বেকারত্ব যে কত বড় অভিশাপ,হতাশাজনক আর আর্থিকভাবে অস্বচ্ছল নিম্ন বা মধ্যবিত্ত পরিবারের উচ্চ শিক্ষিত কিন্তুু কর্মহীন ছেলে মেয়েদের দুঃখ-কষ্ট, অসহায়ত্ব বা হতাশার কথা লিখতে গিয়ে তা কবিতা,গল্প, নাটক,প্রবন্ধ ,উপন্যাস নয় বিষাদ সিন্ধুর ন্যায় “মহাকাব্য”হয়ে যাবে। বছর বছর সমানুপাতিক হারে বাড়ছে উচ্চ শিক্ষিত বেকার আর হতাশা। কিন্তুু বাড়ছে না কর্মসংস্থান। অল্প-স্বল্প নিয়োগ যা হয়, এতে দেখা যায় নিয়োগ বাণিজ্য,নিয়োগ জালিয়াতি,,প্রশ্নপত্র ফাঁস। সবার চাকরির নিশ্চয়তা সরকার দিতে পারবে না, সে অর্থনৈতিক সামর্থ্যও সরকারের হয়ে ওঠেনি। তবে সরকারি নীতি নির্ধারকগণের স্বদিচ্ছা, সুদৃষ্টি ও সুনজর দিলে লক্ষ লক্ষ চাকরি প্রত্যাশী বেকারদের কিছুটা কষ্ট লাঘব করা সম্ভব।
১. সরকারি-বেসরকারি যেকোনো চাকরির আবেদন ফি ১০০ টাকার বেশি না হয় এমন সরকারি প্রজ্ঞাপন জারি করে সেটা নিশ্চিত করা। অতিরিক্ত আবেদন ফি বেকার ছেলে মেয়েদের কাছে ঠিক মরার উপর খাড়ার ঘাঁয়ের মতো
২. চাকরি প্রার্থীরা যেন নিজ জেলা অথবা নিজ বিভাগেই সব ধরনের পরীক্ষা দিতে পারে, সেটা নিশ্চিত করা। ছোট-বড় সব ধরনের চাকরির প্রিলি-রিটেন-ভাইবা সব কিছুর জন্যই কেন ঢাকা আসতে হবে? একটা কর্মহীন ছেলে বা মেয়ে ঢাকায় চাকরির পরীক্ষা দিতে এসে থাকা-খাওয়া নিয়ে কতটা বিড়ম্বনা বা অসহায়ত্ব বোধ করে, তা কেবল ভুক্তভোগী জানেন এক্ষেত্রে বিকেন্দ্রীকরণটা নিরসন করা অতীব জরুরি
৩.যে দেশে সেশনজটের কারণে ২৭-২৮ বছর লেগে যায় পোস্ট গ্রাজুয়েশন করতে,সেই দেশে সরকারি চাকরির আবেদনের বয়স সীমা ৩০ হয় কেমনে? করোনাকালীন শিক্ষার্থীদের সময়ের খাটতি, সেশনজট,বয়স বিবেচনা করে চাকরির বয়স সীমা ৩২ কিংবা ৩৫ করার জোর দাবি জানাচ্ছি।
আশা করি,মাননীয় সরকার ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়সহ সরকারি নীতিনির্ধারকগণ এই যৌক্তিক দাবী গুলো গুরুত্ব আমলে নিয়ে ব্যবস্থা নেবেন। লেখক, উম্মে সালমা রিপা মানবাধিকার নেত্রী