1. admin@purbobangla.net : purbobangla :
বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৪:৩৮ পূর্বাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ :
ঝালকাঠির গাবখান সেতুর টোল প্লাজায় প্রাইভেট কারসহ কয়েকটি গাড়িকে ট্রাকের চাপা, নিহত ১১ পতেঙ্গা লিংক রোডে পাজেরো গাড়ির ধাক্কায় বিদেশি নারী শিক্ষার্থীর মৃত্যু আনোয়ারায় আগুনে পুড়লো উঠান মাঝির ৪৬ ঘর কালা মিয়ার ইন্তেকাল বিশৃংখলা আর জনভোগান্তি সীতাকুণ্ডে উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে মনোনয়ন পত্র দাখিল শেষ দিনে চেয়ারম্যান পদে ২ ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৫ জন জরিমানা ছাড়া মোটর যানের কাগজপত্র হালনাগাদ সময় বেড়ে ১৫এপ্রিল পর্যন্ত বোয়ালিয়ায় অনুষ্ঠিত হলো আনোয়ারার সর্ববৃহৎ ঈদ জামাত বোয়ালিয়ায়  অনুষ্ঠিত হলো আনোয়ারার সর্ববৃহৎ ঈদ জামাত আবহাওয়া বার্তায় নেই বৃষ্টির পূর্বাভাস, বাড়বে দিন ও রাতের তাপমাত্রা

সীতাকুণ্ডের গুলিয়াখালী সৈকতকে পর্যটন সংরক্ষিত এলাকা ঘোষণা

পূর্ব বাংলা ডেস্ক
  • প্রকাশিত সময়ঃ বৃহস্পতিবার, ১৩ জানুয়ারি, ২০২২
  • ২২২ বার পড়া হয়েছে

সীতাকুণ্ড প্রতিনিধি

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের গুলিয়াখালী সমুদ্র সৈকতকে পর্যটন সংরক্ষিত এলাকা ঘোষণা করেছে সরকার। উপকূলীয় সংরক্ষিত বনাঞ্চলের ২৫৯ দশমিক ১০ একর জায়গা এই ঘোষণার আওতায় থাকবে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. শাহাদাত হোসেন এ খবরের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের উপসচিব শ্যামল নবী স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, অপরিকল্পিত স্থাপনা নির্মাণের কারণে গুলিয়াখালী সমুদ্র সৈকত এলাকার পর্যটনশিল্পের উন্নয়ন ও বিকাশ ব্যাহত হচ্ছে। ভবিষ্যতে আরও ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এই অবস্থায় এ এলাকাকে পর্যটন সংরক্ষিত এলাকা হিসেবে ঘোষণা করা হলো।

এ খবরে উচ্ছ্বসিত গুলিয়াখালীর লোকজন। গুলিয়াখালী সৈকত এলাকার বাসিন্দা মাঝি জসীম উদ্দীন বলেন, একটি মহল এই সুন্দর এলাকা ধ্বংস করার পরিকল্পনা করেছিল। তারা সৈকতকে ধ্বংস করে সেখানে শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়ার চেষ্টা করছিল।

ইউএনও মো. শাহাদাত হোসেন বলেন, গুলিয়াখালী সমুদ্রসৈকতকে পর্যটন সংরক্ষিত এলাকা ঘোষণা সীতাকুণ্ডের বাসিন্দাদের জন্য একটা বড় অর্জন। এই পর্যটন এলাকা ঘিরে তাঁরা নানামুখী পরিকল্পনা হাতে নিয়েছেন। এর মধ্যে গুলিয়াখালী যাওয়ার সড়কটি ২৪ ফুট চওড়া করার জন্য ২০ কোটি টাকা ব্যয় নির্ধারণ করা হয়েছে। সৈকত এলাকায় আর কোনোভাবে অপরিকল্পিত স্থাপনা গড়তে দেওয়া হবে না।

গুলিয়াখালী সৈকত নিয়ে ২০১৯ সালের ২০ নভেম্বর ‘এ যেন শিল্পীর তুলিতে আঁকা’ শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়। সংবাদটি প্রকাশের পর উপকূলীয় বন বিভাগের পক্ষ থেকে গুলিয়াখালী সৈকতটিকে সরকারি স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য একটি প্রস্তাব পাঠানো হয়। দীর্ঘ প্রক্রিয়া শেষে সৈকতটি সরকারি স্বীকৃতি পেল।

দেশের অন্য সৈকত থেকে এর বৈশিষ্ট্য কিছুটা আলাদা। তপ্ত রোদে পর্যটকদের শীতল ছায়ার জন্য সৈকতে ছাতা হয়ে দাঁড়িয়ে আছে ম্যানগ্রোভ বনের গাছগাছালি। সৈকতের মাটি সবুজ ঘাসের চাদরে ঢাকা। মাটির আঁকাবাঁকা ভাঁজে ভাঁজে জোয়ারের পানি দোলা দেয়। মাঝে মধ্যে হরিণের উঁকিঝুঁকি, কখনো কখনো ছুটে চলে লাল কাঁকড়া। সৈকতের পশ্চিমে  দিগন্তজোড়া জলরাশি দেখা যায়। পূর্ব দিকে তাকালে দেখা মেলে পাহাড়ের। সৈকতের পাঁচ কিলোমিটারের মধ্যে চন্দ্রনাথ পাহাড় ও মন্দির, বোটানিক্যাল গার্ডেন ও ইকোপার্কের সহস্রধারা ও সুপ্তধারা নামের দুটি ঝরনা।

২০১৪ সালে চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) একদল শিক্ষার্থী সৈকতটিতে ঘুরতে গিয়ে কিছু ভিডিও ও ছবি ফেসবুক, ইউটিউবে আপলোড করেন। এরপর সৈকতটির সৌন্দর্যের কথা ছড়িয়ে পড়ে চারদিকে।

শেয়ার করুন-

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved © 2021 purbobangla