বিশেষ প্রতিনিধি
তেইন্যা পুত্র ফোরকান আবারও বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। মাঠে নেমেছে গোপন মিশন নিয়ে কোটি টাকা হাতিয়ে নিতে। এ জন্য প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে মরিয়া তেইন্যা। বসে নেই সহযোগীরাও, তারাও হাত মিলিয়েছে। হত্যার গোপন পরিকল্পনাও নিয়ে ফেলেছে তেইন্যারা। বিভিন্ন জায়গায় বলাবলি করছে তার নাকি পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে। এজন্য তার এই গোপন মিশন ! ফলে একজনকেও বাঁচতে দেয়া হবেনা রেহায় দেয়া হবেনা। এমনকি বাড়ি ভিটি থেকেও উচ্ছেদের পরিকল্পনা আছে তাদের। এজন্য বাজেট করা হয় মোটা অংকের টাকা। চিহ্নিত কতক দালালও এই অপতৎপরতায় জড়িত বলে খবর পাওয়া গেছে। বর্তমানে থানার কতিপয় পুলিশ নাকি তার বাড়িতে আসা যাওয়া করছে। জাল-জালিয়াতি ও রাষ্ট্রদ্রোহী মামলার এই আসামীর বাড়িতে পুলিশের উপস্হিতি নিয়ে চলছে নানা গুঞ্জনও। বিষয়টি পুরো এলাকায় চাউর হয়েছে। উপ-মহাপুলিশ পরিদর্শক (ডিআইজি) জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি আনোয়ারা-সার্কেল) র্যাব কমান্ডার চট্টগ্রাম মহোদয়কে একটু নজর দিতে বলেছেন এলাকার লোকজন। তদন্ত করে ব্যবস্হা নিতে বলেছেন। অন্যতায় বড় ধরনের অঘটনের সম্ভাবনা আছে বলে জানায় স্হা নীয়রা। তেইন্যা, ছেলে ফোরকান হাইকোর্টের আদেশ নির্দেশকেও অমান্য করেছে অবজ্ঞা করেছে। তারা আইন আদালত মানে না তোয়াক্কা করেনা। জাল দলিল ছাড়াও ফোরকান গুপ্তধন, ইয়াবা এবং মহাজনি ব্যবসায় জড়িত বলে অভিযোগ রয়েছে।
সুত্র জানায়, পুলিশের সাথে সখ্যতা সম্পর্ক বাড়ার পর থানায় আসা যাওয়া করছে জালিয়াতি মামলার আসামী তেইন্যা। মাঝে মধ্যে পুত্র ফোরকানকেও দেখা যায় থানার আশপাশে ঘুরাফেরা করতে লোকজনের সাথে দেখা সাক্ষাত করতে। গত মাসের ২৪মে সন্ধ্যার দিকে আনোয়ারা থানার আশপাশে ঘুরাফেরা করতে দেখা গেছে তেইন্যাকে। পরে থানায়ও গেছে বলে জানিয়েছে সুত্রটি। প্রতিপক্ষকে গায়েল এবং সম্পত্তি দখলে নিতে একটি মিথ্যা নারী নির্যাতন (ধর্ষণ চেষ্টা) ১৫৬/১৬ মামলা দিয়ে হয়রানী করে তেইন্যা। পরে তাদের সেই মামলা টেকেনি। নুরুল ইসলাম ওরফে টাউট তেইন্যা ২০১৭ সালের ২৯ ডিসেম্বর একদল ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী নিয়ে তান্ডব চালায় এলাকায়। লক্ষ্য ছিল সাংবাদিক পরিবারের কোটি টাকার সম্পত্তি জোর পুর্বক দখলে নেয়া। সাংবাদিক কবিরের উপর হামলা করা, হত্যা করা। কিš‘ ব্যর্থ হয়ে ফিরে যেতে হয় তেইন্যাদের। এঘটনার পর ¯’ানীয় থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী নং-১০৬৯ দায়ের করা হয়। অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে মিছ মামলা নং-২০৯/১৮ দায়ের করা হয়। একই সাথে পটিয়া সহকারী জজ (আনোয়ারা) আদালতে অপর ৩০/১৮ অপর ৪৩১/২১ মামলা চলমান আছে। এ ঘটনার কয়েক মাস আগে জমি দখলে নিতে বাড়িতে হামলা চালিয়ে মেয়েদের মারধর লুটপাট করা হয়। এজন্য সরকারী বিভিন্ন দপ্তরেও অভিযোগ দেয়া