নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেছেন, সাহসী সাংবাদিক নোমানীর ওপর হামলাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। সাংবাদিক নির্যাতনকারীরা কোন দলের নয় এরা সন্ত্রাসী এবং দেশের শত্রু। আজ মঙ্গলবার (৫জুলাই) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বরিশাল মেট্রোপলিটন প্রেসক্লাবের যুগ্ম-সম্পাদক সাংবাদিক মামুনূর রশীদ নোমানীর ওপর হামলাসহ সারা দেশে সাংবাদিকদের ওপর নির্যাতনের প্রতিবাদে তৃণমূল নাগরিক আন্দোলন আয়োজিত মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন। মান্না বলেন, হামলাকারীদের ক্ষমতার উৎস খুজে বের করতে হবে। তাদের গডফাদারদের খুজে বের করার দায়িত্ব প্রশাসনের। আশাকরি প্রশাসন গডফাদারদের মুখোশ উম্মোচন করবেন। তিনি বলেন, বিশ্বের বড় গণতান্ত্রিক শক্তিগুলো জানে, আমাদের আশে পাশের যতগুলো দেশ আছে তারা সবাই জানে যে বাংলাদেশে কথা বলার অধিকার নাই। তারা জানে বাংলাদেশে সাংবাদিকতার অধিকার নাই। তারা জানে বাংলাদেশে এমনকি সোশ্যাল মিডিয়াগুলোর কিছু বলার অধিকার নাই। কথা বললেই হামলা মামলার শিকার হতে হয়। কতজন সাংবাদিককে গুলি করে হত্যা এবং নির্যাতন করা হয়েছে প্রশ্ন করে মান্না বলেন, সেসব খুনীরা ও নির্যাতনকারীরা কি আইনের আওতায় এসেছে। সাংবাদিকদের ওপরে নির্যাতন বন্ধ করতে রাজপথে আসেন। সাংবাদিকরা যাতে লিখতে পারে সেই অধিকারের দাবিতে সবাই রাজপথে আসেন। হামলাকারীদের বিরুদ্ধে একটা সর্বাত্মক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। তৃণমূল নাগরিক আন্দোলনের সভাপতি ও জাতীয়তাবাদী কৃষক দলের সহ-সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ মফিজুর রহমান লিটনের সভাপতিত্বে ও আবদুল্লাহ আল নাঈমের পরিচালনায় মানববন্ধনে আরও বক্তব্য দেন, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের একাংশের সভাপতি কাদের গণি চৌধুরী, কৃষক দলের সহ-সাধারণ সম্পাদক এম জাহাঙ্গীর আলম, জাতীয় মানবাধিকার সমিতির সভাপতি মঞ্জুর হোসেন ইসা, বাংলাদেশ নাগরিক পার্টির চেয়ারম্যান আহসান উল্লাহ শামীম, বাংলাদেশ পিপলস পার্টির চেয়ারম্যান অধ্যাপক সিদ্দিকুর রহমান ও বাংলাদেশ জাস্টিস পার্টির চেয়ারম্যান আবুল কাশেম মজুমদার। উল্লেখ্য, ৩জুন’২২ তারিখ শুক্রবার বিকেল চারটার দিকে ঝালকাঠির রাজাপুরের চল্লিশকাহানিয়া শাহরুমীর বাজারে হামলা চালায় সন্ত্রাসীরা। অনলাইন নিউজ পোর্টাল বরিশাল খবরে একটি সংবাদ প্রকাশিত হওয়ার জের ধরে এলাকার চিহ্নিত জাল টাকা ও মাদক ব্যবসায়ী ও দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী দুলাল, আলম, ফেরদাউস, ফজলে হক, কালু মোল্লা, হোসেন আলী, দেলোয়ার সহ প্রায় ১৫/২০ জনের একটি সন্ত্রাসী গ্রুপ আগে থেকেই ওৎ পেতে ছিল। সাংবাদিক নোমানী ঘটনাস্থলে গেলেই তার উপরে অতর্কিত হামলা চালানো হয়। খবর পেয়ে নোমানীর মা ও বোন তাকে বাঁচাতে গেলে তাদেরকেও কোপায় সন্ত্রাসীরা। তাদের তিনজনকেই মুমূর্ষূ অবস্থায় শেবাচিম হাসপাতালে ভর্তি করিয়ে চিকিৎসা দেয়া হয়।