মাননীয়,
আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন এমপি সমীপে
গরম গরম কথার শুরুতে আমার লাখ কোটি সালাম জানিবেন। আশা করি আল্লাহ মালিকের অপার মহিমায় ভালো থাকিয়া ভিশন ও মিশন কায়েমের লক্ষ্যে নানান ফর্মূলা তৈরী ও বাস্তবায়ন করিয়া মহা- সুখেই আছেন। আমিও গ্রাম বাংলার এক মফস্বল শহরে থাকিয়া তেল, গ্যাস ও আটা ও দ্রব্য মূল্যের অধিক মূল্য্য বৃদ্ধিতে হিমসিম খাইয়া ছাগলের তিন নাম্বার বাচ্ছার মতো খাইয়া না খাইয়া বাঁচিয়া আছি।গেলবার আপনার সমীপে লিখিব বলিয়াছিলাম, এইজন্য লিখিতেছি বলিয়া রাগ করিবেন না বরং শত ব্যস্ততার মধ্যেও গরম কথাটুকু পড়িয়া দেখিবেন ও যাহা প্রয়োজন তাহা করিবেন এবং ভুল হইলে নিজ গুনে মাফও করিয়া দিবেন।
আপনি হইলেন – জয়পুরহাট ২ আসনের সংসদ সদস্য।২০১৪ সালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসাবে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হইয়াছেন।এখনো আপনি সংসদ সদস্য্ । ছাত্রজীবনে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এবং কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের দপ্তর সম্পাদক ও জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতির দায়িত্ব পালন করিয়াছেন। বর্তমানে আপনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদকের (চট্টগ্রাম বিভাগ) দায়িত্ব পালন করিতেছেন। এর আগেও সফলতার সাথে তিনবার সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্ব পালন আপনি করিয়াছেন।তাহা ছাড়াও মহান জাতীয় সংসদের চীফ হুইপ হিসাবে দায়িত্ব পালন করিয়া আসিতেছেন এখন। যাক, সেই সব কথা।
দলীয় শৃঙ্খলাবিরোধীদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে রহিয়াছে আওয়ামী লীগ। তাহাদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স দেখাইতে কেন্দ্রীয় নেতাদের নির্দেশনা দিয়াছেন দলীয় সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে দল মনোনীত প্রার্থীদের বিপরীতে নির্বাচন করা দলের বিদ্রোহীদের বিষয়ে এইবার আর কোনো ছাড় দেওয়া হইতেছে না। দলের সিদ্ধান্ত অমান্য করিয়া প্রার্থী হওয়া ও তাহাদের পক্ষে মাঠে থাকা, মদত দেওয়াসহ শৃঙ্খলাবিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকিবার কারণে ইতিমধ্যে সারা দেশে আওয়ামী লীগের ১০ সহস্রাধিক নেতাকে বহিষ্কার করা হইয়াছে। বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার হওয়ার আগ পর্যন্ত কেউ দলীয় কোনো পদে আসিতে পারিবেন না বলিয়া জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতারা। ইহা ছাড়াও যাহাদের শোকজ করা হইয়াছে তাহাদের জবাব সন্তোষজনক না হইলে একই নিয়ম কার্যকর হইবে বলিয়াও সাফ জানিয়ে দেওয়া হইয়াছে।এই সব কথা চিৎকার করিয়া আপনিও বহু সভা সমাবেশে বলিয়াছেন । কিন্তু এইসব বহিস্কৃতদের মধ্যে অনেক নির্বাচিত চেয়ারম্যানও রহিয়াছেন।তাহারা বহিস্কৃৃত হইলেও এখনো পদ ব্যবহার করিতেছে। ফলে সাধারণ নেতা কর্মীরা এইসব কথা বিশ্বাস করিতেছে না।
এইসব কি শুনিতেছি? প্রথম আলো পত্রিকায় রিপোর্ট করিয়াছে আপনার আয় ১২ গুণ বাড়িয়া গিয়াছে ।আপনার স্ত্রী মেহবুবা আলম শূন্য থেকে গত পাঁচ বছরে হইয়াছেন কোটিপতি। পাঁচ বছর আগে কোনো জমি না থাকিলেও এখন তিনি সাড়ে আট একর জমির মালিক।এইসব বিষয়ে আপনি বলিয়াছেন ‘ আমি আগেও ব্যবসা করিতাম। সংগঠনের নেতা নির্বাচিত হওয়ার পর আমার পরিচিতি বাড়িয়াছে, ব্যবসাও বাড়িয়াছে। আমি সেই আয় থেকে স্ত্রীর নামে জমি ও একটি বাড়ি কিনে দিয়াছি। অবৈধভাবে একটি টাকাও আয় করি নাই।’
আপনার ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান রূপালী ইঞ্জিনিয়ার্স অ্যান্ড ট্রেনিং লিমিটেড ও উইনার অ্যাসেটস লিমিটেড এর প্রতি এখন অনেকের নজর পড়িয়াছে।বিষয়টি মাথায় রাখিবেন।চট্টগ্রামে যাহাতে কেউ পদ বাণিজ্য করিতে না পারে সেদিকে খেয়াল রাখিবেন। বিকাশে টাকা দিয়া নেতা হইবার খায়েশ আপনি মিঠাইয়া দিবেন কিনা ত্যাগী নেতা কর্মী তাহা লক্ষ্য করিতেছে।বার আউলিয়ার চট্টগ্রামের আপনি আওয়ামী লীগের দায়িত্ব প্রাপ্ত ব্যাক্তি । স্বচ্ছভাবে, অরজিনাল ত্যাগীদের মূল্যায়ন করিয়া হাইব্রীড ও দুই নাম্বারী ব্যবসায়ীদের দলের পদপদবি দিবেন না।এমনিতেই হাইব্রীড ও দুই নাম্বারী ব্যবসায়ীরা আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকিলে আপনাদের পিছনে ঘুরঘুর করিবে।
আগামী সংখ্যায় আমির খসরু মাহমুদ সমীপে ঠাণ্ডা মিয়ার গরম কথা (২২৫) সম্প্রচার করা হইবে।