হয়। এ পর্যন্ত কোন ব্যবস্হা নেয়া হয়নি তার বিরুদ্ধে। তবে এই টাউট তেইন্যাও পটিয়া সহকারী (আনোয়ারা) জজ, যুগ্ন জেলা জজ আদালতে অপর-২২২/২০ অপর-৫৫/১৬ অপর-১৭২/১৬ অপর-২৮২/১৬ মামলা দায়ের করে। সব মামলা জমি অধিগ্রহণকে ঘিরে (এলএ) দায়ের করা হয়। প্রতিপক্ষকে আর্থিকভাবে দুর্বল ও হয়রানী করার জন্য এসব ভুয়া মামলা দায়ের করা হয়। মামলায় হাজিরাতো দুরের কথা বিবাদীর উপর সমনও দেয়া হয়নি। পরে সেটি চট্টগ্রাম এলএ শাখায় একটি দরখাস্ত আকারে দাখিল করেই দায়িত্ব শেষ করা হয়। মামলাগুলি আর শেষ করা হয়না। ভুয়া হয়রানীমুলক এসব মামলায় এলএ শাখায় এভাবে (ভুক্তভোগিদের) ফাইল আটকে দিয়ে দিনের পর দিন মাসের পর মাস হয়রানী করা হ”েছ। শুনানীও হয়না। এভাবে ভুয়া মামলা দিয়ে সুযোগের অপেক্ষায় থাকে বাপ-বেটা। এক সময় এলএ শাখাকে ভুল বুঝিয়ে ভুয়া পদ পদবি ব্যবহার করে ভয়ভীতি দেখিয়ে জাল-জালিয়াতের মাধ্যমে টাকাও তুলে নেয় তারা। ২০১৬ থেকে ২০১৯ সালের মধ্যে মামলার ফাঁকে এসব টাকা তুলে নেয়া হয়। জেল থেকে মুক্তি পেয়ে গত মাসের ৩ মে টাউট তেইন্যা চট্টগ্রাম এলএ শাখায় যায় তদবির করতে আবেদনের খোঁজ খবর নিতে জানিয়েছেন সার্ভেয়ার বদরুজ্জামান। দূর্ত প্রকৃতির পেশাদার টাউট এই তেইন্যার বাড়ি আনোয়ারার মুহাম্মদপুর গ্রামে। বাবার নাম মৃত ফজর রহমান। বিয়ে করেছে একাধিক। এক সময় টাউট তেইন্যার সবকিছু ছিল। বিপুল পরিমানের সহায় সম্পত্তি ছিল। ছিল গোয়াল ভরা গরু ও গোলা ভরা ধান। চট্টগ্রাম শহরের এলাকার গুটি কতক টাউটের খপ্পরে পড়ে সব শেষ। নগরীর কেসিদে রোডের হাবিব বোর্ডিংয়ে বসে রাতের পর রাত দিনের পর দিন জুয়া নারি নিয়ে ফুর্তি করতো মত্ত থাকতো। ঢাকা চট্টগ্রামে দৌঁড়াদোড়ি করতো। আদম বেপারি চট্টগ্রাম শহরের ফিরিঙ্গি বাজারে ছিল ডেক্সির দোকান। এখনো গল্প করে তার নাকি ঢাকা শহরে বউ ছেলে আছে। আছে গাড়ি বাড়িও। এভাবে টাউটগিরি করে পৈত্রিকভাবে পাওয়া ২৪ কানি সম্পত্তি বিক্রি করে দিয়ে এক সময় ফতুর হয়ে যায় তেইন্যা। কয়েক বছর আগের কথা, এলাকায় বেশ কয়েকবার হামলার শিকার হয় তেইন্যা। একবার রাতের অন্ধকারে আরেকবার চাতরী চৌমুহনী বাজারের পশ্চিমে পাঁচ সিকদার পুল এলাকায়। জমি জালিয়াতির অভিযোগে স্হানীয় সিএনজি অটোরিক্সা চালক কালু মিয়া মিয়া গংয়ের হাতে হামলার শিকার হয় তেইন্যা। দুইবারই ভাগ্যক্রমে বেঁচে যায় তেইন্যা। এক সময় দেউলিয়া হওয়ার পর চাচা দানা মিয়ার পুত্র কন্যাদের সম্পত্তির উপর নজর পড়ে তার। এসময় জাল-জালিয়াতের আশ্রয় নিয়ে তাদের সম্পত্তিও বিভিন্ন জনের কাছে বিক্রি শুরু করে তেইন্যা তার বোনরা। নিরীহ এসব ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে উল্টো দেয়া হয় নারী নির্যাতনসহ একাধিক মামলা। সব জায়গায় সব স্হানে বদনাম রটিয়ে গুজব ছড়িয়ে বলছে দানা মিয়ার কাছে তার ছেলেদের কোন সম্পত্তি নেই সব তার বাবা ফজর রহমানের। তিনি নাকি শুধু ছেলে সন্তান জম্ম দিয়েছেন। তাদের আবার কিসের অধিকার। সাথে আছে একটি কুচক্রি মহল। তাদের কাছ শুধু বন্দনা গাওয়া।
