শ্রদ্ধেয় রেজা ভাইজানরে,
গরম গরম কথার শুরুতে আমার লাখ কোটি সালাম জানিবেন।আশা করি, আল্লাহ মালিকের অপার মহিমায় ভালো থাকিয়া চসিক মেয়রের দায়িত্ব পালন করিয়া নানান কল্যাণকর কর্মসুচী ও দেশের ভবিষ্যত হরেক রকম চিন্তা করিয়া দিনাতিপাত করিতেছেন। আমিও গ্রাম বাংলার এক মফস্বল শহরে থাকিয়া দেশের ভবিষ্যতের কথা ভাবিয়া ছাগলের তিন নাম্বার বাচ্ছার মতো খাইয়া না খাইয়া বাঁচিয়া আছি। গেলবারে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সমীপে ঠাণ্ডা মিয়ার গরম কথা লিখিবার সময় এইবার আপনার সমীপে লিখিব বলিয়াছিলাম, এইজন্য লিখিতেছি বলিয়া রাগ করিবেন না বরং শত ব্যস্ততার মধ্যেও গরম কথাটুকু পড়িয়া দেখিবেন ও যাহা প্রয়োজন তাহা করিবেন আর ভুল হইলে নিজ গুনে মাফও করিয়া দিবেন।
ভাইজানরে,
আপনি হইলেন, দেশের মেগাসিটি, কাহারো কাহারো মতে বাণিজ্যিক রাজধানী আবার কাহারো কাহারো মতে ক্লীন ও গ্রীণ সিটি চট্টগ্রামের মেয়র।আদতে দেশের প্রধানতম সমুদ্র বন্দর এইটি।দেশের ব্যবসায়ীদের প্রাণ কেন্দ্র এই চট্টগ্রাম। আপনি এই শহরের তূণমূল পর্যায় থেকে উঠা আসা একজন পরিচ্ছন্ন রাজনীতিবীদ। ছাত্রলীগ থেকে আওয়ামী লীগের পদবীধারী ব্যাক্তি আপনার কপালে এই চেয়ারে বসিবার সুযোগ হইয়াছে।এইটা পরিচ্ছন্ন, সৎ ও ত্যাগী নেতাদের উৎসাহ অনুপ্রেরণা জুগিয়াছে। আপনার ভক্তরা যোগ্য লোককে প্রধানমন্ত্রী সঠিক মূল্যায়ণ করিয়াছে বলিলেও বিরুদ্ধীবাদীরা যেই একেবারে নাই তাহা মনে করিবেন না। মনে রাখিবেন, তাহারা আপনার কাছেই রহিয়াছে, সুযোগ পাইলে ডাক ঢোল পিটাইয়া অপপ্রচারে নামিবে। বিষয়টি সবসময় মাথায় রাখিবেন। তাহারা বলিতেছে, ‘এইদিন দিন নয় আরো দিন আছে’ ।
ভাইজানরে,
আপনার এই চেয়ারে বসিয়া জিয়ার আমলে ব্যারিষ্টার সুলতান আহমদ চৌধুরী রাজনীতিতে গ্রুপের শিকার হইয়াছিলেন। কতটুকু সত্য তাহা পরিষ্কার না হইলেও শুনিয়াছি, এই গ্রপিং নিরসন করিতে জিয়াউর রহমান চট্টগ্রাম আসিয়া সার্কিট হাউজে নির্মমভাবে হত্যাকাণ্ডের শিকার হন।আমাদের উপমহাদেশের রাজনীতিতে ইন্দিরা গান্ধী, শেখ মুজিব, জুলফিকার আলী ভুট্টু, বেনজির ভুট্টুর মৃত্যুর ইতিহাস বড়ই করুণ ও বেদনাদায়ক। যাক, সেইসব কথা।
এইসব ইতিহাস আপনি অনেকের চেয়ে বেশীই জানেন।আপনার এই পদে সেকান্দর হোসেন খান, মাহামুদুল ইসলাম চৌধুরী, এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী, মীর মুহাম্মদ নাছির উদ্দিন, মন্জুরুল আলম ও আ জ ম নাছির উদ্দিন সাহেবও দায়িত্ব পালন করিয়াছেন।ইহাদের মধ্যে ব্যারিষ্টার সুলতান আহমদ চৌধুরী ও মীর মুহাম্মদ নাছির উদ্দিন মন্ত্রীও হইয়াছিলেন।অনেকেই এই পদটি মন্ত্রী হইবার সিড়িও বলিয়া থাকেন।তাহা ছাড়া এমনিই এই পদটি প্রতিমন্ত্রীর মর্যদা সম্পন্ন। যদিও আ জ ম নাছির উদ্দিন এইক্ষেত্রে অবহেলিত হইয়াছেন বলিয়া অনেকেই বলিতেছে।
ভাইজানরে,
শুনিয়াছি, আপনি ১০০দিনের কর্মসূচী দিয়াছেন।গতানুগতিক কর্মসূচী দিবেন না। কাজ সমাধান করিয়া প্রকাশ করিবেন। মশা মারিতে কামান ফিট করিতে হয় না। অলি গলিতে মশার ঔষধ ছিটাইলে নগরবাসীরা তখন চশমা দিয়া থাকিবে না।তাহারা ঠিকই দেখিবে। ঢাকা থেকে মনোনয়ন লইয়া প্রথম চট্টগ্রাম রেলস্টেশনে জনতাকে কী বলিয়াছিলেন তাহা খেয়াল রাখিবেন। সকল সেবা যেমন ওয়াসা,সিডিএ,বন্দর, বিদ্যুৎ, টিএন্ডটি সংস্হাকে চসিক এর সাথে সমম্বয় করিয়া কাজ করিতে হয় এই প্রেক্ষাপট তৈরী করুন। তাহা হইলে অভুতপুর্ব উন্নয়ন সাধন করিতে পারিবেন।
গ্রন্হনা ম আ হ
আগামী সংখ্যায় খোরশেদ আলম সুজন সমীপে ঠান্ডা মিয়ার গরম কথা (৩১৪) সম্প্রচার করা হইবে।