তিন দিনের টানা ছুটিতে পর্যটকের ঢল নেমেছে পর্যটন জেলা বান্দরবানে। জেলার অন্যতম পর্যটন স্পট ও দর্শনীয় স্থানগুলোতে এখন পর্যটকের উপচে পড়া ভিড়। এক সপ্তাহ আগে থেকে বান্দরবানের হোটেল-মোটেল বুকিং হয়ে যায়। লম্বা ছুটিতে যান্ত্রিক জীবনের একটু ক্লান্তি দূর করতে বিনোদনের খোঁজে মানুষ ছুটে আসছেন পাহাড়ের মনোরম প্রাকৃতিক লীলাভূমি বান্দরবানে।
বান্দরবানের মনোরম দৃশ্য উপভোগ করতে দেশের নানা প্রান্ত থেকে ছুটে এসেছেন ভ্রমণ-পিপাসুরা। হাজার হাজার পর্যটকের পদচারণায় মুখর পর্যটন স্পটগুলো। এতে ঝিমিয়ে পড়া পর্যটনে হঠাৎ প্রাণের সঞ্চার হয়েছে। ঘুরে দাঁড়িয়েছে পর্যটন শিল্প। এদিকে বান্দরবান জেলা প্রশাসন কর্তৃক বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তী, মহান বিজয় দিবস ও মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে জেলা প্রশাসন পরিচালিত পর্যটন কেন্দ্র নীলাচল, মেঘলা, প্রান্তিক লেক, চিম্বুক, নীল দিগন্তসহ সব পর্যটনকেন্দ্রগুলোতে ১৬ ডিসেম্বর এক দিনের জন্য বিনামূল্যে উন্মুক্ত করে দিয়েছে।
পর্যটন ব্যবসার সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা জানান, করোনা মহামারীর ধকল কাটিয়ে প্রায় দুই বছর পর বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তীতে বান্দরবানের পর্যটন হঠাৎ জেগে উঠেছে। মাসের শুরু থেকে পর্যটকেরা হোটেল-মোটেল ও অবকাশযাপন কেন্দ্রগুলোতে আগাম ভাড়া নিতে থাকেন। কোথাও কোনো সিট খালি নেই। জেলা শহর ও শহরতলীতে ছোট-বড় প্রায় ৬৫টি আবাসিক হোটেল-মোটেল ও অবকাশকেন্দ্রে ৪ হাজার পর্যটক থাকার ব্যবস্থা রয়েছে। থানচি, রুমা, বগালেক, তাজিংডং, তিন্দু, রেমাক্রি, নাফাকুমসহ বিভিন্ন পাহাড় চূড়ার বিভিন্ন স্থানে আরো কয়েক হাজার পর্যটকের আবাসন করা সম্ভব। এ সব পর্যটন স্পটে কোথাও কোনো জায়গা খালি নেই।
জেলা আবাসিক হোটেল-মোটেল মালিক সমিতির সভাপতি অমল কান্তি দাশ জানান, শীত মৌসুম হচ্ছে পর্যটকদের ভরা মৌসুম। এ সময় পর্যটকদের আগমন বেশি ঘটে। পর্যটন করপোরেশনের মেঘলা পর্যটন মোটেলের ব্যবস্থাপক আলোক বিকাশ চাকমা জানান, বিজয় দিবস থেকে এ মাসের শেষ দিন পর্যন্ত মোটেলের সবকটি কক্ষ অগ্রিম ভাড়া হয়ে গেছে। মিলনছড়ি রিসোর্টের ব্যবস্থাপক রয়েল বম জানিয়েছেন, হঠাৎ পর্যটক আসা শুরু হওয়াতে এখন আর জায়গা দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না।সবটুকু জানতে ক্লিক করুন