স্হানীয়রা চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়ে জানায়, কয়েক বছর আগে নিজ ভাগিনা বাবুলের বউ ভাগিয়ে নেয়ার অভিযোগও আছে তার বিরুদ্ধে। অভিযোগ বড় বোন লায়লা খাতুনের। ২০১৮সালের জুন-জুলাই মাসের দিকে এ ঘটনা ঘটেছে। সিএনজি অটোরিক্সা চালক ভাগিনা ইলিয়াছের অভিযোগ, তার মা’র কাছ থেকে নানা প্রলোভন দেখিয়ে টিপ সাইন নিয়ে টাকা আত্মসাত করে তেইন্যা। সে জঘন্য প্রকৃতির অপরাধী বলে অভিযোগ তার। একই অভিযোগে জানায়, সৎ বোন রুপিয়া বেগমের দুই ছেলে লিটন ও রিমনও। নুরুল ইসলাম আইন প্রয়োগকারী সং¯’ায় স্বীকৃত একজন টাউট অপরাধী। অভিযোগ আছে, বদচরিত্র, জাল দলিল তৈরী, জমি আত্মসাত, টাকা হাতিয়ে নেয়ায় হচ্ছে তার পেশা ও নেশা। তার নির্দিষ্ট পেশা নেই। তেইন্যা জাল দলিল তৈরীর সিন্ডিকেট সদস্য। চট্টগ্রাম কোর্ট বিল্ডিংকে ঘিরে যতোসব অপকর্ম এই সিন্ডিকেটের। তারা নিজেরাই দলিল লিখক, নকল নবিশ, সাব-রেজিষ্ট্রার, সরবরাহকারী। তাদের আছে সব ধরনের সরঞ্জাম। তারা চুক্তি ভিক্তিক কয়েক ঘন্টার মধ্যে একটি দলিল তৈরী করে দিতে পারেন খতিয়ান সৃজন করে দিতে পারেন। গত কয়েক বছরে বেশ কয়েক জন জাল দলিল তৈরীর কারিগর পুলিশের জালে ধরা পড়লেও তেইন্যা এখনো আইনের আওতায় আসেনি। আসেনি তার পুত্র ফোরকানও। তাদের গ্রেফতার করে রিমান্ডে নেয়া হয়নি জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়নি। তেইন্যা শুধুমাত্র জেল খেটে জামিনে মুক্তি পেয়ে বেরিয়ে আসে। দীর্ঘ ২মাস হাজতবাসের পর চলতি বছরের ৭ ফেব্রুয়ারী তারিখে মুক্তি পায় এই তেইন্যা। নিম্ম আদালত থেকে জামিন পেতে ব্যর্থ হলে তাকে হাইকোর্ট থেকে জামিনে মুক্ত করা হয়। জামিনে ছাড়া পাওয়ার পর এক ঘন্টার জন্যও বসে নেই এই ফাটা তেইন্য টাউট তেইন্যা। ঘনিষ্ট লোকজন নিয়ে তার সুরক্ষিত বাড়িতে দফায় দফায় গোপন বৈঠকে বসে নানা পরিকল্পনা করছে কিংবা নিচ্ছে । লক্ষ্য সাংবাদিক আহমদ কবির ও তার ভাই ভাতিজাদের ফাঁসানো। ইতোমধ্যে কুটকৌশলের আশ্রয় নিয়ে কয়েক কোটি টাকার সম্পত্তি হাতিয়ে নিয়েছে বাপ-বেটা তাদের লোকজন। বাকী সম্পত্তিও হাতিয়ে নেয়ার যতোসব কৌশল নেয়া হচ্ছে। তেইন্যার বড় বোন লায়লা খাতুন মরহুম দানা মিয়ার চার পুত্র শাহাব উদ্দীন আহমদ, আবদুল হামিদ, আবদুল আজিজ ও আহমদ কবির এর কাছে দুই গন্ডা এক কড়া দুই কণ্ঠ ভিটি ভুমি যার দলিল নং-৪৮৮ তাং-১৯/২/৮৯ সালে বিক্রি করেন। বর্তমান উক্ত জমির বাজার মুল্য প্রায় অর্ধ কোটি টাকা। তারা রেজিষ্ট্রিযুক্ত কবলা মুলে উক্ত সম্পত্তি কিনে নিলেও দীর্ঘ ৩৩ বছরেও দখলে নিতে পারেনি। বরং উল্টো বাপ-বেটা জোর করে সন্ত্রাসী কায়দায় দখলে নিয়ে পাকা বিল্ডিং নির্মান করে পরিবার নিয়ে বসবাস করছে অভিযোগ স্হানীয়দের ভুক্তভোগিদের। এই ভিটি ভুমি নিয়ে যাতে কোন ধরনের কথা বলতে না পারে টু-শব্দ করতে না পারে সেইজন্য সাংবাদিক আহমদ কবিরকে বাপ-বেটা সিন্ডিকেট হত্যা করতে নানা কৌশলের আশ্রয় নিয়েছে। তার সহায় সম্পত্তি বলতে কিছুই নেই। এমনকি