ঝালকাঠি প্রতিনিধি
ঝালকাঠির কাঠালিয়ায় সাংবাদিক মোঃ মাসউদুল আলম এর বাড়ীতে দুই ঘরে ডাকাতি, ডাকাতের মারপিটে এক নারীসহ দুই জন আহত হয়েছে। মঙ্গলবার দিবাগত গভীর রাতে উপজেলার চিংড়াখালী গ্রামের মিয়াজী বাড়িতে সাংবাদিক মোঃ মাসউদুল আলম ও তার চাচাতো ভাই আব্দুল মায়েছ মিয়াজী ঘরে ডাকাতি সংগঠিত হয়। এ সময় ডাকাতের হাতুরির পিঠুনিতে আব্দুল মায়েচ (৪৫) ও তার স্ত্রী ফেরদৌসি ডলি (৩৫) আহত হয়। ফৌরদৌসি ডলিকে আমুয়া হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনাস্থল কাঠালিয়া রাজাপুর সার্কেল এর সহকারী পুলিশ সুপার মোঃ মাসুদ রানা ও কাঠালিয়া থানা অফিসার ইনচার্জ মোঃ মুরাদ আলীর নেতৃত্বে একদল পুলিশ পরিদর্শন করেছেন। ডাকাতরা নগদ টাকা,স্বর্ণালংকার ও মূল্যমান জিনিষ পত্র নিয়ে পালিয়ে যায়। আব্দুল মায়েচ মিয়াজী জানান, ডাকাতির সময় সাংবাদিক মাসউদুল আলম এর ঘরে কেউ ছিলো না, তাদের ঘর তালাবদ্ধ ছিলো। ডাকাতরা ৪/৫টি তালা ভেঙ্গে ঘরের ভিতরে ঢুকে আলমিরার তালা ভেঙ্গে মূল্যমান জিনিষপত্র নিয়ে যায় এবং অন্যান্য মালামাল তছনছ করে রেখে যায়। আমার ঘরে ৪/৫ জন মুখ বাঁধা প্যান্ট ও গেঞ্জি পরা ডাকাত ঢুকে আমাকে ও আমার স্ত্রীকে হাত-পা বেঁধে হাতুরি দিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে আগাত করে এবং দাও ও বডি দিয়ে মেরে ফেলার হুকমি দেয়। এ সময় আমার ঘরে থাকা নগদ ৩১ হাজার টাকা, দুই জোরা কানের বালা, দুইটি আংটি, একটি মোবাইল ও অন্যান্য মূল্যবান জিনিষপত্র নিয়ে যায়। যাওয়ার সময় বাহির থেকে ঘরের দরজার শিকল আটকিয়ে চলে যায়। পরে স্থানীয় লোকজন ও পুলিশ আমাদের উদ্ধার করে আমাদের উভয়কে আমুয়া হাসপাতালে পাঠান। আমি প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়ীতে আসি, আমার স্ত্রী ডলি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এ বিষয় সাংবাদিক মাসউদুল আলম জানান, ডাকাতির সময় আমরা ঐ ঘরে কেউ ছিলাম না। আমরা অনেক দিন যাবৎ কাঠালিয়া সদরে বসবাস করি। রাত সাড়ে তিনটায় আমার চাচাতো ভাই মনিরুজ্জামান মিয়াজী আমাকে মোবাইলে জানান বাড়ীতে ডাকাতি হয়েছে। ঘরের এবং আলমিরার একাদিক তালা ভেঙ্গে মালামাল মেঝেতে ফেলে রেখেছে। এ খবর শুনে আমি প্রথমে কাঠালিয়া থানা ওসি সাহেবকে ফোন দেই, পরে বাড়ীতে যাই। আমি বাড়ীতে পৌছার পূর্বে থানা অফিসার ইনচার্জ মুরাদ আলীর নেতৃতে একদল পুলিশ আমার বাড়ীতে (ঘটনাস্থলে) পৌছেন। আমার নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার ছিলো না। তবে কিছু মূল্যমান মালামাল নিয়ে গেছে।