1. banglapostbd@gmail.com : admin :
  2. admin@purbobangla.net : purbobangla :
কিশোর গ্যাং ও তাদের উৎপাত - পূর্ব বাংলা
সোমবার, ২৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০৫:৪৬ পূর্বাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ
ক্ষমতার সামনে দাঁড়িয়ে সত্য বলার সাহস থাকাই হলো সাংবাদিকতা ক্ষমতার সামনে দাঁড়িয়ে সত্য বলার সাহস থাকাই হলো সাংবাদিকতা শহীদ সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীর কবর জিয়ারত করলেন বিএনপি নেতা বিপ্লব মাওলানা শাহ সুফি মুহাম্মদ জামাল উদ্দিন মমিন (রঃ) এবং কবরবাসী স্বরণে ১ম বার্ষিক দোয়া মাহফিল ইউনেস্কো ক্লাব এর উদ্যোগে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন বায়েজিদ বোস্তামী ও মালেক শাহ (র.) ওরশ সম্পন্ন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন ফোরকানিয়া মাদরাসা শিক্ষক সমিতির কার্যকরী কমিটির সভা অনুষ্ঠিত  আল্লামা আবুল খাইর ফাউন্ডেশন ২৬৫ জন রোগীর ছানি অপারেশন করালেন আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ না হলে রাজপথ ছাড়বো না: হান্নান মাসউদ

কিশোর গ্যাং ও তাদের উৎপাত

পূর্ব বাংলা ডেস্ক
  • প্রকাশিত সময়ঃ বৃহস্পতিবার, ১৪ জুলাই, ২০২২
  • ২০৯ বার পড়া হয়েছে