গোসল করার মতো পুকুরও নেই। চিটিং বাটপারি আর প্রতারনায় হচ্ছে তার সম্বল। সাথে আছে ১০/১২জনের একটি সিন্ডিকেট। পুত্র ফোরকানের আছে মহাজনি আর ইয়াবা ব্যবসা। আছে গুপ্তধনের (পিলার) ব্যবসাও। মাঝে মধ্যে লোক দেখানো মৌসুমী ফলের ব্যবসা করে এই ফোরকান। সাথে আছে চৌমুহনী বাজারের এক বিস্কুট বিক্রেতা। তবে তারা ছদ্মবরনে ব্যবসা করেন মুলত মহাজনি আর ইয়াবা ব্যবসা। কয়েক বছর আগের কথা, যাদের ঘরে ছালা ছিলনা বৃষ্টি পড়তো, থাকা যেতনা, হঠাৎ রাতারাতি বনে গেল ওয়াল ঘেরা পাকা বাড়ি, লাগানো হয় বিরাট কলাসিকবল গেট। তেইন্যার বাড়িতে সাধারণত কেউ ঢুকতে পারেনা সারাক্ষণ বন্ধ থাকে বাড়ির গেট। এলাকার লোকজনকে জিজ্ঞাসা করা হলে কেউ সেই ব্যাপারে কোন সদোত্তর দিতে পারেনি। বলতে পারেনি রহস্য ঘেরা বাড়ি সম্পর্কে।
অপর একটি সুত্র মতে, সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসলে ওই বাড়িতে অচেনা লোকের আনাগোনা বেড়ে যায়। পার্বত্য জেলার এবং পাশের উপজেলার বাশঁখালীর কতিপয় ব্যক্তিও আসা যাওয়া করে ওই বাড়িতে। একমাত্র আইন প্রয়োগকারী সংস্হার লোকজনই বলতে পারবেন আসলে সেখানে কি হয়। আইন প্রয়োগকারী সংস্হাকে দ্রুত নজর দিতে অনুরোধ করেছেন সচেতন লোকজন।
সুত্র জানায়, এলাকার লোকজন এবং আত্মীয় স্বজনকে বসে আনতে কয়েক দিন আগে বাড়িতে আয়োজন করা হয় দুইদিনের উৎসব। উৎসবের পাশাপাশি বড় মাপের খানার আয়োজনও করা হয়। খাওয়ানো হয় ঘনিষ্টজনসহ এলাকার কয়েকশত মানুষকে। অংশ নিয়েছে থানার কয়েক পুলিশও। থানার এক সোর্স তেইন্যার পক্ষ হয়ে মেজবানের দাওয়াত দেয়া হয় থানা পুলিশকে। সেখানে তাকে সমাজ সেবক বড় মাপের একজন মানবাধিকার নেতা সংগঠক পরিচয় দেয়া হয়। প্রতারনার আশ্রয় নিয়ে থানার কতিপয় পুলিশকে ওইদিন বাড়িতে খানা খাওয়ানোর জন্য আনা হয়। মুলত কৌশলে পুলিশকে দাওয়াত দিয়ে আনা হয় প্রতিপক্ষকে ভয়ভীতি দেখানোর জন্য। তেইন্যা প্রাথমিক শিক্ষার গন্ডিও পার করতে পারেনি। তবে শিক্ষা দিক্ষা না থাকলে কি, তার আছে কুটকৌশল শয়তানি বুদ্ধি। এই কুটকৌশল আর শয়তানি বুদ্ধির জোরে হাতিয়ে নিয়েছে ৫০ লক্ষের অধিক টাকা। এই টাকা আত্মসাতের ঘটনায় দেয়া হয়েছে লিখিত অভিযোগ। চট্টগ্রাম এলএ শাখায় এই লিখিত অভিযোগ দেয়া হয়েছে। এলএ শাখার অভিযোগের পাশাপাশি আদালতে মামলার প্রস্ততিও চলছে জোরেশোরে। সর্বশেষ কর্ণফুলী টানেল কর্তৃক অধিগ্রহণকৃত ৩৫/২০১৭-১৮ নং-মামলার বেলচুড়া মৌজার বিএস ২৫৯ দাগের ৭৫০শতাংশ জমির ৩৬ লক্ষ টাকা আত্মসাত করার জন্য উঠে পড়ে লাগে তেইন্যা তার লোকজন। জমির প্রকৃত মালিকের বিরুদ্ধে দেয়া হয়েছে নানা মিথ্যা অভিযোগ। বারবার আটকে দেয়া হচ্ছে জমির প্রকৃত মালিকের ক্ষতিপুরণের ফাইল। করা হচ্ছে সীমাহীন হয়রানী। প্রতারক তেইন্যা নিজেই বিপুল অংকের এই টাকা হাতিয়ে নেয়ার জোর চেষ্টা চালাচ্ছে বলে অভিযোগ। এছাড়া তার সিন্ডিকেট চট্টগ্রাম এলএ শাখাসহ নানা জায়গায় চেষ্টা তদবির করছে বলে খবর পাওয়া গেছে। তবে সতর্ক এলএ শাখার সার্ভেয়ার কর্মকর্তা