1. banglapostbd@gmail.com : admin :
  2. admin@purbobangla.net : purbobangla :
ছাতকে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি : ত্রাণের জন্য চলছে হাহাকার - পূর্ব বাংলা
বৃহস্পতিবার, ২০ মার্চ ২০২৫, ১২:৩১ পূর্বাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ
কর্ণফুলীতে ধর্ষণ মামলার ১ আসামী গ্রেফতার  তেজগাঁও উত্তর জামায়াতের বিশিষ্ট ব্যাক্তিগণের সম্মানে ইফতার মাহফিল বাংলাদেশ জমিয়তুল মোদার্রেসীন এর  চট্টগ্রাম আঞ্চলিক সমন্বয় উপ কমিটি গঠিত অনুমোদন পেল ‘গ্রামীণ ইউনিভার্সিটি’ মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা, আইন, স্বরাষ্ট্র ও তথ্য উপদেষ্টার কাছে আকুল আবেদন মহেশখালীতে আগ্নেয়াস্ত্রসহ ১ ডাকাত আটক করেছে কোস্ট গার্ড প্রধান উপদেষ্ঠার নজর জরুরী, কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশনে কোটি টাকার নিয়োগ বাণিজ্য ! রেলওয়ে জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত আনোয়ারার ইয়াবা সম্রাট সাদ্দাম কোটি টাকার জায়গা – সম্পত্তি, গাড়ী ও ট্রলারের মালিক গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে গণমাধ্যমকে শক্তিশালী ভূমিকা পালন করতে হবে-আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী

ছাতকে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি : ত্রাণের জন্য চলছে হাহাকার

পূর্ব বাংলা ডেস্ক
  • প্রকাশিত সময়ঃ শুক্রবার, ২০ মে, ২০২২
  • ২৮০ বার পড়া হয়েছে

সুনামগ‌ঞ্জের ছাতক উপজেলায় বসতবাড়ি তলিয়ে যাওয়ায় বানভাসি মানুষ তকিপুর সরকারি প্রাথ‌মিক বিদ্যালয়ে আশ্রয় নিয়েছে। তিনদিন ধ‌রে না খে‌য়েই আ‌ছেন,তা‌দের খবর কেউ নেয়‌নি। মেম্বর-চেয়ারম্যানরা কেউ হামার খোঁজ নেয়নি।’ কথাগুলো বলে‌ছেন উপ‌জেলার গো‌বিন্দগঞ্জ সৈ‌দেরগাও ইউ‌পির চাকলপাড়া গ্রা‌মের  মৎস্যজীবী আব্দুল ম‌তি‌নের স্ত্রী।তাদের অনেকের ঘরে হাঁটুপানি। এসব এলাকার কর্মজীবী লোকজন দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। তাদের হাতে কাজ নেই, ঘরে চাল নেই, পকেটে নেই টাকাও। ফলে পরিবার-পরিজন নিয়ে অনেকে দিনযাপন করছেন অর্ধাহারে-অনাহারে।
রা‌তে ধী‌রে ধী‌রে পা‌নি কম‌লে ও সকা‌লে থে‌কে মুষলধারে বৃষ্টি ও উজান থেকে আসা পাহাড়ি ঢলের কারণে গত বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বন্যার পানি আবার ও বাড়তে থাকে। সুরমা, চেলা ও ইছামতি,পিয়াইন নদীর পানি বিভিন্ন স্থানে বিপদসীমার ৫০ থেকে ৬০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।প্রায় ৫ লাখ মানুষ পানিবন্দী অবস্থায় দুর্বিষহ জীবন যাপন করছেন। পানির প্রবল শ্রেুাতের কারনে আতংকে রয়েছেন সুরমা নদীর তীরবর্তী পরিবার গু‌লো ।

