৪ আগষ্ট বৃহস্পতিবার সকালে শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ওই যাত্রীকে আটক করা হয়। শুল্ক গোয়েন্দা শাহ্ আমানত বিমানবন্দর সার্কেল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মিজানুর রহমান নামের এই যাত্রীর কাছ থেকে মদ, সিগারেট এবং ১ কেজি স্বর্ণ জব্দ করে।
শুল্ক গোয়েন্দা কর্মকর্তা সুলতান মাহমুদ জানিয়েছেন, দুবাই থেকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ফ্লাইটে আসা লোহাগাড়ার চুনতির মিজানুর রহমান নামের এক যাত্রীর কাছে ৬টি স্বর্ণবার, চুরি ১২টি, লকেট ১২টি, এবং ২০টি আইফোন পাওয়া গেছে। যার বাজারমূল্য এক কোটি টাকা। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
আমাদের অনুসন্ধানে দেখা গেছে, মিজান রহমান স্বর্ণ চোরাচালান চক্রের ১জন সক্রিয় সদস্য। সে ইতিপূর্বে একই অপরাধে আটক হয়েছিল। রিয়াজ উদ্দিন বাজারে তাদের কয়েকটি আইফোন বিক্রির দোকান রয়েছে।মিজানুর রহমান রিয়াজ উদ্দিন বাজারে ডাষ্টিন নামে পরিচিত । স্কুল পড়ুয়া এই মিজান এক সময় শফিক নামক ১জন স্বর্ণ চোরাচালান চক্রের দোকানে চাকুরি করত।ওই দোকানে চাকুরী করার সুবাধে মিজান এয়ারপোর্ট থেকে রিয়াজউদ্দিন বাজারে স্বর্ণ ও আইফোনসহ দুবাই থেকে আসা মালামাল পাচার করত। শফিকের সাথে মুঠোফানে কথা বললে সে জানায়, সে একসময় আমার কর্মচারী ছিল।কিছুদিন সে আমার ওয়ার্কিং পার্টনার ছিলেন।বর্তমানে সে আমার সাথে যোগাযোগ নেই। মিজান ২ দিন আগেও দুবাই ছিল।আপনার থেকে ১ম সে আটকের খবর জানলাম ।শফিকের লোভনীয় বাড়ী দেখেই মিজানও ওইরকম বাড়ী করার জন্য এই চোরাচালান চক্রের লেগে আছে জানা গেছে।
গত ছয় মাস আগেও মিজান ক্লীন সেইভ করত। হঠাৎ করে প্রশাসন ফাঁকি দেবার জন্য সে মুখে দাঁড়ি রাখে।
এর আগে চার কেজি স্বর্ণসহ সাতকানিয়ার জাহাঙ্গীর আলম নামের আরো এক যুবক চলিত বছর আটক হয়।জাহাঙ্গীর আলম ও তার ভাই সায়েমগীর সাতকানিয়ার কাঞ্চনা ইউনিয়নের উত্তর কাঞ্চনার আব্দুল গফুরের ছেলে। এরাও মিজানের দলভুক্ত চোরাচালান চক্রের সদস্য।
এদিকে আমাদের অনুসন্ধানে দেখা গেছে, নগরে অবস্থান করে অথচ তাদের বাড়ী লোহাগাড়া ও সাতকানিয়া তাদের একটি চোরাচালান চক্র রয়েছে।ওই চক্রের অনেকের রিয়াজ উদ্দিন বাজারে দোকান রয়েছে।বিশেষত মোবাইল সেট বিক্রির আড়ালে এরা স্বর্ণ চোরাচালান কাজে জড়িত।