জীবনের যে কোন ক্ষেত্রে সফলতা অর্জনে একাগ্র সাধনা প্রয়োজন, সাধনার মাধ্যমে যে কোন কিছুর পেঁছনে লেগে থাকলেই যে কোন পুরস্কার আপনাকে ধরা দেবে। ২৬ মার্চ রাতে চিটাগাং ক্লাব অডিটরিয়ামে আয়োজিত সপ্তম সিসিএল ইন্ডিপেনডেন্স কাপ স্পোর্টস কার্র্র্নিভ্যাল ২০২২‘র পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে ভাষণদানকালে একুশে পদক প্রাপ্ত দৈনিক আজাদী সম্পাদক এম এ মালেক আড়ম্বরপুর্ণ স্বাধীনতা দিবস উদযাপনের মাধ্যমে এই রকম একটি অনুষ্ঠানের মাধমে তাঁকে সম্মানিত করায় ক্লাব নির্বাহী কমিটিকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, একুশে পদকের মত কোন পদকই আমরা পেতামনা, যদি না জন্ম না হতো যুগ-যুগান্তরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের এবং হতোনা এই বাংলাদেশ নামের একটি স্বাধীন দেশ। মুলতঃ সিসিএল ইন্ডিপেনডেন্স কাপ স্পোার্টস কার্র্র্নিভ্যাল‘র ব্যাডমিন্টন, বাস্কেটবল ,দাবা , লন টেনিস, টেবিল টেনিস,বিলিয়ার্ড এন্ড পুল সহ ওয়াক ওয়ে ইভেন্টের পুরস্কার বিতরণী উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানটি পরিণত হয় চিটাগাং ক্লাব লিঃ‘র সাবেক চেয়ারম্যান একুশে পদকে ভূষিত আজাদী সম্পাদক এম এ মালেকের সংবর্ধনা সভায় ।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন টুর্নামেন্টের স্পনসর ইন্ডিপেনডেন্ড অ্যাপারেলস লিঃ‘র এমডি, চিটাগাং ক্লাব লিঃ এর সাবেক চেয়ারম্যান এস এম আবু তৈয়ব। তিনি সংবর্ধিত অতিথিকে বিশেষ সম্মানা প্রদান ও শাল পরিয়ে দেন এবং প্রতি বছর স্বাধীনতা দিবসকে সামনে রেখে চিটাগাং ক্লাবে জাকজমকপূর্নভাবে স্পোর্টস কার্নিভ্যালটির জন্য তাঁর পৃষ্ঠপোষকতা অব্যাহত রাখার আশাবাদ ব্যক্ত করেন। তিনি বিগত সাত বছর ধরে এই উদ্যোগ সফলতায় সাবেক সিসিএল ভাইস চেয়ারম্যান মঞ্জুরুল হক (মঞ্জু) এবং সাবেক সিসিএল মেম্বার ইনচার্জ নুর উদ্দিন জাবেদকে ধন্যবাদ জানান। অনুষ্ঠানে চীফ হোস্ট ছিলেন চিটাগাং ক্লাব ভাইস চেয়ারম্যান জহিরুল ইসলাম চৌধুরী (আলমগীর)। তিনি স্পোর্টস কার্নিভ্যালের পৃষ্টপোষকতা করায় ইন্ডিপেনডেন্ড অ্যাপারেলস লিঃ‘কে বিশেষ ধন্যবাদ জানান। অনুষ্ঠানে ক্লাাব নির্বাহী কমিটির সদস্য যথাক্রমে জাবেদ হাসেম (নান্নু), ডাঃ ফাহিম হাসান রেজা,অ্যাডভোকেট সাবরিনা চৌধুরী, মোঃ আজিজুল হাকিম,মাহাবুবুল কবির খান (শান্তুনু),সালাউদ্দিন আহমেদ, মোঃ জাহিদ সুলতান (টিপু),সৈয়দ আরশাদুল হক, এস এম শফিউল আজম ছাড়াও বিভিন্ন খেলায় পুরস্কারপ্রাপ্ত অর্ধশাতাধিক খেলোয়াড় সহস্রাধিকসহ ক্রীড়ামোদি ক্লাব মেম্বার উপস্থিত ছিলেন । ক্লাব মেম্বার মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী (হুমায়ুন) এর পরিচালনায় সংগীত ও নৃত্যানুষ্ঠানের মাধ্যমে অনুষ্ঠানটি প্রানবন্ত হয়ে উঠে।