বর্ষার আগেই বর্ষার সেই পরিচিত ভোগান্তিতে পড়তে হলো চট্টগ্রামবাসীকে।
২১ মে শনিবার সকাল ৬টা থেকে ৯টা পর্যন্ত ৫ মিলিমিটার বৃষ্টিতে বিভিন্ন এলাকায় জলজটের সৃষ্টি হয়। সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত আরও ৪৩ মিলিমিটার বৃষ্টিতে ফ্লাইওভারেও জমে পানি। এতে ভোগান্তিতে পড়তে হয় অফিসগামীদের।
সকাল ৮টা থেকে শুরু হওয়া বৃষ্টিপাতে চট্টগ্রাম নগরীর দুই নম্বর গেইট, ষোলশহর, কাতালগঞ্জ, আলকরণ ওয়ার্ডের কিছু জায়গায় জলজটের সৃষ্টি হয়েছে। ফলে ঘর থেকে বের হওয়া মানুষজনকে হাঁটু পরিমাণ পানি মাড়িয়ে এসব এলাকায় চলাচল করতে হচ্ছে। এছাড়া পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা অপ্রতুল হওয়ায় বৃষ্টিতে পানি জমেছিল আখতারুজ্জামান চৌধুরী ফ্লাইওভারের উপরেও। তবে সকাল সাড়ে ১০টার পরে বৃষ্টি কমে যাওয়ায় পানি নামতে শুরু করেছে।ফ্লাইওভার দিয়ে যাতায়াতকারী যাত্রী ইমু খান বলেন, ফ্লাইওভারের দুই নম্বর গেইট এলাকার অংশে পানি জমে গিয়েছিল। পানি দ্রুত নামার ব্যবস্থা না থাকায় পানি জমে গিয়েছিল। চট্টগ্রামের দুই নম্বর গেট এলাকার আশপাশের এলাকায় হাঁটু পরিমাণ পানি ছিল। এ সময় এই সড়কে পানি প্রবেশ করে অনেক সিএনজি অটোরিকশা বন্ধ হয়ে যায়। চালকদের গাড়ি টেনে নিতে দেখা গেছে।
সিএনজি চালক আফজাল ইসলাম বলেন, দুই নম্বর গেটে হাঁটু পরিমাণ পানির মধ্যে সিএনজি বন্ধ হয়ে যায়। পারভেজ রহমান নামের ষোলশহর এলাকার এক বাসিন্দা বলেন, সামান্য বৃষ্টিতেই পানি উঠে গেছে দুই নম্বর গেট এলাকায়। ভারী বৃষ্টি হলে পানি তো আরও বেশি জমবে। প্রতিবছরই বর্ষা এলে আমাদের দুর্ভোগে পড়তে হয়। পানির কারণে গাড়ি না পেয়ে অতিরিক্ত রিকশা ভাড়া দিয়ে গন্তব্যে যেতে হচ্ছে। আশেকুর রহমান নামে এক চাকরিজীবী বলেন, সিডিএ থেকেই প্রতিবছরই বর্ষা এলেই বলা হয় এ বছর পানি কম উঠবে। কিন্তু দুই নম্বর গেট এলাকার কোন উন্নতি দেখছি না। এ্রছাড়া নগরীর বন্দর-ইপিজেড, পতেঙ্গা, ডবলমুরিং,সদরঘাট,আগ্রাবাদ-হালিশহর বড়পোল, ছোটপোল এবং বন্দেরর আনন্দর পাড়া(হালিশহর রোড) এলাকার নিচু অংশে হাটু পানি জমে জলাবদ্ধাতা সৃস্টি হয়ে বলে আক্তার হোসেন নামে এক স্কুল সহকারী জানিয়েছেন। মূল সড়কে সিডিএ-চসিক ও ম্যাক্সের উন্নয়ন কাজের জন্য মোড়ে মোড়ে বৃষ্টির পানি ও কাঁদা জমে চরম দূর্ভোগ সৃষ্টি হয়েছে।