1. banglapostbd@gmail.com : admin :
  2. admin@purbobangla.net : purbobangla :
পেকুয়ায় মৌলিক স্বাক্ষরতা প্রকল্পে এনজিও পালসের হরিলুট! - পূর্ব বাংলা
মঙ্গলবার, ২৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১১:৫১ অপরাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ
জয়নাল আবেদীন মহিউচ্ছুন্নাহ দাখিল মাদ্রাসার বার্ষিক ক্রীড়া সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণ সম্পন্ন চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সম্মানপ্রদ আজীবন সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল্লাহ আল নোমানের মৃত্যুতে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব নেতৃবৃন্দের শোক ১৩ তম রাফি স্মৃতি টি-টুয়েন্টি গোল্ড কাপ ক্রিকেট টুর্নামেন্ট’২৫ ফাইনাল খেলা সম্পন্ন ইউনেস্কো ক্লাব এর উদ্যোগে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত ক্ষমতার সামনে দাঁড়িয়ে সত্য বলার সাহস থাকাই হলো সাংবাদিকতা ক্ষমতার সামনে দাঁড়িয়ে সত্য বলার সাহস থাকাই হলো সাংবাদিকতা শহীদ সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীর কবর জিয়ারত করলেন বিএনপি নেতা বিপ্লব মাওলানা শাহ সুফি মুহাম্মদ জামাল উদ্দিন মমিন (রঃ) এবং কবরবাসী স্বরণে ১ম বার্ষিক দোয়া মাহফিল ইউনেস্কো ক্লাব এর উদ্যোগে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন

পেকুয়ায় মৌলিক স্বাক্ষরতা প্রকল্পে এনজিও পালসের হরিলুট!

পূর্ব বাংলা ডেস্ক
  • প্রকাশিত সময়ঃ সোমবার, ১৮ জুলাই, ২০২২
  • ১৭৩ বার পড়া হয়েছে

কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলায় সরকারের প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন উপানুষ্টানিক শিক্ষা ব্যুরো কর্তৃক পরিচালিত মৌলিক সাক্ষরতা প্রকল্প বাস্তবায়নে দায়িত্বপ্রাপ্ত বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা-প্রোগ্রাম ফর হেল্পলেস এন্ড লেগড সোসাইটিস (পালস) এর বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়ম-দূর্নীতি এবং প্রকল্পে বরাদ্দের সরকারী টাকা হরিলুটের অভিযোগ উঠেছে। উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরো কর্তৃক মৌলিক সাক্ষরতা প্রকল্প (৬৪ জেলা) কর্মসূচি বাস্তবায়নে পেকুয়া উপজেলার সাত ইউনিয়নে সরেজমিনে অনুসন্ধান চালিয়ে এসব অনিয়ম ও দূর্নীতির চিত্র উঠে এসেছে।