মাহমুদুল হক আনসারী
কিশোর গ্যাং সমাজে উদ্বেগ , উৎকন্ঠা বাড়াচ্ছে। কিশোর গ্যাং নিয়ে অনেক লেখালেখি পত্রিকাতে প্রতিদিন নজরে আসে। শহর থেকে গ্রাম পর্যন্ত কিশোর গ্যাং এখন ছড়িয়ে পড়ছে। পাড়ায় মহল্লায় অলিতে গলিতে তাদের উৎপাত চোখে পড়ছে। সাতজন এগারোজন সংখ্যায় এমন ধরনের গ্যাং পার্টি দেখতে পাওয়া যায়। এসব গ্যাং এ শিক্ষিত অর্ধশিক্ষিত সামান্য পড়ালেখা জানা যুবকদেরকেও দেখা যায়। এসব গ্যাং এর মধ্যে চারিত্রিক ভাবে অত্যন্ত খারাপ প্রকৃতির যুবকদের বেশি দেখা যায়। তারা সমাজের নানা অপকর্মের সাথে জড়িয়ে পড়ছে। তাদের কারণে চরিত্রবান শান্ত সুশৃংখল যুবকরা সমাজে চলতে ফেরতে বাধাপ্রাপ্ত হয়। এসব গ্যাং পার্টির অত্যাচারে প্রতিনিয়ত হয়রানি ও মানহানির শিকার হচ্ছে সহজ সরল শিক্ষার্থীরা।
স্কুল পড়–য়া যুবক যুবতীরা রাস্তায় চলাচলের সময় ইভটিজিং এর শিকার হয়। আইন শৃংখলা বাহিনীর নিকট অভিযোগ দেয়ার মতো সাহস ও অনেকেই রাখে না। এসব গ্যাং এর মধ্যে বিভিন্ন প্রকৃতির যুবকের সমাবেশ। তারা ছোট খাট চুরি , জমি , বাড়িভিটা দখল কাউকে অপমান অপদস্ত করা সহ নানা কাজে জড়িয়ে পড়ে। তাদেরকে সমাজের একশ্রেণীর মোড়ল বা রাজনৈতিক নেতারা ব্যবহার করতে দেখা যায়। বাস্তবে তাদের মধ্যে প্রকৃতভাবে রাজনৈতিক কোনো পরিচয়ে পাওয়া যায়না। তাদেরকেও কোনো দল রাজনৈতিক পরিচয় দিয়ে গ্রহণ করতে এগিয়ে আসেনা। রাজনৈতিক মাঠে তারা শুধু অর্থের বিনিময়ে ব্যবহার হয়ে থাকে। নেতার পেছনে শ্লোগান দেয়া লোকজন একত্রিত করার দায়িত্বে এসব যুবকদের পাওয়া যায়।
এভাবে করে এসব গ্যাং পার্টি সমাজে ব্যাপকভাবে বিস্তার করছে। তাদের অপরাধের সাথে স্থানীয় রাজনৈতিক লিডারদের ছত্রছায়া দেখা যায়। ফলে তাদের বিরুদ্ধে প্রায়ক্ষেত্রে আইন শৃংখলা বাহিনী ব্যবস্থা গ্রহণ করতে এগিয়ে আসে না। ভুক্তভোগী কোনো মানুষ আইনের আশ্রয়ের জন্য সাহায্য চাইলেও সময়মত পাওয়া যায় না। আইন শৃংখলা বাহিনীর সাথে উশৃংখল ওই গ্যাংদের সাথে একটা যোগাযোগ দেখা যায়। তারা কাউকেই পরোয়া করে না। এলাকায় আধিপত্য বিস্তার ঘটিয়ে পরিবারের কাছে তারা উশৃংখল একজন যুবক। পরিবারের সদস্য মাতা পিতা বড় জনদের প্রতি তাদের কোনো আনুগত্য পাওয়া যায়না। সমাজ এবং পরিবারে তারা এক আতঙ্কের নাম। মাতা পিতা বড় জনদের সাথে হরহামেশা উশৃংখল আচরণ করতে দেখা যায়। কারো কোনো আদেশ নির্দেশ মানার তোয়াক্কা তাদের মধ্যে নেই।
তাদের চালচলন বেশভূষ কোনো চরিত্রের মধ্যে পড়েনা। একজন আরেকজনকে সংস্পর্শে নিয়ে ধীরে ধীরে যুবসমাজকে তারা ধ্বংসের পথে নিয়ে যাচ্ছে। তাদের মধ্যে নেশার ব্যবহার , মাদক পাচার বেচা বিক্রি লক্ষ্য করা যায়। এ গ্যাং পার্টি সমাজ এবং পরিবারকে উশৃংখলতার দ্বারপ্রান্তে নিয়ে যাচ্ছে। সমাজের জন্য তারা ক্যান্সার। এসব গ্রুপে যারাই একবার ঢুকে পড়েছে তারা আর বের হওয়ার দরজা পাচ্ছেনা। একদিনেই এসব গ্রæপের সৃষ্টি হয়নি। নানা কারণে অকারণে সুযোগ বুঝে পরিবারের আশ্রয় প্রশ্রয়ের তাদের সৃষ্টি। অতি আদর অতি যতœ ভালাবাসার ফসল এসব গ্রæপ। কিশোর গ্যাং থেকে নানা নামের গ্রুপের সৃষ্টি হচ্ছে বাংলার প্রতিটি গাঁ গ্রামে।
সমাজ বিজ্ঞানী এবং রাষ্ট্রের সুচিন্তিত বুদ্ধিজীবিদের এ বিষয়ে এগিয়ে আসতে হবে। তারা যেভাবে সমাজকে ধীরে ধীরে কলুষিত করছে একদিন এ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাবে। সে সময় আশার পূর্বেই দেশের সব ধরনের ক্লাব সমিতি নিরবচ্ছিন্নভাবে পর্যবেক্ষণ করা দরকার। কোন ক্লাব কোন সমিতি কি কি কাজ করছে যুবসমাজকে কী ধরনের কর্মকান্ড পরিচালনা করছে তা আইন শৃংখলা বাহিনীকে প্রতিনিয়ত তদারকীর মধ্যে রাখতে হবে। কিশোর ছাত্র যুবক তাদের গ্রুপিং অবশ্যই আইন শৃংখলা বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে রেখে পর্যবেক্ষণ করতে হবে। পরিবার সমাজ থেকে কিশোর গ্যাং অপরাপর সব ধরনের অপরাধমূলক সংগঠন সমূহকে কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণের মধ্যে আনতে হবে। রাত দশটার পর গ্রাম শহরের অলি গলিতে আড্ডারত যুবকদের চিহ্নিত করতে হবে। এসব আড্ডা আইনের মাধ্যমে বন্ধ করতে হবে। প্রতিটি মহল্লায় ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে সর্বশ্রেণীর পেশার লোকজন নিয়ে কিশোর অপরাধবিরোধী কমিটি গঠন করতে হবে। জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে আইনশৃংখলা বাহিনীকে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করতে হবে। নচেৎ যেভাবে কিশোর গ্যাং পার্টি তাদের উৎপাত বৃদ্ধি করেছে সেটা নিয়ন্ত্রণ করা রাষ্ট্রের জন্য কঠিন হবে। সময় থাকতে পরিবার ও সমাজের শান্তি শৃংখলা প্রতিষ্ঠায় কিশোর গ্যাং নিয়ন্ত্রণ এবং তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে সকলকেই এগিয়ে আসতে হবে।

শেয়ার করুন-

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved © 2021 purbobangla