বোয়ালখালী প্রতিনিধি
গুম হওয়ার আশঙ্কা করছেন চট্টগ্রাম জেলার বোয়ালখালী উপজেলার ১০নং আহলা করলডেঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান হামিদুল হক মান্নান। তিনি শুক্রবার (১০ ডিসেম্বর) বিকেলে স্থানীয় সাংবাদিকদের কাছে এ আশঙ্কার কথা তুলে ধরেন। এ সময় মান্নান অভিযোগ করে বলেন, এলাকার মনসুর আহাম্মদ বাবুল আমাদের পরিবারকে ধ্বংস করার পাঁয়তারায় লিপ্ত রয়েছেন। ২০১০ সালের ১০ ডিসেম্বর আমার মেঝ ভাই নজরুল ইসলাম বাচা ইউপি চেয়ারম্যান থাকাকালে ঢাকার গাজীপুর থেকে নিখোঁজ হন। তাঁকে সাদা পোশাকধারী একদল দুর্বৃত্ত তুলে নিয়ে গিয়েছিলো। ২০১১ সালে মনসুর আহাম্মদ বাবুল আমার বড় ভাই মো. জাহেদুল ইসলামকে বাড়িতে এসে গুলি করেছিলেন। একই কায়দায় আমাকেও সরিয়ে দেওয়ার পাঁয়তারা করছেন মনসুর আহাম্মদ বাবুল। মান্নান বলেন, মনসুর আহাম্মদ বাবুল একজন রাজাকারের ছেলে। তার বাবা আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা সাক্ষী ছিলেন। দীর্ঘ সময় বিএনপি‘র রাজনীতিতে জড়িত মনসুর আহম্মদ ২০১০ সালে আওয়ামী লীগে যোগদান করে। এবার সে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন। এরই সুবাদে সে বিভিন্নভাবে আমার বিরুদ্ধে যড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। শহরে বসে আমার বিরুদ্ধে নানা অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন।
আগামী ৫ জানুয়ারির ইউপি নির্বাচনে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ ভোটগ্রহণের জন্য নির্বাচন কমিশন এবং প্রশাসনের কাছে দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, প্রতিদ্বন্দ্বিতা হোক, এলাকাবাসী ভোট দিয়ে যাকে জয় যুক্ত করবেন তিনিই চেয়ারম্যান হবেন। হামিদুল হক মান্নান উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বে রয়েছেন। তিনি টানা দুইবার প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে ১০নং আহলা করলডেঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী মনসুর আহাম্মদ বাবুল বলেন, আমি কোনো সন্ত্রাসী নই যে কাউকে গুম করবো। আমার বয়স ৭০ বছর, আমি নোংরা রাজনীতি করি না। কে সন্ত্রাসী, কে মাদক ব্যবসায়ী, তা এলাকাবাসীই বলবে। আহলা করলডেঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের আসন্ন নির্বাচনে ৬ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। এরা হলেন আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী মনসুর আহাম্মদ বাবুল, স্বতন্ত্র প্রার্থী হামিদুল হক মান্নান, মো. সায়েম, মো. মাহাবুবুল আলম সিদ্দিকী, মো. মোহরম আলী ও মো.মুরাদ হাসান। ঘোষিত তফশিল অনুযায়ী মনোনয়নপত্র যাচাই বাছাই হবে ১২ ডিসেম্বর। প্রার্থীতা প্রত্যাহারের শেষদিন ১৯ ডিসেম্বর ও ৫ জানুয়ারি ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।