পেকুয়া উপজেলায় কাগজে-কলমে প্রকল্পের বিভিন্ন খাতে ব্যয় দেখিয়ে সরকারী প্রকল্পের টাকা হাতিয়ে নিয়েছে এনজিও পালস। এছাড়াও জেলায় কর্মরত উপানুষ্টানিক শিক্ষা ব্যুরোর সহকারী পরিচালক আবদুল হামিদ এবং স্থানীয় প্রশাসনের তদারকীর অভাবে এনজিও পালস পেকুয়ায় অনিয়ম-দূর্নীতির আশ্রয় নিয়ে মৌলিক স্বাক্ষরতা প্রকল্পকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে বলে অভিযোগ করেছেন স্থানীয়রা।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর কর্তৃক মৌলিক স্বাক্ষরতা প্রকল্প (৬৪ জেলা) বাস্তবায়নের জন্য সরকার ১৫ থেকে ৪৫ বয়সী নিরক্ষর লোকদের মৌলিক স্বাক্ষরতা প্রকল্পের আওতায় সারা দেশে শতাধিক উপজেলায় ৬ মাস মেয়াদী একটি প্রকল্প গ্রহণ করে। প্রকল্পটি ২০২১সালের ৮ ডিসেম্বর পেকুয়া উপজেলায় শুরু হয়ে চলতি ২০২২ ইংরেজীর জুন মাসের প্রথম সপ্তাহে সমাপ্ত হয়। এনজিও পালস পেকুয়া উপজেলায় প্রকল্পটি বাস্তবায়নের জন্য উপানুষ্টানিক শিক্ষা ব্যুরোর সাথে চুক্তিবদ্ধ হয়। দায়িত্ব পাওয়ার পর এনজিও পালস পেকুয়া উপজেলার সাত ইউনিয়নে ৩০০ শিখন কেন্দ্র স্থাপন করে। এবং তারা ৬০০ শিক্ষক ও ১৫ সুপারভাইজার নিয়োগ করে। শিক্ষকদের মাসিক সম্মানি ২হাজার ৪’শ টাকা। আর সুপারভাইজারদের মাসিক সম্মানি ২ হাজার ৫’শ টাকা। ৩০০ শিখন কেন্দ্রের মধ্যে ১৫০টি শিখন কেন্দ্র ভাড়া নেওয়া হয়েছে বলে দেখানো হয় কাগজে-কলমে। আর এসব শিখন কেন্দ্রের ভাড়া প্রতিটি ৫’শ টাকা। প্রতিটি কেন্দ্র ব্যবস্থাপনা ব্যয় মাসিক ১৫০টাকা। প্রতিটি শিখন কেন্দ্রের মাসিক জ্বালানী খরচ দেখানো হয় ৫’শ টাকা। চলতি বছরের জুন মাসে ৬ মাস মেয়াদী ওই প্রকল্প শেষ হয়েছে। কিন্তু এনজিও পালস পেকুয়ায় ৩০০ কেন্দ্রের ৬০০ শিক্ষকের অধিকাংশ শিক্ষককে মাসিক সম্মানির টাকা পরিশোধ করেনি। গত মার্চ মাসে শিক্ষকদের জনপ্রতি ৭ হাজার ২’শ টাকা করে বিতরণ করা হয়। সেখান থেকে আবার বিভিন্ন ইউনিয়নের সুপারভাইজারেরা শিক্ষকদের কাছ থেকে ২-৩ হাজার টাকা করে হাতিয়ে নেন।

জানা গেছে, এনজিও পালস গত তিনমাস পূর্বে মৌলিক স্বাক্ষরতা প্রকল্পের ঢাকার প্রকল্প পরিচালকের কার্যালয়ে পেকুয়া উপজেলায় মৌলিক স্বাক্ষরতা প্রকল্প কাগজে-কলমে বাস্তবায়ন দেখিয়ে বিভিন্ন ভূঁয়া বিল ভাউচার দাখিল করে তিন মাসের শিখন কেন্দ্রের ঘর ভাড়া, জ্বালানী ব্যয় ও কেন্দ্র ব্যবস্থাপনা বিলের বরাদ্দও উত্তোলন করে নিয়েছে বলে নির্ভরযোগ্য সূত্র নিশ্চিত করেছে। প্রকল্প পরিচালকের কার্যালয় থেকে একাউন্ট পে চেকের মাধ্যমে এনজিও পালসকে উক্ত টাকা পরিশোধ করা হয়েছে। এনজিও পালস ১৫০টি শিখন কেন্দ্রের প্রতিটি ভাড়া বাবদ ৫’শ টাকা করে তিন মাসের ২লাখ ২৫ হাজার টাকা, ৩০০ শিখন কেন্দ্র ব্যবস্থাপনা ব্যয় বাবদ প্রতিটি ১৫০ টাকা করে তিন মাসের ১লাখ ৩৫ হাজার টাকা, ৩০০ শিখন কেন্দ্রের প্রতিটির জ্বালানী খরচের বিল বাবদ প্রতিটি কেন্দ্র ৫’শ টাকা করে তিন মাসের ৪লাখ ৫০ হাজার টাকার বিল উত্তোলন করে নেন। এপ্রিল থেকে জুন মাস পর্যন্ত এসব বিল পেয়েছে কিনা জানা যায়নি। তিন মাসের ঘরভাড়া, জ্বালানী বিল, ও কেন্দ্র ব্যবস্থাপনা বিল পেলেও এক পয়সাও কোন শিখন কেন্দ্রে বিতরণ করা হয়নি। এরপর একইভাবে চলতি বছরের এপ্রিল থেকে জুন পর্যন্ত তিন মাসের বিলও উত্তোলন করে লোপাটের সমস্ত আয়োজনও সম্পন্ন করেছে এনজিও পালস।