কর্মচারীরা। তারা সজাগ সতর্ক থাকায় বিপুল অংকের এই টাকা হাতিয়ে নিতে পারেনি। তেইন্যা তার লোকজন এলএ শাখার সার্ভেয়ার শিকলবাহক সহ সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মকর্তা কর্মচারীদের নানা হুমকি ধমকি এমনকি আমি মানবাধিকারের বড় নেতা প্রধান মন্ত্রীর কার্যালয়ে আমার লোক আছে অমুক বিচারক পুলিশের বড় কর্মকর্তা আমার আত্মীয় এধরনের পরিচয় দিয়ে আমার কথা মতো না হলে দুদকে নালিশ দেয়া হবে চাকরি খেয়ে ফেলা হবে তখন বুঝবি বিভিন্ন জায়গায় এমন উক্তি আস্ফালন করে যাচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। নুরুল ইসলাম প্রকাশ টাউট তেইন্যা ছেলে ফোরকানের বিরুদ্ধে জাল দলিল তৈরী এবং টাকা আত্মসাত চেষ্টার অভিযোগে দায়েরকৃত জিআর-২০৪/২১ মামলায় অতিরিক্ত চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে অভিযোগ গঠনের দিন ধার্য্য ছিল ২৫মে বুধবার। আদালত পরবর্তী শুনানীর জন্য দিন তারিখ ধার্য্য করেন আগামী ২৭জুন ‘২২। এদিন চার্জ গঠন হবে বলে জানায় আদালত। এরপরই শুরু হবে মামলার বিচার কার্যক্রম। এদিকে কর্ণফুলী টানেলের জন্য অধিগ্রহনকৃত বেলচুড়া মৌজার ২৬০ দাগের ৮৮০শতাংশ জমির টাকা আত্মসাত করার জন্য গোপনে জাল দলিল তৈরী করে বাপ-বেটা। জড়িত সিন্ডিকেটও। আবেদন করে এলএ শাখায়। তোড়জোড় শুরু করে টাকা উত্তোলনে। পরে ধরা পড়ে যায় তেইন্যা ছেলে ফোরকান। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনায় আদালতে মামলা হয়। আদালতের নির্দেশে থানায় মামলা রেকর্ড পরে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেষ্টিশেন (পিবিআইকে) তদন্ত করে রিপোর্ট দিতে বলা হয়। পিবিআই দ্রুত সময়ে তদন্ত করে গত বছরের ডিসেম্বর মাসে আদালতে বাপ-বেটাকে আসামী করে চার্জশিট দাখিল করা হয়। তেইন্যা সৎ ভাই তাজুল ইসলামের নামে সৃজিত ৪৯ নং কবলায় ৮গন্ডা জমি দেখানো হয়। ওই দলিল দেখিয়ে চট্টগ্রাম এলএ শাখা হতে টাকা হাতিয়ে নেয়ার চেষ্টা করা হয়। তারিখ দেখানো হয় ২৫/১/৭৫সাল। আনোয়ারা সাব-রেজিষ্ট্রোর এবং চট্টগ্রাম সদর রেজিষ্ট্রেশন কমপ্লেক্সের বালামে খুঁজে পাওয়া যায়নি তেইন্যার উক্ত দলিল। বর্তমানে বসে নেই টাউট তেইন্যা, ছেলে ইয়াবা ব্যবসায়ী ফোরকান এবং পক্ষের লোকজন। বাপ-বেটার কবলা জালিয়াতির এই মামলা থেকে বাঁচার জন্য কোটি টাকার মিশন নিয়ে নানা জায়গায় তদবির শুরু করেছে। দেয়া হচ্ছে বাদী, বাদীপক্ষ এবং স্বাক্ষীদের ভয়ভীতি। বাদী পক্ষকে আপোষে আসার প্রস্তাবও দেয়া হয়েছে। অন্যতায় পরিনতি ভাল হবে না বলেও হুমকি দেয়া হচ্ছে। মহামান্য হাইকোর্টের নির্দেশনা অমান্য করে এই অপতৎপরতা চালাচ্ছে তারা, অভিযোগ বাদী পক্ষের। হাইকোর্ট দুই আসামী নুরুল ইসলাম প্রকাশ টাউট তেইন্যা, মোঃ ফোরকান উর রশিদ ওরফে মোহাম্মদ ফোরকান এর জামিন আদেশে বলা হয়,অভিযুক্ত আবেদনকারীরা ঘটনা প্রমানের জন্য কারসাজির মাধ্যমে সাক্ষীদের কোনো প্রলোভন বা হুমকি প্রদান করতে পারবেনা। ২০২১সালের ৪নভেম্বর মহামান্য হাইকোর্টের দুই বিচারপতির সমম্বয়ে গঠিত