1. admin@purbobangla.net : purbobangla :
শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৩:১৬ পূর্বাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ :
সীতাকুণ্ডে বৃষ্টির জন্য ইস্তাহার নামাজ আদায় শনিবারও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা রাখার সিদ্ধান্ত সীতাকুণ্ড উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে দুই প্রতিদ্বন্দ্বী মধ্যে ভোটের যুদ্ধ সন্দ্বীপে পরকীয়ার অভিযোগ তুলে স্ত্রীকে শ্বাসরোধে হত্যা অভিযুক্ত স্বামী গ্রেফতার  চট্টগ্রামে র‌্যাবের নাম ভাঙিয়ে চাঁদাবাজি, গ্রেফতার ৪ চট্টগ্রামের বিভিন্ন মহাসড়কে অবৈধ গাড়ির অরাজকতা বন্ধ করতে আবারো বিআরটিএ’র অভিযান আমি আজ কথা দিচ্ছি  আপনাদের একা রেখে পালিয়ে যাব না, সুখে দুঃখে আপনাদের পাশে থাকব, আমি আপনাদের এই ভালোবাসার প্রতিদান দিতে চাই- ওয়াসিকা চট্টগ্রামের গুরুত্বপূর্ণ সড়কে বিআরটিএ’র সাঁড়াশি অভিযান, জরিমানা অর্ধলাখ মে মাসেও থাকবে তীব্র গরম, তাপমাত্রা ছাড়াতে পারে ৪৪ ডিগ্রি সব স্কুল-কলেজ ৭ দিন বন্ধ

সরকারি আইনি সহায়তার সফল বাস্তবায়নে প্রয়োজন জনসচেতনতা- রাজিয়া সুলতানা

পূর্ব বাংলা ডেস্ক
  • প্রকাশিত সময়ঃ শনিবার, ১১ জুন, ২০২২
  • ১২৩ বার পড়া হয়েছে

 

সবুজ অরণ্য

সরকারি খরচে দেশের অসচ্ছল, অসহায় ও অপেক্ষাকৃত পিছিয়ে পড়া তৃণমূল জনগোষ্ঠীকে আইনি সহায়তা প্রদান কার্যক্রমের সফল বাস্তবায়নের জন্য সবার আগে জনসচেতনতা প্রয়োজন বলে মত প্রকাশ করেন সরকারি আইনি সহায়তা প্রদান সংস্থা, জেলা লিগ্যাল এইড কর্মকর্তা ও সিনিয়র সহকারী জজ রাজিয়া সুলতানা।

বৃহস্পতিবার জেলার রাউজান উপজেলা মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত উপজেলা লিগ্যাল এইড কমিটির উদ্যোগে ও সদস্যদের অংশগ্রহণে আয়োজিত উদ্বুদ্ধকরণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।

উপজেলা চেয়ারম্যান এ,কে এম এহেছানুল হায়দার চৌধুরী (বাবুল’র) সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনায় ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুস সামাদ শিকদার।

উদ্বুদ্ধকরণ সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) অতীশ দশী চাকমা, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মোহাম্মদ নুর আল দীন, উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মোহাম্মদ মনির হোছাইন, উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মোহাম্মদ আব্দুল কুদ্দুস, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা পক্ষে উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা কাজী আতিকুর রহমান চৌধুরী, উপজেলা আনসার ভিডিপি কর্মকর্তা ফাহমিদা ইয়াসমিন ও রাউজান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবদুল্লাহ আল হারুন।

উদ্বুদ্ধকরণ সভায় প্রধান অতিথি আরো বলেন, সরকারি খরচে আইনি সহায়তা লাভ করা ‘কারো অনুদান কিংবা অনুকম্পা নয়, এটা সকল নাগরিকের রাষ্ট্রীয় অধিকার’। জনগণকে রাষ্ট্রের মালিক উল্লেখ করে তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সারাজীবন দেশ ও জাতির সেবায় নিজের জীবন উৎস্বর্গ করে গেছেন। খেটে খাওয়া একজন সাধারণ মানুষও ছিলেন তাঁর কাছে সর্বোচ্চ সম্মানিত। তাই জাতির পিতার জীবন থেকে শিক্ষা নিয়ে রাষ্ট্রের সকল নাগরিকের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করে তাঁদের সেবক হিসেবে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করতে হবে।

