামিনে হতে পারে। তবে সত্যিকার ভাবে বিয়ের কোন কাগজ পত্র বা হিন্দু রীতিতে পদ্মা পত্র কোর্টে উপস্থাপন করেন নি আসামী পক্ষের উকিল।এই তথ্য গুলো জানিয়েছেন অভিযোগ তদন্ত সংস্থার চট্টগ্রাম জেলার যুগ্ন সম্পাদক(মানবাধিকার নেতা) মোঃ কবির হোসেন। আর আসামী পক্ষের লোকজন জামিনে এসে মামলা তুলে ভিকটিম কে নানা প্রকার চাপ সহ হত্যার হুমকি দিচ্ছেন। এই মামলায় ধর্ষক কাজলদাস(২১), তার পিতা অন্জুন দাশ(৪৮),মাতা-মালতি দাশ(৩৫) সহ আরো২/৩জন কে আসামী করে নারী ওশিশু নির্যাতন দমন,ট্রাইবুনাল-২এর ৪৫৬/২০ নং মূলে মামলা এখনো চলমান বলে পাহাড়তলী থানার পুলিশ পরিদর্শক রাসেদুল হক সূত্রে জানায়। আসামী পক্ষে অসহায় পিতা কুন্জু দাস প্রতিবেদক কে জানিয়েছেন। তিনি দ্রুত আসামীদের ধরার ব্যাপারে উচ্চ প্রশাসনের প্রতি জোর দাবি জানান।