বৃষ্টিপাত না হওয়ায় সুনামগঞ্জের বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতির দিকে। রবিবার (১৯ জুন) সকাল থেকেই শহরের বিভিন্ন এলাকায় জমে থাকা পানি নামতে শুরু করেছে। এর ফলে লোকজন বাড়ির বাইরে বের হওয়া শুরু করেছে। খুলেছে দোকানপাট। কেউ হাঁটুসমান পানি ডিঙিয়ে, কেউ বা নৌকায় চড়ে প্রয়োজনীয় সামগ্রী সংগ্রহের চেষ্টা করছেন। প্রায় ৬০ ঘণ্টা পর বিকাল ৫টার দিকে টেলিযোগাযোগ স্বাভাবিক হয়েছে।
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত, সুনামগঞ্জ পৌর এলাকার হাসন নগর, ষোলঘর, বিলপাড়, নতুন পড়া, মরাটিলাসহ বিভিন্ন এলাকার পানি কমে এসেছে। দুপুরের দিকে আকাশে সূর্য উঠতে দেখা গেছে। তবে বন্যা পরিস্থিতির খানিকটা উন্নতি হলেও খাদ্যসামগ্রী ও সুপেয় পানির তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা
সন্ধ্যা ৬টার দিকে এই প্রতিবেদককে ফোন করে ইত্তেফাকের সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি মো. বুরহান উদ্দিন জানান, সুনামগঞ্জ সার্কিট হাউজে জেনারেটরের মাধ্যমে বিদ্যুৎ সরবরাহ চালু আছে, সেখানে প্রশাসনের কর্মকর্তারা কাজ করছেন। গণমাধ্যমকর্মীরাও তাদের মোবাইলফোন চার্জ করতে পেরেছেন সার্কিটে হাউজে। এর আগে পর্যন্ত টেলিযোগাযোগ সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন থাকায় বন্যা পরিস্থিতির সার্বিক খবরাখবর সংগ্রহ করা সম্ভব হয়নি। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনো নিরূপণ করা যায়নি। তবে সরকারি উদ্যোগের পাশাপাশি বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ত্রাণ বিতরণ করছে। সুনামগঞ্জ সদরে বন্যার্তদের উদ্ধার করতে নিয়োজিত আছে সেনাবাহিনী।
বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ জানিয়েছে, বন্যার কারণে অনেক মিটার ও এমডিবি বক্স ডুবে থাকায় নিরাপত্তার স্বার্থে বিদ্যুৎ সরবরাহ চালু করা হচ্ছে না। বিভিন্ন এলাকার মিটার পরিদর্শন করা হচ্ছে, পানি নেমে গেলে সোমবার বিকালে বিদ্যুৎ চালু করা হতে পারে।সবটুকু জানতে ক্লিক করুন