শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপাকসে দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন। মঙ্গলবার ১২ জুলাই দিবাগত রাতে একটি সামরিক বিমানে তিনি মালদ্বীপ গেছেন বলে জানিয়েছেন অভিবাসন কর্মকর্তারা। তার পদত্যাগের দাবিতে দেশজুড়ে বিক্ষোভের মুখে গোতাবায়া দেশ ছাড়লেন। দেশ ছাড়ার আগে তিনি পদত্যাগপত্রে স্বাক্ষর করে গেছেন। আজ পার্লামেন্টে এ ব্যাপারে ঘোষণা দিতে পারেন স্পিকার মাহিন্দা ইয়াপা আবেবর্ধনে।
ব্রিটিশ ট্যাবলয়েড ডেইলি মিররের ডেপুটি এডিটর জামিলা হুসাইনের বরাতে জানা যায়, মালদ্বীপে অবতরণের পর কড়া নিরাপত্ত্যা রাখা হয়েছে গোতাবায়া হয়েছে। তার আশপাশে প্রচুর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য অবস্থান করছে।
অর্থনৈতিক সংকটে পড়া শ্রীলঙ্কার জনগণ দুর্ভোগের জন্য রাজাপাকসে পরিবারকে দায়ী করছে। গত শনিবার তার সরকারি বাসভবনে ঢুকে পড়ে হাজার হাজার বিক্ষোভকারী। এরপর থেকে মূলত আত্মগোপনে ছিলেন তিনি।
ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভি জানিয়েছে, বুধবার (১৩ জুলাই) স্থানীয় সময় ভোরে মালের ভেলেনা বিমানবন্দরে পৌঁছায় গোতাবায়াকে বহনকারী সামরিক বিমান। তার সঙ্গে ছিলেন স্ত্রী ও দুই নিরাপত্তা প্রহরি। কলম্বোর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে তাদের নিয়ে রওনা দেয় সামরিক বিমানটি।
এর আগে, মঙ্গলবার রাতে প্রতিরক্ষা কর্মকর্তাদের কাছে সামরিক বিমান দেওয়ার অনুরোধ করেন গোতাবায়া রাজাপাকসে। কর্মকর্তাদের দাবি, প্রেসিডেন্ট হিসেবে প্রতিরক্ষা বাহিনীর সর্বাধিনায়ক হওয়ায় তাকে তা প্রদানে বাধ্য ছিলেন কর্মকর্তারা।
মালদ্বীপে পৌঁছানোর পর গোতাবায়া, তার স্ত্রী ও দুই দেহরক্ষীকে গোপনস্থানে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। প্রেসিডেন্ট রাজাপাকসেকে পালিয়ে যেতে ভারত সহায়তা করেছে বলে ওঠা অভিযোগের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে শ্রীলঙ্কার ভারতীয় দূতাবাস। এক বিবৃতিতে তারা এই অভিযোগকে ভিত্তিহীন দাবি করে বলেছে, তারা শ্রীলঙ্কার জনগনকে সমর্থন করা অব্যাহত রাখবে।
দায়িত্বে থাকা অবস্থায় দায়মুক্তি পেয়ে থাকেন শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট। সেই কারণে পদত্যাগের আগেই দেশ ছাড়তে চেয়েছেন গোতাবায়া রাজাপাকসে। নতুন প্রশাসন তাকে গ্রেফতার করতে পারে এই আশঙ্কা ছিল তার।