আনোয়ারা প্রতিনিধি
আনোয়ারা গুজরা গ্রামে ৩০০ বছরের পুরানো বাড়ীর রাস্তা ব্যবহারে বাঁধা দিচ্ছে একটি সংঘবদ্ধ গোষ্টি । আনোয়ারা উপজেলার হাইলধর ইউনিয়নের গুজরা গ্রামের মৃত নুরুল আবচার খানের ৩ পুত্র কাটা তার দিয়ে একটি সচল রাস্তা ব্যবহার করতে বাঁঁধা গ্রস্থ করছে। ফলে এলাকার পরিবেশ থমথমে বিরাজমান রয়েছে । যে কোন সময় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হতে পারে বলে স্হানীয়রা মনে করছেন।তাই এই বিষয়ে শান্তিপ্রিয় জনগণ দ্রুত ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ(এমপি)’র সার্বিক সহায়তা ও সমাধান প্রার্থনা করেছেন।
জানা যায়, ৩০০ বছরের পুরানো এই রাস্তাটি হলো মখেলেছুর রহমানের বাড়ীর।এটি মখেলেছুর রহমানের বাড়ীর রাস্তা হিসেবে চলাচল করে আসছে লোকজন ।এই বাড়ীতে ২৮ পরিবার রয়েছে।
গত ১ বছর ধরে হঠাৎ এক প্রতিবেশী পরিবার কালা মিয়া মুন্সির বাড়ির ৩ সহোদর চলাচলে বাঁধা দিচ্ছে ও কাটা তার দিয়ে বেড়া দিয়ে দেয় । ফলে ওই বাড়ী থেকেে এখন মুমূর্ষু রোগী, ডেলিভারি রোগী, স্কুল-কলেজগামী ছাত্র-ছাত্রীসহ এমনকি লাশবাহী গাড়ীসহ আটকে দেয়া হচ্ছে তার কাটা দিয়ে।সেই সাথে এলাকার লোকজন চলাফেরা করতে চরম সমস্যা হচ্ছে।মরহুম নুরুল আবছার খানের ৩ পুত্র জাহাঙ্গীর আলম খাঁন , তারেক রহমান খাঁন, মকসুদ রহমান খাঁন মিলে এই বেড়া দেয়ার কাজে জড়িত বলে নিজেরাই স্বীকার করেন।
স্হানীয় সুত্রে জানা গেছে, রাস্তা ব্যবহার করলে তাদের মোটা অংকের টাকা দিতে হবে না হলে চলাচলে অসুবিধায় রেখে অসহায় মানুষদের কষ্ট দিবে এই ফন্দি করছে ওই গোষ্টির ৩ সহোদর।
মুখেলেছুর রহমান বাড়ীর ভুক্তভোগী প্রবাসী সৈয়দ নুর জানান, দখলকৃত রাস্তা নিয়ে আমরা ভুক্তভোগীরা কথা বললে ওরা ৩ সহোদর নিয়মিত অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করার পাশাপাশি আমার পরিবারের লোকজনদের মেরে ফেলে গুম করে ফেলার হুমকি দিয়ে যাচ্ছে।
গত ১১ এপ্রিল কাটা তার দিয়ে রাস্তায় প্র্তিবন্ধকতা ঘটনার সত্যতা দেখতে সরেজমিনে ঘটনাস্হলে সাংবাদিকেরা গেলে, দখলবাজরা শোর চিৎকার শুরু করে দেয় এবং একজন জজ সাহেবকে ফোন করে ঠেলা বুঝাবে বলে সাংবাদিকদের ভয় দেখায়।জানা গেছে, কালা মিয়া মুন্সির বাড়ির ১জন জজ সাহেেব আছেন, তার ভয় ও নাম বিক্রি করছে তারা।এই রাস্তার সমস্যা সংক্রান্ত ছাড়াও মরহুম নুরুল আবছার খানের পরিবার সব কিছুতে জজ সাহেবের ক্ষমতার হুমকি ধামকি দিতে থাকেন।ফলে পুরা এলাকা এখন তাদের হাতে জিম্মি হয়ে আছে প্রায়।তারেকুজ্জামান খানের সাথে অনেক দুস্কৃতকারীর হাত রয়েছে বলে এলাকাবাসী সুত্রে জানা গেছে।
স্হানীয় কয়েকজন লোক তথ্য দিয়ে বলেন ওই জজ সাহেব হয়ত জানেন না তার নাম বিক্রি করা হচ্ছে।জজ সাহেব এই এলাকার গর্ব, উনি কখনো অন্যায় প্রশ্রয় দিবেন সেটা একটি ভিত্তিহীন, অবিশ্বাস্য, হাস্যকর ও উড়ো কথা।
এই বিষয়ে, এলাকার কৃর্তীসন্তান তৃণমূল মানুষের সাথে সম্পর্কিত আনোয়ারা থানা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল মালেক গণমাধ্যমকে বলেন,মানুষ চলাচলের রাস্তায় বা এত বছরের পুরানো রাস্তায় বেড়া দিয়ে পথ আটকিয়ে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি তো কাম্য নয়।এটা আসলে অন্যায়।মানুষ চলাচলের রাস্তা,পানি চলাচলের রাস্তা এইসব সরকারি ভাবে আটকে রাখা অন্যায়। যে রাস্তাটি বলা হচ্ছে সেটি অনেক পুরানো রাস্তা, এটা বন্ধ করা অন্যায়।এই রাস্তাটি ইউনিয়ন পরিষদের বরাদ্ধে ইট বেচানো হয়েছে ও পরিষদের তালিকাভুক্তও।
স্থানীয় মেম্বার ইউনুস জানান, তারের বেষ্টনী দিয়ে রাস্তাটি ঘিরেছে বলে শুনেছি।এতে পথযাত্রী চলাচলে ব্যাঘাত ঘটছে। কেউ আমার কাছে লিখিত অভিযোগ করেনি তবে মৌখিকভাবে ভুক্তভোগীরা জানিয়েছেন আমি লিখিত অভিযোগ দিতে বলেছি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও ইউএনও মহোদয় কে।