বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, বায়ু দুষনের কারনে বিপদ সীমার মধ্যে থাকা ঢাকা মহানগরীর পরের অবস্থানে চট্টগ্রাম হলেও কার্যত এখানে বায়ু দুষণ রোধে সরকারী-বেসরকারী কর্তৃপক্ষের তেমন কোন কার্যকর উদ্যোগ দৃশ্যমান নয়। নির্মান কাজের ধুলাবালি, কলকারখানা ও যানবাহনের কালো ধোয়ায় নগরীর পুরো পরিবেশ হুমকির সম্মুখীন। এর বাইরে রয়েছে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাদ্য উৎপাদন ও বিপনণের মতো মারাত্মক সামাজিক ব্যাধি। হোটেল-রেস্তোরা ও খাবারে দোকানগুলিকে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার পক্ষ থেকে বারবার জরিমানা করা হলেও অপরাধের মাত্রা কমছে না। এর বাইরে যত্রতত্র খাবারের দোকান, ফটপাত ও রাস্তায় উন্মুক্ত খাবারের দোকানের ছড়াছড়ি হলেও নগর প্রশাসনের এ খাতে কোন রকম শৃংখলা বিধানের তৎপরতা দৃশ্যমান নয়। রাস্ট্রীয় মান নিয়ন্ত্রনকারী প্রতিষ্ঠান বিএসটিআই এর লাইসেন্স ছাড়া খাদ্য পণ্য উৎপাদন ও বিক্রির রমরমা ব্যবসা চলমান। রমজান উপলক্ষে ঘি, সেমাই এর মতো শত শত মৌসুমী খাদ্য ব্যবসায়ীর উৎসবে ভরপুর। অনেকটাই পুরো নগরী যেন খাদ্যে ভেজালের হাট। যার কারনে জনস্বাস্থ্য মারাত্মকভাবে হুমকির সম্মুখীন।
বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ আরও বলেন নির্মান কাজে পরিবেশ সুরক্ষায় নির্মান কাজ চলমান থাকলে রাস্তায় পর্যাপ্ত পানি ছিটানোর বিধান থাকলেও চট্টগ্রাম নগরীতে পাহাড় কেটে ও নির্মান কাজের কারনে ধুলাবালির প্রকোপ অনেকাংশে বেড়ে বেছে। কিন্তু কোন কর্তৃপক্ষ থেকে পানি ছিটানোর কোন উদ্যোগ দেখা যাচ্ছে না। পাহাড় কাটা, পুকুর ভরাট, প্রাণ-প্রকৃতি ধ্বংস করার উৎসব থামানোর কোন পদক্ষেপ দেখা না গেলেও সরকারের কিছু কর্তৃপক্ষের পৃষ্ঠপোষকতায় প্রাণ-প্রকৃতি ও পরিবেশ বিরোধী অপতৎপরতা দৃশ্যমান। যা অবিলম্বে বন্ধ হওয়া দরকার বলে মতপ্রকাশ করা হয়।