দ্বৈত বেঞ্চ আসামীদের ৬(ছয়) সপ্তাহের আগাম জামিন মঞ্জুর করার পর এআদেশ দেয়া হয় বলে জানায় সংশ্লিষ্ট সুত্র। আদেশে বলা হয় মেয়াদ শেষ হলে আসামী আবেদনকারীরা অবশ্যই চট্টগ্রামের চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেটের কাছে আত্মসমর্পণ করবেন। জামিনের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর ২০২১সালের ১৯ ডিসেম্বর দুই আসামী নুরুল ইসলাম প্রকাশ টাউট তেইন্যা পুত্র মোঃ ফোরকান চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট কামরুন্নাহার রুমির আদালতে আত্মসমর্পন পুর্বক জামিন আবেদন করে। শুনানী শেষে আসামী ফোরকানের জামিন মঞ্জুর, নুরুল ইসলাম প্রকাশ টাউট তেইন্যার জামিন আবেদন না মঞ্জুর করে জেলহাজতে প্রেরনের নির্দেশ দেন। আদালত এসময় মন্তব করেছেন তেইন্যা জঘন্য অপরাধী। জেল হাজতে থাকা অবস্হায় চট্টগ্রাম আদালতের কোন বিচারক টাউট তেইন্যাকে জামিন দেয়নি। পুনরায় মহামান্য হাইকোট থেকে জামিন নিয়ে ২০২২ সালের ৭ ফেব্রুয়ারী চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারগার থেকে মুক্তি পায় তেইন্যা। তবে দীর্ঘ দুই মাস জেলহাজতে শাস্তি ভোগ করার পর শিক্ষা নেয়নি কুলাঙ্গার এই তেইন্যা। কিন্ত কার কথা কে শুনে বাদী পক্ষের লোকজন কিংবা মামলার সাক্ষীদের প্রতিনিয়ত গালাগাল চরিত্র হনন, ভয়ভীতি প্রাণনাশের হুমকি এমনকি একটি মিথ্যা মামলা দিয়ে ফাঁসানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। এর আগে প্রতিপক্ষ লোকজনের বিরুদ্ধে ধর্ষণ চেষ্টা মামলা দিয়ে ফাঁসানোর চেষ্টা চালায় তেইন্য তার সিন্ডিকেট অভিযোগ ভুক্তভোগিদের। এজন্য যথাযত প্রমানও আছে বাদী পক্ষের হাতে। তেইন্যার ছাফ কথা, আদালত মামলা টামলা তার কাছে কিছুই না, একেবারে একটি তু”ছ বিষয়। এগুলি নিয়ে আমি মাথা ঘামায় না ফরোয়া করিনা। বাদী এবং সাক্ষিদের বারবার হুমকি প্রদান মৃত্যুর ভয় দেখালে কর্ণফুলী থানায় তাদের বিরুদ্ধে সাধারণ ডায়েরী নং-৬৯৩ দায়ের করা হয়। পরে থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার নির্দেশে এসআই আবদুর রহিম মিয়া তদন্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র নং-৩ দাখিল করেন বলে জানা গেছে।
স্হানীয় সুত্রগুলো জানায়, তেইন্যা, পুত্র ফোরকান নিজেদের পাহাড়সম অভিযোগ ঢাকার জন্য এবার নানা ফন্দি ফিকির শুরু করেছে। হয়ে উঠেছে আরও বেপরোয়া। স্হানীয় থানা পুলিশ, জন প্রতিনিধিদের সাথে সখ্যতা বৃদ্ধির মিশন নিয়ে মাঠে নেমেছে। ভাব জমানোর চেষ্টা করছে। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে তার লোক আছে অমুক বিচারক অমুক পুলিশ কর্মকর্তা তার আত্মীয়। এইসব মামলা টামলা দিয়ে তার কিছুই করতে পারবেনা বলে বিভিন্ন জায়গায় বলাবলি করছে। তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করছে। তেইন্যা এক সময় রিক্সা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করতেন। পরে বনে যায় মানবাধিকার সংগঠনের বড় নেতা সংগঠক। একেক জায়গায় পরিচয় দিতে