রানা সাত্তার
চট্টগ্রামের গ্রামে গ্রামে ফসলের মাঠে ফুটে আছে শত শত সূর্যমুখী ফুল।শীতকালের কোমল রোদের আলোতে ফুলগুলো যেন মুচকি হাসছে। বিভিন্ন ইউনিয়ন পর্যায়ে দার্শনার্থীরাও ভীড় জমিয়েছে ফুলের সৌন্দর্য উপভোগ করতে। সরেজমিনে দেখা যায় চট্টগ্রামের বিভিন্ন উপজেলার ধানি জমিতে সূর্যমুখী চাষ করেছেন বহু কৃষক। ডিসেম্বর মাসের মাঝামাঝি সময়ে জমিতে বীজ রোপণ করেছিলেন তারা। কৃষি অফিসের পরামর্শ ও সঠিক পরিচর্যায় গাছগুলো বড় হওয়ার সাথে সাথে ফুলে ফুলে ভরে গেছে সূর্যমুখীর বাগান। যা দেখে মুগ্ধ কৃষক। এপ্রিলের মাঝামাঝি সময়ে ফুল থেকে বীজ সংগ্রহ করতে পারবেন এমন আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন কৃষকরা। ফসলের মাঠে হলুদ ফুল আর সবুজ গাছের অপরুপ দৃশ্য। সবুজ পাতার ভেতর থেকে মাথা উঁচু করে প্রকৃতিতে নিজের সৌন্দর্য জানান দিচ্ছে সূর্যমুখী ফুলগুলো। এদিকে স্থানীয়দের মাধ্যমে সূর্যমুখী ফুলের বাগানের ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ার পর দর্শনার্থী ও সৌন্দর্য পিপাসু মানুষ দল বেঁধে আসতে শুরু করেছেন বাগান দেখতে। অনেকেই বাগানে ঢুকে শখ করে ছবি তুলেন।তুলছেন সেল্ফিও এতে করে কিছুটা বিড়ম্বনায় পড়তে হচ্ছে কৃষককে। উপজেলা কৃষিবিদরা বলেন আমাদের দেশে বেশিরভাগ তেল বাইরে থেকে আমদানি করতে হয়। এই আমদানি নির্ভরতা কমাতে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উদ্যোগে প্রণোদনা কার্যক্রমের আওতায় সূর্যমুখীর চাষ করা হচ্ছে। এ বিষয়ে ডা.শফিকুল ইসলাম(র্যাব-৭, আরএমও) জানান,সূর্যমুখী বীজের তেল স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। এই তেলে ক্ষতিকারক কোলেস্টেরল নেই।এ ছাড়াও ত্বকের যত্নে প্রাকৃতিক উপাদান ব্যবহারের বিভিন্ন ক্ষেত্র রয়েছে। সূর্যমুখী বীজের তেল বা সূর্যমুখী তেল আপনার চাহিদা পূরণ করতে পারে। রান্নায় ব্যবহার হয় সূর্যমুখী তেল। এর স্বাস্থ্যগত উপকারিতা অনেক। সেইসঙ্গে ত্বকের যত্নেও রয়েছে বেশ গুণ। ভিটামিন ও মিনারেল সমৃদ্ধ সূর্যমুখী তেলে রয়েছে প্রসাধনী গুণ। ফলে ত্বক পায় পূর্ণ উজ্জ্বলতা।