রানা সাত্তার
হিজড়াদের দ্বারা হয়রানির শিকার হয়নি, এমন মানুষ খুব কম আছে। এটা জানা কথা যে, হিজড়ারা সাধারণ মানুষকে কম-বেশি হয়রানি করে থাকে। ইদানীং চট্টগ্রামে হিজড়ারা বেশি আক্রমণাত্মক হয়ে উঠেছে।
হঠাৎ করেই এসে টাকা দাবি করে তারা। না দিতে চাইলে অশ্লীল ভাষা, ধাক্কাধাক্কি সবার সামনে নগ্ন হতে চাওয়াসহ বিভিন্ন অশ্লীল আচরণ ও তুমুল হট্টগোল সৃষ্টি করে রাস্তাঘাটে । এমনকি মানে না তারা স্কুল,কলেজ,ব্যাংক, হাসপাতালের মত ব্যাবসা প্রতিষ্ঠানও।
চট্টগ্রামে সাধারণ মানুষ এভাবেই হিজড়াদের দ্বারা নিপীড়িত হয়ে আসছে দিনের পর দিন।হাটবাজার, রেল স্টেশন ও বিভিন্ন বাসস্ট্যান্ডে এদের বেশি দেখা যায়। ফলে বাজার করতে আসা মানুষ ও বিভিন্ন গন্তব্যের যাত্রীরা এদের দ্বারা সবচেয়ে বেশি অত্যাচারিত হচ্ছে।
মোহরার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে ঢুকে টাকা দাবি করে তারা। ৫০ টাকা চাইলে ৫০ টাকাই দিতে হবে, কম নেবে না। এভাবে সাধারণ মানুষের ওপর তারা জুলুম চালায়। মান-সম্মানের ভয়ে সাধারণ মানুষ তাদের টাকা দিতে বাধ্য হয়। ছাত্ররাও এদের হাত থেকে রেহাই পায় না।
২৯মে চট্টগ্রাম গ্রামীণ চক্ষু হাসপাতালে কালী হিজড়ার নেতৃত্বে একটি টিম প্রবেশ করে।প্রতি সপ্তাহে ৫০ টাকা করে নেয়ার পরও আবার মাসে ২০০টাকা দাবি করে।এতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ রাজি না হওয়ায় হাসপাতাল ম্যানেজারসহ কর্তৃপক্ষকে হেনেস্তা করে,পরে টাকা নিয়ে চলে যায় এবং অকট্য ভাষায় গালিগালাজ করার পাশাপাশি হুমকি-ধামকি দিয়ে যায়।সাথে সাথে হাসপাতাল কতৃপক্ষ ৯৯৯’এ কল দিয়ে চান্দগাও থানা পুলিশ টিমের সহায়তা নেন।তবে পুলিশ আসতে আসতে তারা পালিয়ে যায়।
এ ব্যাপারে এস আই রফিকুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন হিজড়ার অত্যাচার বেড়েই চলেছে।তবে আবার যদি এভাবে প্রতিষ্ঠানে ঢুকে অশালীন আচরণ করলে আইনানুগ ব্যাবস্থা নেয়া হবে।
গ্রামীণ চক্ষু হাসপাতালের ম্যানেজার মাহমুদুল হাসান জানান, আমার জানা মতে সরকার হিজড়াদের বসবাসের জন্য ঘরবাড়ি নির্মাণ ছাড়াও অর্থিকভাবে সহায়তা করছে। তারপরও এদের অত্যাচার ও চাঁদাবাজি থামছে না।
তিনি আরো জানান, সাধারণ মানুষের ভোগান্তি কমাতে বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মহোদয় কার্যকর পদক্ষেপ নেবেন এটাই প্রত্যাশা।