থাকে সরকারী কর্মকর্তা, আইনজীবী, আইনজীবী সহকারী, প্রশাসন ও গোয়েন্দা সংস্হার লোক। এভাবে পরিচয় দিয়ে প্রতারনা করে আসছিল দীর্ঘদিন। চাতরী গ্রামের এক শিক্ষক থেকে তার ছেলেকে চাকরী দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে টাকা হাতিয়ে নেয়ার চেষ্টা করে তেইন্যা। স্ত্রীর ভগ্নিপতি আবদুর রশিদের সাথেও প্রতারনা করে এই তেইন্যা। পরে রশিদ ক্ষোভে দুঃখে বাড়ি থেকে বের হয়ে আর ফিরে আসেনি। খোঁজ মিলেনি দীর্ঘ ২০বছরের অধিককাল পর্যন্ত। প্রশাসন কিংবা আইন প্রয়োগকারী সংস্হার লোকজন গুরুতর অভিযোগের বিষয়টি তদন্ত করে দেখতে পারেন তাকে ধরে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারেন অনুরোধ জানিয়েছেন এলাকার লোকজন। অপরাধের রাজা খ্যাত তেইন্যা এরপরও বসে নেই ভিজিটিং কার্ড ছাপিয়ে নানা জায়গায় নানাজনের কাছে বিলি,গলায় কার্ড ঝুলিয়ে বিভিন্ন নামে পরিচয় দিতে থাকে। এই পরিচয় দিয়ে নানা জায়গায় প্রতারনা এবং চট্টগ্রাম এলএ শাখা হতে বিপুল অংকের টাকা হাতিয়ে নেয় আত্মসাত করে এই তেইন্যা। সুযোগ পেলে এখানে সেখানে ভুয়া পদপদবি ব্যবহার করছে প্রতারনা করছে ফায়দা লুটার চেষ্টা করছে বলে জানায় নিরপেক্ষ সুত্রগুলো।
সুত্র আরো জানায়, আনোয়ারার বাড়িতে অবৈধ টাকায় চলে দুইদিন ব্যাপী উৎসব। সাথে এলাকার কতক চিহ্নিত দালালও ছিল বলে জানা যায়। চট্টগ্রাম শহর থেকে ব্যান্ড পাটি নিয়ে বাড়িতে এলাকায় দিনভর ঢোল পিটিয়ে রীতিমতো আতঙ্ক সৃষ্টি করে। কিš‘ তার এই অপকর্মের বিষয়ে কেউ টু-শব্দ পর্যন্ত করেনি। গত মাসের ১৮ মে তারিখে ব্যান্ড পাটি নিয়ে উৎসব এবং পরদিন ১৯ মে বৃহস্পতিবার মেজবানের আয়োজন করে তেইন্যা, পুত্র ফোরকান। এমনকি বাদী পক্ষের বাড়ির সামনেও কয়েক ঘন্টা ঢোল পিটিয়ে বাদ্য বাজনা বাজিয়ে আনন্দ উৎসব করা হয় বলে অভিযোগ। এলাকায় তেইন্যার মেজবান এবং ব্যান্ড পাটির উৎসব নিয়ে সাধারণের মাঝে নানা কৌতুহল ও হাস্যরসের সৃষ্টি হয় বলে জানিয়েছেন অনেকে। জাল-জালিয়াতি ও রাষ্ট্রদ্রোহী মামলার এই আসামীর বাড়িতে ওইদিন থানা পুলিশের উপ¯ি’তি নিয়ে চলছে নানা গুঞ্জন, চলছে নানা প্রশ্নও।
স্হানীয় জানায়, মুহাম্মদপুর সিকদার বাড়িতে রয়েছে শত বছরের প্রাচীন মসজিদ, কবরস্হান, ইসলামীক ফাউন্ডেশন ভিত্তিক ইসলামী গণশিক্ষা কেন্দ্র ( ফোরকানীয়া মাদ্রাসা)। সাথে আছে শত বছরের পুকুর, আছে ওই পরিবারের ঐতিহ্যও। কবর স্হান শুয়ে আছে অনেকের বাবা মা ভাই বোন এবং শত শত মুরুব্বি। আছে তার বাবা-মা ভাই আত্মীয় স্বজনও। স্পর্শ কাতর ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান সমুহের সামনে দিনভর গান বাজনা হই হুল্লোল ঢোল তবলা পিটিয়ে আনন্দ উৎসব করা হয়। এই অপকর্মের মাধ্যমে ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান সমুহের অবমাননা করা হয় বেজ্জত করা হয়। সাধারণ মানুষের ধর্মীয় অনুভুতিতে দেয়া হয় চরম আঘাত অভিযোগ এলাকাবাসীর। মসজিদ কবর স্হান সংলগ্ন টাউট তেইন্যার বাড়ি।