উল্লেখ্য, ১৯৯৪ ও ১৯৯৭ সালে দুইবার মন্ত্রী পরিষদ অধিবেশনে দেশের অসচ্ছল, সুবিধা বঞ্চিত ও অসহায় জনগণের জন্য সরকারি খরচে আইন সহায়তা কর্মসূচী বাস্তবায়নের নিমিত্তে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীনে লিগ্যাল এইড ব্যবস্থার প্রাতিষ্ঠানিকীকরণে রেজুলেশন পাশ করা হলেও পূর্ণাঙ্গ রূপ পায় আইনগত সহায়তা প্রদান আইন-২০০০ পাশ হওয়ার মধ্যদিয়ে।

এ আইন পাস হওয়ার পরপরই প্রজ্ঞাপন জারি করে সরকার। এ প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে একটি সংবিধিবদ্ধ সংস্থা হিসেবে জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থা প্রতিষ্ঠা লাভ করে। তারপর থেকেই সমগ্র বাংলাদেশে সরকারি আইন সহায়তা কার্যক্রম বাস্তবায়নের দায়িত্ব এ সংস্থার উপর ন্যস্ত থাকলেও প্রয়ােজনীয় প্রাতিষ্ঠানিক অবকাঠামাের অভাবে ২০০৯ সালের পূর্ব পর্যন্ত সরকারি আইন সহায়তা কর্মসূচীর উল্লেখযােগ্য কোনাে অগ্রগতি ছিলনা বললেই চলে।

বর্তমান প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা ২০০৯ সালে সরকার গঠনের পর তিনি জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থাকে একটি সক্ষম ও কার্যকর প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তােলার প্রথম উদ্যোগ গ্রহণ করেন।

এসময় সংস্থার জনবল কাঠামাে পুন:বিন্যাস করে প্রয়ােজনীয় সংখ্যক কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়ােগ প্রদান ও প্রথমবারের মতাে সংস্থায় পূর্ণকালীন পরিচালক নিয়ােগ করা হয়। সংস্থার অফিসসহ অন্যান্য ভৌত অবকাঠামাে সৃষ্টি পাশাপাশি সংস্থার অধীনে দেশের ৬৪টি জেলায় জেলা ও দায়রা জজের নেতৃত্বে জেলা লিগ্যাল এইড কমিটি গঠন করা হয়।

প্রত্যেক জেলা জজ আদালত ভবনে একটি লিগ্যাল এইড অফিস স্থাপন করা হয়। জেলা লিগ্যাল এইড কমিটিকে পুনর্গঠনের পাশাপাশি সারাদেশের উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে লিগ্যাল এইড কমিটি গঠন করা হয়। দেশের সর্বোচ্চ আদালত মহামান্য সুপ্রীম কোর্টে লিগ্যাল এইড কার্যক্রমকে ঢেলে সাজানাে হয়। লিগ্যাল এইড বিষয়ক আইন, নীতিমালা ও প্রবিধানমালা সংশােধন করা হয়। দরিদ্র জনগণকে আইনগত পরামর্শসহ তথ্য সেবা প্রদানের লক্ষ্যে হটলাইন সার্ভিস চালুর পাশাপাশি সংস্থার সেবাধর্মী কার্যক্রমকে ডিজিটাইলাইজ করার জন্য ওয়েবসাইট তৈরী করা হয়েছে বর্তমান সরকারের আমলে।

এছাড়া আইন সহায়তা বিষয়ে জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে অব্যাহত রাখা হয়েছে রেডিও, টেলিভিশন, সংবাদপত্র ও অনলাইন গণমাধ্যমে এর প্রচার-প্রচারনা।মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে ২০০৯ সালে জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থাটি সতন্ত্র প্রতিষ্ঠান হিসেবে প্রতিষ্ঠার মাত্র এক যুগের ব্যাবধানে প্রতিষ্ঠানটি আজ পরিনত হয়েছে সাধারণ জনগণের আস্থার ঠিকানা ও আইনি অধিকার প্রাপ্তীর বাতিঘর হিসেবে। যার সর্বোচ্চ সুফল ভোগ করছে রাষ্ট্রের অসচ্ছল, অসহায় ও সুবিধা বঞ্চিত জনগণ।

শেয়ার করুন-

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved © 2021 purbobangla