1. admin@purbobangla.net : purbobangla :
বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ০২:১৬ অপরাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ :
সন্দ্বীপে পরকীয়ার অভিযোগ তুলে স্ত্রীকে শ্বাসরোধে হত্যা অভিযুক্ত স্বামী গ্রেফতার  চট্টগ্রামে র‌্যাবের নাম ভাঙিয়ে চাঁদাবাজি, গ্রেফতার ৪ চট্টগ্রামের বিভিন্ন মহাসড়কে অবৈধ গাড়ির অরাজকতা বন্ধ করতে আবারো বিআরটিএ’র অভিযান আমি আজ কথা দিচ্ছি  আপনাদের একা রেখে পালিয়ে যাব না, সুখে দুঃখে আপনাদের পাশে থাকব, আমি আপনাদের এই ভালোবাসার প্রতিদান দিতে চাই- ওয়াসিকা চট্টগ্রামের গুরুত্বপূর্ণ সড়কে বিআরটিএ’র সাঁড়াশি অভিযান, জরিমানা অর্ধলাখ মে মাসেও থাকবে তীব্র গরম, তাপমাত্রা ছাড়াতে পারে ৪৪ ডিগ্রি সব স্কুল-কলেজ ৭ দিন বন্ধ ইসরাইলি মন্ত্রীর টুইটকে ঘিরে তোলপাড় সীতাকুণ্ডে ৫টি চোরাই গরু ১টি পিকাপ একটি দেশী অস্ত্রসহ গ্রেফতার ৩ জন বিশ্বের প্রভাবশালীদের তালিকায় আলিয়া

ফুটওভার ব্রীজ দাবি নয় ,অধিকার

পূর্ব বাংলা ডেস্ক
  • প্রকাশিত সময়ঃ শনিবার, ২ জুলাই, ২০২২
  • ২৬৯ বার পড়া হয়েছে

মুহাম্মদ কায়ছার উদ্দীন আল-মালেকী

ফুটওভার ব্রীজ কেবল পথচারীদের গমনাগমনের জন্য সংকীর্ণ সেতু। বাংলাদেশের দুটি গণবসতিপূর্ণ এবং ব্যস্ত নগরী রয়েছে  ঢাকা এবং চট্টগ্রাম। নগরীদ্বয়ে কর্মমুখী মানুষদের আনাগুনা, যাতায়াত, রাস্তা পারাপার চোখে পড়ার মতন। মানুষের জীবন-জীবিকা নির্বাহের জন্য কেউ চড়ছেন রিক্সায়, কেউ চড়ছেন প্রাইভেট গাড়ীতে এবং কেউ হাঁটছেন রাস্তার এপার থেকে ওপারে। এমন দৃশ্যপটে কেউ রোড এক্সিডেন্টে অন দ্যা স্পটে মৃত্যুর মুখে ঢলে পড়ছেন আবার কেউ পঙ্গুত্ব বরণ করছেন। আবার কারো অঙ্গহানিও হচ্ছে। আবার কারো সংসারের প্রদীপ আলো নিভে যাচ্ছে। এ সব বিষয়াদি মানুষের জীবনে দুঃখ-দুর্দশা নিয়ে আসে। নিরাপদ সড়কের সুব্যবস্থা করতে না পারলে এ সমস্যাদির সমাধান করা অসম্ভব। উন্নত দেশে সড়কের শৃঙ্খলা রক্ষার্থে এবং পথচারীদের নিরাপদ রাস্তা পারাপারের বিধান নিশ্চিত করতে যে আধুনিক যন্ত্রপাতি, কলাকৌশল এবং জনবন নিয়োগ করেছেন তা বাংলাদেশে আদোও সম্ভব নয়। এজন্য ওয়ান-ওয়ে বা হাইওয়ে রাস্তায় ফুট ব্রীজ একান্ত দরকার। অপরিকল্পিত সড়ক নির্মাণের কারণে সড়ক দুর্ঘটনা দিনদিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। যেমন, মেয়র মোহাম্মদ হানিফ উড়ালপুল ফ্লাইওভার (যাত্রাবাড়ী)- ঢাকা, আখতারুজ্জামান ফ্লাইওভার (জিইসি)- চট্টগ্রাম এ দুটি ফ্লাইওভারের নিচ দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে রাস্তা পারাপার করছে। এমনকি প্রতিদিনই হতাহতের ঘটনা ঘটছে যা দৃশ্যমান। অথচ দুটি ফ্লাইওভারের নিচ দিয়ে দুটি ফুট ব্রীজ নির্মাণ করে দিলে দুর্ঘটনা রোধ করা যেত। অকালে ঝরে পড়ত না নিষ্পাপ জীবন্ত মুখগুলো। এমন কোনো দিন নেই! প্রিন্ট এবং ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় সড়ক দুর্ঘটনার খবর প্রকাশিত বা প্রচারিত হচ্ছে না। নিরাপদ সড়ক চাই, ফুটওভার ব্রীজ চাই এ স্লোগানে মুখরিত হচ্ছে রাজপথ। ব্যানার , পেস্টুন, প্ল্যাকার্ড নিয়ে মানববন্ধন এবং সমাবেশ করছে ভোক্তভোগী পরিবার এবং নানান সংগঠন। রাষ্ট্রের উচিত সড়ক পরিবহন মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে অতিদ্রুত নগরীর গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে ফুট ব্রীজ নির্মাণ করা এবং অবহেলিতভাবে পড়ে থাকা ফুট ব্রীজ গুলো সংস্কার বা মেরামত করা। যাতে সাধারণ মানুষ নির্বিগ্নে চলাচল করতে পারে। পথচারীদের অবশ্যই সচেতন হতে হবে। কারণ আমরা নিরাপদ সড়ক চাই, অথচ জীবনের চরম ঝুঁকি নিয়ে পাশে ফুটওভার ব্রিজ থাকা সত্ত্বেও রাস্তায় যানবাহনের মাঝখান দিয়ে দৌড়ে রাস্তা পার হই! তাহলে পরিবর্তনটা আসবে কিভাবে? পরিবর্তন বা সচেতন মনুষ্যত্বভোধ থেকে জাগ্রত না হলে কোন দিনও পরিবর্তনের আশা করা যায় না। এজন্য শেখ সাদি বলেছেন, “একজন ঘুমান্ত ব্যক্তি আরেকজন ঘুমান্ত ব্যক্তিকে জাগ্রত করতে পারেন”।