স্হা নীয়দের প্রশ্ন, তেইন্যারা এতো সাহস পায় কোথায়। টাকার উৎস কি, নাকি আলাদিনের চেরাগ পেয়েছে! নাকি অন্ধকারে বড় গায়েবি ডেক পেয়েছে! তা খোঁজ খবর নিয়ে তদন্ত করে খতিয়ে দেখা দরকার। তাদের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত জালিয়াতি মামলায় গুপ্ত ধনের বিষয়টিও উল্লেখ আছে বলে জানায় ওই সুত্র।। টাউট বাটপারি ইয়াবা (মাদক) বিক্রির টাকা এবং এলএ শাখা হতে আত্মসাতের টাকায় তেইন্যার এই ফুর্তি উৎসব বলে জানায় সুত্রটি।
স্বাধীনতার পরের কথা, সিকদার বাড়ির লোকজন মুরুব্বিরা বসে সিদ্ধান্ত নেয়, কোন অবস্হাতে এই বাড়িতে সমাজে অপসাংস্কৃতির দুয়ার খোলা যাবেনা চালু করা যাবেনা বিশৃংখলা করা যাবেনা। উৎসবের নামে বেহায়াপনা করা যাবেনা। বাদ্য বাজনা করা যাবেনা। ধর্মীয় বর্হিভুত কোন ধরনের গর্হিত কার্যকলাপ করা যাবেনা। এসময় আরও কতিপয় সিদ্ধান্তও নেয়া হয়। কিন্তুু‘ দীর্ঘ ৪০ বছর পর সব সিদ্ধান্ত ভেঙ্গে চুরমার করে দিয়েছে এই টাউট তেইন্যা পুত্র ফোরকান দালাল ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী বাহিনী। উৎসবের নামে বাদ্য বাজনা ঢোল তবলা গান বাজনা বাজিয়ে সাধারণ মানুষের ধর্মীয় অনুভুতিতে আঘাত দেয়ার পাশাপাশি চলাচলে বেঘাত ঘটানো হয়েছে। অসম্মান দেখানো হয়েছে মসজিদ মাদ্রাসা কবর স্হানের প্রতি। এসব করে আতঙ্ক সৃষ্টি করা হয়েছে। তার এই অপকর্ম চেয়ে দেখেছিলেন স্হানীয় লোকজন। এদিকে পথেঘাটে হাটে বাজারে চায়ের দোকানে আড্ডায় বসে প্রতিপক্ষ লোকজনের বিরুদ্ধে নানা অশ্লীল উক্তি, চরিত্র হনন, গালাগাল এবং দেখিয়ে নেয়ার হুমকি দেয়া হ”েছ বলে জানায় স্হানীয়রা। বাপ-বেটার অঢেল টাকার উৎস কি তা খতিয়ে দেখারও দাবী স্হানীয়দের। দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক) পুলিশ প্রশাসন গোয়েন্দা সংস্হার লোকদের নজর দিতে বলেছেন সচেতন লোকজন। এদিকে প্রতিপক্ষকে গায়েল করতে শেষ সম্বল হিসেবে জাদু,বান-টোনার আশ্রয় নিয়েছে তেইন্যা। পাশের উপজেলা বাঁশখালী ও পার্বত্য জেলার রাঙ্গামাটি খাগড়াছড়ির কয়েক বৈদ্য তার বাড়িতে প্রায় সময় আসা যাওয়া করছে। বৈদ্য দিয়ে জাদু বান-টোনা ছাড়াও গোপনে হত্যার মিশন পরিকল্পনার কথাও জানিয়েছে নির্ভরযোগ্য সুত্রটি। তেইন্যা তার পুত্র’র গোপন এই পরিকল্পনার বিষয়টি দ্রুত আইন প্রয়োগকারী সংস্হাকে অবহিত করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানায় ওইসুত্র। উল্লেখ্য যে,তেইন্যার চলাফেরা স্টাইল এখনো ভিন্ন রকম ভিন্ন আমেজের। লাগে ৪০ বছরের ব্যক্তির মতো। টাই স্যুট সু পরে চলাফেরা করে তেইন্যা। জালিয়াতি মামলা হওয়ার পরপরই তেইন্যা পালিয়ে যায় সিলেটে। সেখানে দেখা গেছে মেয়ে নিয়ে ফুর্তি করতে। প্রাইভেট কার নিয়ে দৌঁড়াদোড়ি করতে। মুহাম্মদপুর গ্রামের লোকজন সিলেট হযরত শাহ জালাল মাজার জেয়ারতে গেলে তেইন্যার এই দৃশ্য দেখতে পায় বলে জানায়। এ সময় বেটা ফোরকানও ধরা পড়ার আশংকায় পুলিশের ভয়ে পালিয়ে যায়। শহরে বন্দরে হাটে বাজারে চায়ের দোকানে এলাকায় তাকে তেইন্যা হিসেবে জানে ও চিনে।