জানা যায়, সরকারিভাবে বানভাসি মানুষের মাঝে এখন পর্যন্ত পর্যাপ্ত ত্রাণসামগ্রী বিতরণকরা হয়নি। তীব্র খাদ্য সংকটে এসব দুর্গত মানুষের দিন কাটছে অনাহারে-অর্ধাহারে। সেই সঙ্গে খাবার পানির তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। গবাদি পশুর খাদ্য সংকট প্রকট আকার ধারণ করেছে। উপ‌জেলার বেরাজপুর, তাজপুর,তকিপুর,গোবিন্দগঞ্জ,নোয়াপাড়া,আলমপুর,কৃষ্ণনগর,আনন্দনগর,বাংলাবাজার, লাকেশ্বর,বাগইন,খিদুরা,দশঘর,খাগামুড়া,কাঠালপুর, গোয়াসপুর, মর্য্যাদ,রাউলী,জহিরপুর, মন্ডলপুর, ভাতগাঁও,ঝামক,লক্ষমসুম,
কালেশ্বরী,খিদ্রাকাপন,কাইতকুনা, ছৈলা, শিবনগর,বিলপাড়,মোল্লাআতা,গো‌বিন্দগঞ্জ ম‌ড়েল,গো‌বিন্দনগর,আব্দুলজব্বার,তাজপুর,উ‌জিরপুর,রামপুর,সিকন্দরপুর,মাধবপুর,চেচান,জাতুয়াসহ ১শ`৮০‌টি সরকা‌রি প্রাথ‌মিক  বিদ্যালয় গুলো‌তে কোমড় পা‌নি থাকায় ক্লাস বন্ধ রাখা হ‌চ্ছে।

এ‌দি‌কে উপ‌জেলার বন্যা দুর্গতদের জন্য ৩টি আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে। এসব আশ্রয় কেন্দ্রে শতাধিক পরিবার আশ্রয় নেন। দুর্গতদের উপজেলা প্রশাসন থেকে শুকনা খাবার বিতরণ করা হচ্ছে।

উপজেলার বানভাসি মানুষের মধ্যে ত্রাণের জন্য এখন চলছে হাহাকার। তারা ত্রাণের অপেক্ষায় আছেন। প্রতিদিন শত শত মানুষ যাত্রীবাহী নৌকা দেখলেই ত্রাণ পাওয়ার আশায় ছুটে যাচ্ছেন সেখানে। এখন পর্যন্ত বিতরণকৃত ত্রাণ চাহিদার তুলনায় কম হওয়ায় খালি হাতে ফিরতে হয়েছে অধিকাংশ বানভাসিদের। এতে বন্যাদুর্গত এলাকায় তীব্র খাদ্য সংকট দেখা দিয়েছে।এভাবেই সীমাহীন দুঃখ-কষ্টে দিন কাটছে বানভাসি মানুষের। বিভিন্ন স্থানে ত্রাণের জন্য হাহাকার দেখা দিয়েছে। অনেকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা পানিতে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গে‌ছে।
সরকারিভাবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও আশ্রয় কেন্দ্রে ত্রাণ বিতরণ করা হলেও উঁচু স্থানে আশ্রয় নেয়া কিংবা বন্যায় পানিতে আটকে পড়া মানুষ ত্রাণ পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ রয়েছে।

স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরাও বলছেন তারা পর্যাপ্ত ত্রাণ বরাদ্দ পাচ্ছেন না। গবাদিপশু ও গোখাদ্য নিয়েও চরম বিপাকে পড়েছেন বন্যার্তরা। অনেকে পানিতেই সারছেন প্রাকৃতিক কাজ। ফলে ডায়রিয়াসহ নানা পানিবাহিত রোগবালাই ছড়িয়ে পড়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে। অনেক এলাকা নতুন করে বন্যার পানিতে প্লাবিত হচ্ছে, যা অনেকে বলছেন ২০০৪ সালের বন্যা অতিক্রম করেছে। যোগাযোগ সড়কের অধিকাংশই পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় সম্পূর্ণভাবে যোগাযোগ ব্যবস্থা বন্ধ হয়। নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের সংকট দেখা দেয়।

বিশেষ করে দ‌ক্ষিন ছাত‌কে বিভিন্ন ইউ‌পির এখনও বড় ধরনের বন্যা চলছে। নদীগুলোর নাব্য কমে যাওয়ায় বানের পানি নামার হার আগের তুলনায় কম র‌য়ে‌ছে।
ছাতক  উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা তৌফিক হোসেন খান বলেন, পানি বৃদ্ধির কারণে কিছু বোরো ধান ও শাক-সবজি ক্ষেতের ক্ষতি হ‌চ্ছে।   উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মামুনুর রহমান বলেন, ইতিমধ্যে দুর্যোগ মোকাবেলার জন্য বিভিন্ন প্রস্তুতিও সম্পন্ন করে‌ছেন।  বন্যার বিষয় মনিটরিং এর জন্য কন্ট্রোল রুম খোলা হয়। সকালে উপজেলার ইসলামপুর ও নোয়ারাই বন্যা দুর্গত এলাকা পরিদর্শন করেন। বর্তমানে ৩টি আশ্রয় কেন্দ্র চালুর পাশাপাশি আরও ৬টি আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

শেয়ার করুন-

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved © 2021 purbobangla