প্রবাদ আছে, “ঘুমন্ত মানুষকে জাগানো যায় কিন্তু যে জেগে থেকেও ঘুমের ভাণ করে তাকে জাগানো অসম্ভব”। মনে রাখতে হবে সময়ের চেয়ে জীবনের মূল্য বেশি। সময় চলে গেলে পরবর্তীতে ব্যাকআপ দেওয়া যায় কিন্তু জীবনের আলো একবার নিভে গেলে তা আর ফিরে আসেনা। অপরিকল্পিত অজনবান্ধব ফুট ব্রিজ নির্মাণের ফলে, ফুট ব্রীজ হয়ে উঠছে নেশাখোরদের আড্ডাস্থল এবং নানা অসামাজিক কার্মকান্ডের আস্তানা। অনেক সময় দেখা যায়, হকার্সরা নিজেদের প্রয়োজনে ফুট ব্রীজ দখল করে রাখে। অনেক ফুট ব্রীজে দেখা যায়, ভিক্ষুক আর ভিক্ষুক! ভিক্ষুকের বিব্রতকর পরিস্থিতির কারণে পথচারীরা ফুট ব্রীজ ব্যবহার না করে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে রাস্তা পার হয়। কারণ পথচারীদের কথা তাদের কর্ণপাত হয়না বরঞ্চ উল্টো পথচারীদের হেনস্তার স্বীকার হতে হয়। চট্টগ্রামের গুরুত্বপূর্ণ মোড়গুলোতে ( জিইসি, বহদ্দারহাট, ২ নং গেইট, নিউ মার্কেট, অক্সিজেন মোড়, আন্দরকিল্লা , লালখান বাজার, আগ্রাবাদ চৌমুহনী) নেই ফুটওভার ব্রীজ। এতে যান চলাচল যেমন ব্যাহত হচ্ছে, সেইসাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে যানজট এবং ঘটছে অনাকাক্সিক্ষত দুর্ঘটনা। এ দুর্ঘটনারোধে সিটি কর্পোরেশনের উচিত, নগরীর গুরুত্বপূর্ণ সড়কের মোড়ে আন্ডার পাস এবং ফুটওভার ব্রীজ বা ওভার পাস নির্মাণ করা। সাম্প্রতিক কালে সড়ক দুর্ঘটনার প্রধান কারণ হিসেবে দেখা যাচ্ছে যে, ত্রুটিপূর্ণ যানবাহন; বেপরোয়া গতি; চালকদের বেপরোয়া মানসিকতা, অদক্ষতা ও শারীরিক-মানসিক অসুস্থতা; বেতন ও কর্মঘণ্টা নির্দিষ্ট না থাকা; মহাসড়কে স্বল্পগতির যানবাহন চলাচল; তরুণ ও যুবকদের বেপরোয়া মোটরসাইকেল চালানো; জনসাধারণের মধ্যে ট্রাফিক আইন না জানা ও না মানার প্রবণতা; দুর্বল ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা; বিআরটিএ’র সক্ষমতার ঘাটতি এবং গণপরিবহণ খাতে চাঁদাবাজি। এ সমস্ত সমস্যা নিরসনের জন্য জনসাধারণের পক্ষ হতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট বিনয়ী দাবি জানাচ্ছি। আসুন আমার ট্রাফিক আইন মেনে চলি, ট্রাফিক ভায়োলেশন না করি, ফুটওভার ব্রীজ ব্যবহার করি।

শেয়ার করুন-

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved © 2021 purbobangla