পেকুয়া উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের একাধিক শিখন কেন্দ্রের শিক্ষক ও সুপারভাইজারদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, গত বছরের ডিসেম্বর থেকে শুরু হয়ে চলতি বছরের জুন মাসের প্রথম সপ্তাহে ৬মাস মেয়াদী প্রকল্প শেষ হয়। কিন্তু ৩০০ শিখন কেন্দ্রের শিক্ষকদের এনজিও পালস সম্মানি প্রদান করেছে মাত্র তিন মাসের। কিছু কিছু ইউনিয়নের শিক্ষকদের বেতন ৫ মাসের সম্মানিও প্রদান করা হয়েছে। তবে ১৫০টি শিখন কেন্দ্রকে ভাড়া হিসেবে দেখানো হলেও কোন কেন্দ্রের মালিককে ভাড়ার টাকা প্রদান করেনি এনজিও পালস। এছাড়াও জ্বালানী বাবদ প্রতিটি কেন্দ্রে মাসিক ৫’শ টাকা করে সরকারীভাবে বরাদ্দ থাকলেও এনজিও পালস কোন শিখন কেন্দ্রে জ্বালানী বিলের টাকা প্রদান করেনি। প্রতিটি শিখন কেন্দ্র ব্যবস্থাপনা বিল বাবদ মাসিক ১৫০ টাকা করে দেওয়ার নিয়ম থাকলেও কোন কেন্দ্রেই ব্যবস্থাপনা বিল দেওয়া হয়নি। এছাড়াও পেকুয়া উপজেলার ৩০০ শিখন কেন্দ্রের শিক্ষার্থীদের মাঝে নিম্নমানের শিক্ষা উপকরণও বিতরণ করা হয়েছে। নিম্নমানের অনুশীলন খাতা, বলপেন কলম, চক, ডাস্টার, ব্লাককবোর্ড, সাইনবোর্ড, নিম্নমানের মাদুর দেওয়া হয়েছিল। এসব শিক্ষা উপকরণ ক্রয় করার জন্য মৌলিক স্বাক্ষরতা প্রকল্প পরিচালকের কার্যালয় থেকে পর্যাপ্ত বাজেট বরাদ্দ করা হলেও নিম্নমানের উপকরণ ক্রয় করে পেকুয়ায় ৩০০ শিখন কেন্দ্রে বিতরণ করে বরাদ্দের সিংহভাগ লুটপাট হয়েছে বলে ধারনা করছেন স্থানীয় সচেতন সমাজ।

এভাবে পেকুয়া উপজেলায় মৌলিক সাক্ষরতা প্রকল্পের লাখ লাখ টাকা নয়-ছয় করার অভিযোগ পাওয়া গেছে ওই এনজিওর বিরুদ্ধে। ওই প্রকল্পের সাথে সংশ্লিষ্ট জেলার উপানুষ্টানিক শিক্ষা ব্যুরোর সহকারী পরিচালকসহ মিলেমিশে হরিলুট করেছে বলেও অভিযোগ উঠেছে।

এসব বিষয়ে বক্তব্য নেওয়ার জন্য যোগাযোগ করা হলে এনজিও পালসের পেকুয়া উপজেলায় দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রোগ্রাম অফিসার আবদুল হামিদ জানিয়েছেন, মৌলিক স্বাক্ষরতা প্রকল্প বাস্তবায়নে এনজিও পালস পেকুয়ায় কোন ধরনের অনিয়ম দূর্নীতি করেনি। শিক্ষকদের বেতন ভাতাও যথা সময়ে পরিশোধ করা হয়েছে। কিছু কিছু ইউনিয়নে সমস্যা হয়েছে। শিখন কেন্দ্রের ভাড়া, জ্বালানী বিল ও কেন্দ্র ব্যবস্থাপনা বিল কেন প্রদান করা হয়নি জানতে চাইলে তিনি এ বিষয়ে কোন মন্তব্য করেনি।

পেকুয়ায় মৌলিক স্বাক্ষরতা প্রকল্পে এনজিও পালস কর্তৃক ব্যাপক অনিয়ম-দূর্নীতির প্রসঙ্গে জানতে চাইলে উপানুষ্টানিক শিক্ষা ব্যুরোর কক্সবাজার জেলার সহকারী পরিচালক মো: আবদুল হামিদ জানান, অনিমের বিষয়টি তিনি খোঁজ খবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।

এদিকে পেকুয়ায় উপজেলায় মৌলিক স্বাক্ষরতা প্রকল্প কাগজে-কলমে বাস্তবায়ন দেখিয়ে এনজিও পালস কর্তৃক লাখ লাখ টাকা হরিলুটের ঘটনায় তদন্তপূর্বক দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য দূর্নীতি দমন কমিশনের কাছে হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন স্থানীয় সচেতন সমাজ।

শেয়ার করুন-

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved © 2021 purbobangla