ঝালকাঠি প্রতিনিধি
ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে ঢাকা বরগুনাগামী এমভি অভিযান-১০ লঞ্চে এ পর্যন্ত ৪২ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এর মধ্যে ৬ জনের পরিচয় পাওয়া গেছে। এরা সকলে বরগুনার বাসিন্দা। অনেকে নদীতে ঝাপ দিয়ে নিখোঁজ রয়েছে। এঘটনায় নৌ পারিবহন মন্ত্রণালয়, জেলা প্রশাসক কার্যালয় ও ফায়ার বিগ্রেডসহ তিনটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। নৌ পরিবন প্রতমন্ত্রী খালিদ মাহামুদ চৌধুরী ঢাকাে থেকে ঝালকাঠি এসে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এ সময় তিনি নিহতদের পরিবারকে দেড় লাখ করে টাকা দেয়ার কথা ঘোষণা করেন। জেলা প্রশাসক মো. জোহর আলী জানান, দাফন কাফনের জন্য নিহতদের প্রত্যেক পরিবারকে প্রাথমিক ভাবে বিশ হাজার টাকা করে দেয়া হবে। উদ্ধার করা মরদেহগুলো ঝালকাঠি মিনিপার্কে সারিবদ্ধভাবে রাখা হলে সেখান থেকে মোট ছয়জনকে সনাক্ত করে নিহতদের পরিবার। বাকি মরদেহগুলোর পরিচয় নিশ্চিত করে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে বলেও জানান তিনি। পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, গতরাত তিনটার দিকে ঝাকাঠির সুগন্ধা নদীর সরই এলাকায় বিকট বিস্ফোরণে লঞ্চের পিছনের অংশে আগুন লেগে যায়। মূহূর্তে আগুন ছড়িয়ে পড়ে পুরো লঞ্চে। পরে চালক লঞ্চটি দিয়াকুল এলাকায় নদীর চর ঘেষে থামালে সেখানে যাত্রীরা কুলে উঠতে পারলেও লঞ্চের মধ্যে দগ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলে ৩৩জন যাত্রীর মৃত্যু হয়। এর মধ্যে জীবন বাচাতে নদীতে ঝাপ দিলে তীব্রশীত ও আহত হয়ে ৩ জনের মৃত্যু হয়। এসময় অনেক যাত্রী প্রান বাচাতে নদীতে ঝাপ দিয়ে আত্মরক্ষার চেষ্টা চালায়। এ ঘটনায় বরিশাল ও ঝালকাঠির ফায়ার সার্ভিসের ৫টি ইউনিট তিন ঘন্টা চেষ্টার পর সকাল সাতটার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের উপ-পরিচালক (বরিশাল) কামাল উদ্দিন ভূঁইয়া বলেন, তাদের ৫টি ইউনিটের তিন ঘন্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সক্ষম হয়েছে। এ ঘটনায় আগুনে পুড়ে মারা যাওয়া ত্রিশ জনের দেহ ও সুগন্ধা নদী থেকে নয়জনসহ মোট ৩৯জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।ঘটনাস্থল থেকে লঞ্চ উদ্ধার করে ঝালকাঠি লঞ্চ টার্মিনালে নোঙ্গর করা হয়েছে।