মিরসরাই (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি
চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে মো. ইব্রাহিম রাজু (২৭) নামে এক সাবেক ছাত্রলীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যা করেছে দূর্বত্তরা। গত ৯ জুলাই রাত ১০ টার দিকে উপজেলার জোরারগঞ্জ বিশ্বরোড় দরবারটিলা এলাকায় রাজুকে গুরুত্বর আহত করে ফেলে যায়। পরে রাত ১ টার দিকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ( চমেক) চিকিৎসাধীন অবস্থায় সে মারা যায়।
হত্যার ঘটনায় নিহত রাজুর পিতা মো. মহি উদ্দিন বাদি হয়ে ১৬ জনের নাম উল্লেক করে সোমবার (১১ জুলাই) দুপুরে জোরারগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। মামলার এক ও দুই নম্বর আসামী জোরারগঞ্জ ইউনিয়নের মধ্যম সোনাপাহাড় এলাকার ইলিয়াছ কোম্পানীর পুত্র কামরুদ্দীন সোহেল (৩৬) ও একই এলাকার এরশাদ উল্লাহর পুত্র নুর উদ্দিন (৩৫) নামে দুজনকে আটক করা হয়েছে।
নিহত রাজু ৩ নং জোরারগঞ্জ ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এর দায়িত্বে ছিলেন। সে জোরারগঞ্জ ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডের কাউয়াচল টিলা এলাকার মহিউদ্দিন ও সুরমা বেগমের পুত্র। ৩ ভাই ১ বোনের মধ্যে রাজু সবার বড়। তবে রাজু বেপরোয়া রাজনৈতিক কর্মকান্ডে লিপ্ত ছিলেন বলে স্থানিয়দের বক্তব্যে প্রকাশ পেয়েছে।
জানা গেছে, গত শনিবার রাত ১০টার দিকে দরবার টিলা এলাকার দিদাদের দোকানের সামনে গরু বিক্রির টাকা নিয়ে বাকবিতন্ডার এক পর্যায়ে রাজুকে কুপিয়ে ফেলে চলে যায় দূর্বত্তরা। পরে আশপাশের লোকজন উদ্ধার করে চমেক হাসপাতালে নেওয়া হলে রাত ১ টার দিকে সেখানে মারা যান। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে লাশের ময়নাতদন্ত শেষে রবিবার রাত ১০ টায় রাজুর লাশ জানাযা শেষে দাফন করা হয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সাবেক এক ছাত্রলীগ নেতা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, গরু বিক্রির টাকা নিয়ে ঝামেলা মুখ্য বিষয় না, মূলত রাজনৈতিক কোন্দলে এ খুন হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, রাজনীতিতে প্রতিযোগীতা কিংবা গ্রুপিং থাকতে পারে, তাই বলে ঈদের আগের রাতে এভাবে হত্যা করবে? এ কেমন রাজনীতি।
জোরারগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক আবু সাঈদ বলেন, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ইব্রাহিম রাজু খুনের ঘটনায় সোহেল ও নুর উদ্দিন নামে দুজনকে আটক করা হয়েছে। তারা এজাহারনামীয় ১ ও ২ নং আসামী। সোমবার দুপুরে রাজুর পিতা মো. মহি উদ্দিন বাদি হয়ে ১৬ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরো ১০/১২ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় অভিযুক্ত অন্য আসামীদের গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানান তিনি।