পাঁচলাইশ আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে হয়রানির শিকার হচ্ছেন সেবা গ্রহীতারা। পাসপোর্ট অফিসের কতিপয় কর্মকর্তার যোগসাজশে সংঘবদ্ধ দালাল চক্রের দৌরাত্ম্য চলে আসছে দীর্ঘদিন ধরে। দালাল ছাড়া ফরম জমা দিতে গেলে বিভিন্ন ছল-ছাতুরির মাধ্যমে বাতিল করা হয়। অনেকে ঝক্কি-ঝামেলা এড়াতে দালালের মাধ্যমে পাসপোর্ট ফরম জমা দেন। দালালের খপ্পরে পড়তে বাধ্য হন।
বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, দালালরা ফরম জমাদানের সময় বিশেষ সাংকেতিক চিহ্ন ব্যবহার করেন। এ সাংকেতিক চিহ্ন দেয়া ফরম অনায়াসেই গ্রহণ করা হয়। বিশেষ চিহ্ন না থাকলে হরেক রকম ভুলের অজুহাতে ফরম ফেরত দেয়া হয়। এছাড়া নগর ও জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার কতিপয় অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারীর বিরুদ্ধে যাচাইয়ের নামে হয়রানির অভিযোগও রয়েছে।আনসার মোঃ খোকন রুহুল আমিন, মোজাম্মেল, হোসেন রিদওয়ান, রিপন প্রতি সপ্তাহে ৬০ হাজার টাকা করে অফিস স্টাফ সুমনকে দেয়। আনসার খোকনকে, মান্নান সাইফুল প্রতি সপ্তাহে ৬০হাজার টাকা বুঝে নেয়। মান্নান সাইফুল পাঁচলাইশ থানার পুলিশ সোর্স কুদ্দুস কে পাঁচলাইশ থানার ওসির নাম ভাঙিয়ে প্রতি সপ্তাহে ২৫ হাজার টাকা করে প্রেমেন্ট করেন কুদ্দুস।
জানা যায় নামধারী ট্রাভেল এজেন্সি ও দালাল চক্র থেকে প্রতি সপ্তাহে ৫০০ টাকা করে নেন সাইফুল। পাসপোর্ট জমা নেওয়ার ক্ষেত্রে অফিস কর্তৃপক্ষ ১৬৫০ টাকা মার্কা/ চিহ্ন না থাকলে ফাইলে হয়রানি মূলক আচরণ করে অফিস কর্তৃপক্ষ এবং ফাইল রিটার্ন দিয়ে দেয়।
জানা গেছে, আনসার নামদারী দালাল, দালাল চক্রের প্রধান ছোট মান্নান, দালাল চক্রের সেকেন্ড ইন্দনদাতা পটিয়ার সাইফুল, বাবলা সরকার, কামরুল, পারভেজ, আজিজ, জামাল, জুয়েল, বড় নাসির পুলিশের দালালি, ছোট নাসির দালাল, ভাগিনা নামে পরিচিত সাহেদ, বাবু, উজ্জ্বল বাবু, সুবর্ণা মোস্তফা দিদার (চকবাজার) বাঁশখালীর হেলাল, পরিচচ্ছন্ন রাজনীতিবিদ দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমাননের নাম ভাঙ্গিয়ে ভাতিজা পরিচয় দিয়ে দালাল আনোয়ার, দালাল জহির, বাঁশখালীর ইমরান , সাতকানিয়ার রফিক, কক্সবাজারের এরশাদ, মেম্বার জনি, মোটা এসকান্দর, চন্দন বড়ুয়া, সোহেল জুয়েলের ভাই, ট্রাভেল এজেন্সির নাম ভাঙিয়ে ওসমান , বাঁশখালীর অলিউল্লাহ দালাল শফি ( আমান বাজার) দালাল এরশাদ ( বাঁশখালী) বেলাল, মাস্টার শাহাবুদ্দিন( বাঁশখালী), সহিদ দালাল (শোলক বহর) এরা পাসপোর্ট অফিস ঘিরে রাতদিন দুই নম্বরী কাজে ব্যস্ত থাকে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, জমা দেয়া আবেদনপত্রে বিশেষ চিহ্ন দেখলেই পাসপোর্ট অফিস এবং পুলিশের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারী যা বুঝার বুঝে নেন। এজন্য দালালদের পুলিশের বিশেষ শাখা ও পাসপোর্ট অফিসের কর্মকর্তাদের নির্দিষ্ট হারে টাকা গুনতে হয়।